মার্কেট নির্মাণ বিতর্ক নিয়ে গাংনী পৌর মেয়রের সংবাদ সম্মেলন

গাংনী প্রতিনিধি: মেহেরপুর গাংনী পৌরসভার মার্কেট নির্মাণ নিয়ে গতকাল রোববার সংবাদ সম্মেলন করেছেন গাংনী পৌর মেয়র আশরাফুল ইসলাম। সেখানে জমির মালিকানা ও মার্কেট নির্মাণের বিষয়ে ব্যাখ্যা দেন মেয়র। বহুতল ভবন নির্মাণের পূর্ব ঘোষণা থেকে সরে এসে কিচেন মার্কেট বা তহহাট উন্নয়নের কথা বলেন তিনি। সংবাদিক সম্মেলনে লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন গাংনী পৌর মেয়র আশরাফুল ইসলাম। উপস্থিত ছিলেন প্যানেল মেয়র নবীর উদ্দীনসহ কাউন্সিলরবৃন্দ ও পৌরসভার কর্মকর্তা-কর্মচারীবৃন্দ।
লিখিত বক্তব্যে মেয়র বলেন, পৌরসভার বেতন ভাতার একমাত্র উপার্জনের পথ হচ্ছে হাট-ইজারা। তাই পৌর তহহাটের উন্নয়নের জন্য সম্প্রতি টেন্ডার দেয়া হয়। পৌরসভার দখলে থাকা সুপারি ও মাংস হাটের টিনের ঘরের জায়গায় তহহাট উন্নয়নের লক্ষ্যে দরপত্র দেয়া হয়। যার প্রাক্কলিত মূল্য ৪৪ লাখ ১৩ হাজার ৯০২ টাকা। ঠিকাদারী প্রতিষ্ঠান মেসার্স শহিদুল ট্রেডার্স কাজ করতে গেলে আব্দুল গণি গং মালিকানা দাবি করে বাধা দেয়। কিন্তু তারা জমির মালিকানা কাগজপত্র দেখাতে ব্যর্থ হয়েছেন। ৫৭/৬১ মৌজার গাংনী খতিয়ান সিএস ৭২৪, এসএ-১, আরএস ২৫৫ ও ১ নং দাগ, সাবেক ২০৫৬, আরএস ৪৫৭৯ জমির পরিমাণ সাবেক ১৬ শতক আরএস ১ নং খতিয়ানে ০৬ শতক ২৫৫ নং খতিয়ানে ১০ শতক জমির মধ্যে ৬ শতকের মালিক বাংলাদেশ সরকার এবং ১০ শতক আহম্মেদ আলীর নামে আরএস রেকর্ড রয়েছে।
আব্দুল গণি গং ১৩৪২ সালে বন্দোবস্ত রয়েছে বলে দাবি করে। কিন্তু এসএ রেকর্ড সরকারের নামে এবং আরএস রেকর্ড ১০ শতক আহম্মেদ আলীর নামে। কোনোটিতেই তাদের নামে রেকর্ড নেই।
এদিকে জেলা আওয়ামী লীগের কৃষি বিষয়ক সম্পাদক ফজলুল হক সাংবাদিক সম্মেলন বক্তব্য রাখেন। তিনি বলেন, এখানে পৌরসভার হাট ছিলো। আজিম উদ্দীন গংদের দখলে ছিলো না এটাও ঠিক। কিন্তু দোকানপাট সরিয়ে আমাদের মেয়র সাহেব হঠাৎ করে খুড়াখুড়ি শুরু করে দিলেন। এতে মনে হয়েছে যে জবরদখল হচ্ছে। মার্কেট নির্মাণ হচ্ছে তা কি মেয়রের ব্যক্তিগত না পৌরসভার তা নিয়ে পৌরবাসীর যথেষ্ট সংশয় রয়েছে। তিনি পৌর মেয়রের ব্যক্তিগত সিদ্ধান্তের বিষয়ে সমালোচনা করেন। হাটের ব্যবহৃত যে টিনের ছাউনি ভাঙা হয়েছে তা আইনানুযায়ী নিলাম করতে হবে। এমন প্রশ্নের জবাবে মেয়র বলেন, পৌরসভার উন্নয়নের স্বার্থে টিনের ঘরের মালামাল তালিকা করে সংরক্ষণ করা হয়েছে। পৌরসভার প্রয়োজনে তা কাজে লাগানো হবে।
প্রসঙ্গত, ভবন নির্মাণের একপর্যায়ে জমির মালিকানা দাবি করে মৃত আজিম উদ্দীনের ছেলেরা সপরিবারে সেখানে অবস্থান নেয়। বাধার মুখে প্রায় ২৪ ঘণ্টা অবস্থান শেষে উপজেলা নির্বাহী অফিসারের আহ্বানে সাড়া দিয়ে আলোচনায় বসেন। পরে তাদের আবেদনের বিষয়ে আদালত স্থিতিতাবস্থা বজায় রাখার আদেশ দেন।