চুয়াডাঙ্গায় মাথাভাঙ্গা নতুন ব্রিজের সম্ভাব্য ব্যয় ১৬ কোটি ৬০ লাখ টাকা

 

 

বর্তমানের ক্ষতিগ্রস্থ ব্রিজের উত্তরপ্রান্তে পিসি গার্ডার প্রযুক্তিতে নির্মাণ করা হবে ব্রিজ

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা মাথাভাঙ্গা ব্রিজের মাপজোক, নকশা প্রণয়নের কাজ কবেই শেষ হয়েছে। সম্ভাব্য ব্যায়ের হিসেনে নিকেশ কষার কাজও শেষ। এখন বাকি শুধু ঢাকার অনুমোদন। চলতি অর্থ বছরেই অনুমোদন মিলতে পারে। সে হিসেবে আর কয়েক মাসের মধ্যেই শুরু হতে পারে দরপত্র আহ্বান তথা ঠিকাদার নিযুক্ত করার প্রক্রিয়া। তারপরই নির্মাণ কাজ।

চুয়াডাঙ্গা বড়বাজার সংলগ্ন মাথাভাঙ্গা ব্রিজটির মাঝে বিশাল অংশ ধসে গর্তের সৃষ্টি হয় ২০১৫ সালের ২৫ অক্টোবর। ফলে চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুর সড়কের যান চলাচল বন্ধ হয়ে যায়। ওইদিনই রাতে সড়ক ও জনপথ বিভাগের চুয়াডাঙ্গায় কর্মরতরা তড়িঘড়ি ব্রিজটিতে হালকা যান চলাচলের উপযোগী করেন। ভারী যান চলাচল বারণ করা হলেও কে শোনে কার কথা। এ অবস্থায় ব্রিজিটর পাশেই নতুন করে ব্রিজি নির্মাণের প্রস্তাব পেশ করা হয়। ঢাকার অনুমোদন মেলে। শুরু হয় মাপজোকের কাজ। নকশাও প্রণয়ন করা হয়েছে।

গতকাল চুয়াডাঙ্গা সড়ক ও জনপথ বিভাগীয় দফতরের উপ বিভাগীয় প্রকৌশলী নজরুল ইসলাম জানান, চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুর সড়কের মাথাভাঙ্গা ব্রিজটি অতিব গুরুত্বপূর্ণ। ক্ষতিগ্রস্থ হওয়ার পর পরই নতুন করে ব্রিজ নির্মাণের প্রক্রিয়া শুরু করা হয়। থানার পাশে সড়কের জমিতে মসজিদ। পাশেই রয়েছে মহান মুক্তিযুদ্ধে শহীদ মুক্তিযোদ্ধাদের স্মৃতিফলক। ফলে তার বিপরীতে অর্থাত উত্তরপ্রান্তের বৈদ্যুতিক তার সরিয়ে ব্রিজ নির্মাণের জন্য নকশা প্রণয়ন করেন নকশা কারকেরা। সে মতে সম্ভাব্য ব্যায় ১৬ কোটি ৬০ লাখ টাকা ধরা হয়েছে। অর্থ বরাদ্দসহ কেন্দ্রীয় অনুমোদন পেলেই দরপত্র আহ্বানের মাধ্যমে ঠিকাদার নিযুক্ত করে প্রণিত নকশা মোতাবেক ব্রিজ নির্মাণের কাজ শুরু হবে। নির্মানিতব্য ব্রিজটি হবে আধুনি প্রযুক্তিতে তথা পিসি গার্ডার প্রদ্ধতিতে।