চুয়াডাঙ্গা মেহেরপুরের দুটিসহ টিসিবি’র ৫২ ডিলারের লাইসেন্স বাতিল

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গার আজিজুল হক এগ্রো বিজনেস, মেহেরপুর বামন্দীর কামরুজ্জামান ট্রেডার্সসহ দেশের দক্ষিণ-পশ্চিমাঞ্চলের ১১ জেলায় ৫২ ডিলারের লাইসেন্স বাতিল করেছে ট্রেডিং করপোরেশন অব বাংলাদেশ (টিসিবি)। তাদের জামানতের অর্থ বাতিল করে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে জমা রাখা হয়েছে। নবায়ন না করা, পণ্য উত্তোলন না করে ভোক্তাকে বঞ্চিত করা, প্রয়োজনের সময় দোকান বন্ধ রাখা, অধিক মূল্যে পণ্য বিক্রি করা এবং প্রকৃত ভোক্তার কাছে বিক্রি না করে কালোবাজারে বিক্রি করার অভিযোগে তাদের লাইসেন্স বাতিল করা হয়।

সংশ্লিষ্ট সূত্র জানায়, টিসিবি’র ডিলারশিপ নেয়ার পর লোকসানের অজুহাত দেখিয়ে পণ্য উত্তোলন না করে ভোক্তাকে বঞ্চিত করা হয়েছে। তারা দোকান বন্ধ রেখে খুচরা ব্যবসায়ীদের চিনি ও পেঁয়াজ বিক্রি করে দেয়। পাশাপাশি কালোবাজারে পণ্য বিক্রি করায় খুলনা মহানগরীর খালিশপুরের চিত্রালী বাজার এলাকার রাজু এন্টারপ্রাইজ এবং ফারাজিপাড়ার আকবর এন্টারপ্রাইজের লাইসেন্স বাতিল করা হয়। এ ছাড়া উল্লিখিত কারণে যেসব লাইসেন্স বাতিল করা হয় সেগুলো হচ্ছে- খুলনা জেলার তেরখাদা উপজেলার কুশলা বাজারের খান এন্টারপ্রাইজ, নগরীর বড় বাজারের মেসার্স সুকুমার সাহা, স্টেশন রোডের পারভীন এন্টারপ্রাইজ, সোনাডাঙ্গা এলাকার কোহিনুর ট্রেডিং অ্যান্ড কোম্পানি, শিববাড়ি মোড়ের সাদ্দাম হোটেল, দৌলতপুরের মাসুদ স্টোর ও জেএস ট্রেডাস, সাতক্ষীরা জেলার পারুলিয়া বাজারের তন্ময় ট্রেডার্স, কলারোয়া উপজেলার চৌধুরী ট্রেডার্স, যশোর জেলার বাঘারপাড়া উপজেলার দে ব্রাদার্স, নিয়তী রায়, চৌগাছা বাজারের অতশী এন্টারপ্রাইজ, ঝিকরগাছা বাজারের অর্পা ট্রেডার্স, কল্পনা ট্রেডার্স, যশোর জেলা সদরের আলাল এন্টারপ্রাইজ, নিলয় কনস্ট্রাকশন, বাগেরহাটের কাচনা দাঁড়িয়ালা গ্রামের শিকদার এন্টারপ্রাইজ, চিতলমারি বাজারের ইমরান এজেন্সি, কচুয়া উপজেলার গজালিয়া বাজারের নিশি এন্টারপ্রাইজ, বাগেরহাট জেলা সদরের আকিব ট্রেডার্স, পিরোজপুর জেলার কাউখালী উপজেলার প্রিয়াঙ্কা এন্টারপ্রাইজ, নাহার এন্টারপ্রাইজ, নাজিরপুর উপজেলা সদরের বিশ্বাস ট্রেডিং, স্বর্ণা ট্রেডার্স, ফরিদপুর জেলার তালমা বাজারের জামান এন্টারপ্রাইজ, মালিগ্রাম বাজারের ইমন ট্রেডার্স, ফরিদপুরের ভাঙ্গা উপজেলার বোরহান ট্রেডার্স, আলফাডাঙ্গার বায়েজিদ এন্টারপ্রাইজ, ইমাম ট্রেডার্স, মধুখালী বাজারের রাজিব এন্টারপ্রাইজ, মাজহারুল স্টোর, রসুলপুর বাজারের খোন্দকার ট্রেডার্স, মৌলভীরচর হাট এলাকার আব্দুল কুদ্দুস মোল্লা, চর হাজিগঞ্জের এএইচ কনস্ট্রাকশন, শিহাব ট্রেডার্স, অন্যন্যা টেডার্স, লাকি এন্টারপ্রাইজ, রাজবাড়ি জেলার বিনোদপুরের শুক্লা সরকার, মেহেরপুর জেলার বামন্দী বাজারের কামরুজ্জামান ট্রেডার্স, চুয়াডাঙ্গা জেলার আজিজুল হক এগ্রো বিজনেস, কুষ্টিয়া জেলার শান্তা এন্টারপ্রাইজ, সুফলা ট্রেডার্স, সততা এন্টারপ্রাইজ, দীপ এন্টারপ্রাইজ, আলমগীর এন্টারপ্রাইজ, আলম ট্রেডার্স, সুলেখা এন্টারপ্রাইজ, এসএস এন্টারপ্রাইজ, ঝিনাইদহ জেলার চৌরাস্তা মোড়ের খান ট্রেডার্স এবং নতুনহাট রোডের আলাউদ্দিন ট্রেডার্স।

টিসিবি খুলনার আঞ্চলিক প্রধান নির্বাহী মো. রবিউল মোর্শেদ জানান, কালোবাজারী, অবৈধ মজুদ, নবায়ন না করা, অধিক মূল্যে পণ্য বিক্রি করার অপরাধে তাদের লাইসেন্স বাতিল করা হয়। এ সব নামে আগামীতে টিসিবি’র নতুন লাইসেন্স হওয়ার সুযোগ নেই।