গাংনীতে ১৪২৪ সনের হাট-বাজার ইজারা সম্পন্ন

গাংনী প্রতিনিধি: মেহেরপুর গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসারের কার্যালয় অধীন বাংলা ১৪২৪ সনের হাট-বাজারের নিলাম বিক্রয় সম্পন্ন হয়েছে। দরপত্র প্রক্রিয়ার মধ্য দিয়ে বামন্দী-নিশিপুর হাটসহ এ উপজেলার ৪৬টি হাট-বাজার ইজারা পেয়েছেন সর্বোচ্চ দরদাতারা। সুষ্ঠু আইনী প্রক্রিয়ার মধ্যদিয়ে নিলাম সম্পন্ন হওয়ায় সরকারি কাক্সিক্ষত দরের চেয়ে অনেক বেশি রাজস্ব জমা পড়তে যাচ্ছে সরকারী কোষাগারে। ৪৬টি হাটের মধ্যে সবচেয়ে বেশি রাজস্ব আসে বামন্দী-নিশিপুর হাট থেকে। এ হাটের সাথে রয়েছে এ অঞ্চলের সবচেয়ে বড় পশু হাট। বামন্দী-নিশিপুর হাটে এবারে সরকারী কাঙ্খিত দর ছিল ৬৯ লাখ ১৩ হাজার ৮৬৬ টাকা। কয়েকজন আগ্রহী ইজারাদার এ হাটের দরপত্র দাখিল করেন। এর মধ্য থেকে সর্বোচ্চ ৭০ লাখ ২১ হাজার টাকা দর দিয়ে ইজারা পেয়েছেন কামাল হোসেন। দ্বিতীয় দরদাতার টাকার অংক ছিল ৬৯ লাখ ৫১ হাজার টাকা। দরপত্র প্রক্রিয়ায় সব শ্রেণী পেশার মানুষ অংশ গ্রহণের সুযোগ পাওয়ায় কাঙ্খিত রাজস্ব আয়ের চেয়ে বেশি রাজস্ব আয় করা সম্ভব হচ্ছে বলে দরপত্র প্রক্রিয়া সংশ্লিষ্ঠ সূত্রে জানা গেছে।
এদিকে সুষ্ঠ ও স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার মধ্যদিয়ে সবার অংশ গ্রহণে দরপত্র প্রক্রিয়া সম্পন্ন করার লক্ষে বহুল প্রচারিত আঞ্চলিক ‘দৈনিক মাথাভাঙ্গা’ ও জাতীয় দৈনিক ‘আমাদের সময়’ পত্রিকায় নিলাম দরপত্র বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার। এর মধ্য দিয়ে বিজ্ঞপ্তির বিষয়টি ব্যাপকভাবে প্রচার লাভ করে। আগ্রহী ইজারাদারবৃন্দ নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তাদের কাক্সিক্ষত হাট-বাজারের দরপত্র গ্রহণ করেন। নির্ধারিত সময়ের মধ্যে তা দাখিল করেন দরপত্র দাখিল বাক্সে। দরপত্রে উল্লেখিত দিনে দরদাতাসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের অংশ গ্রহণে বাক্স খোলা হয়। এর মধ্য থেকে স্ব স্ব হাট-বাজারের সর্বোচ্চ দরদাতাকে আগামী ১ বোশেখ থেকে এক বছরের জন্য ইজারা দেয়া হয়। এ প্রসঙ্গে গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফ-উজ-জামান বলেন, স্বচ্ছ প্রক্রিয়ার মধ্যদিয়ে সবার অংশগ্রহণে নিলাম প্রক্রিয়া সম্পন্ন করা সম্ভব হয়েছে। এজন্য সংশ্লিষ্ট সকলকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি।