সামান্য আগুনও চোখের পলকে হয়ে ওঠে সর্বগ্রাসী

সামন্য একটু আগুন কতোটা ভয়ঙ্কর, কেমন সর্বগ্রাসীতে রূপ নিতে পারে তা বোদ্ধাদের নিশ্চয় নতুন করে বলার অবকাশ রাখে না। এরপরও আগুন নিয়ে হেলাফেলা কেন? অগ্নিকা-ের অধিকাংশ সূত্রপাতের ক্ষেত্রে যে বিষয়টি উঠে আসে তা হলো, অসতর্কতা। একটু সতর্কতার পাশাপাশি আগুন দ্রুত নির্বাপনের প্রয়োজনীয় উপকরণ হাতের কাছে রাখলে ক্ষয়ক্ষতির পরিমাই বহুলাংশে হ্রাস পায়।
ফাগুন মানে শুধু মনমাতানো দক্ষিণা বাতাস নয়, ফাগুন মানে শুধু মনের অজান্তে গুনগুনিয়ে গান নয়। আগুনও। আগানে-বাগানে শুকনো ঝরাপাতা যেমন পড়ে থাকে, তেমনই শুষ্ক মরসুমের কারণে সব কিছুই যেনো বারুদের মতো ফুঁসতে থাকে। এর মাঝে অসতর্কতায় চুলার আগুন নেভাতে ভুলে যাওয়া বা সিগারেট-বিড়ির আগুন না নিভিয়ে যেখানে সেখানে ফেলে দেয়ার কারণে যেমন বড় ধরনের অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটতে পারে, তেমনই বৈদ্যুতিক সটসার্কিট বা গ্যাসের চুলা কয়েক মাস অন্তর পরীক্ষা না করানোর কারণেও অগ্নিকা-ের ঘটনা ঘটতে পারে। শীতে গরুর গোয়ালে গরম ছাইয়ের বদলে ছড়ানো জলন্ত আগুনের সাজাল দেয়ার জন্য যেমন অধিকাংশ ক্ষেত্রে আগুন ধরে তেমনই গরমের সময় মশার কয়েলের কারণেও ধরতে পারে আগুন। অর্থাৎ যেখানেই আগুন সেখানেই বাড়তি সতকর্তার বিকল্প নেই। বাড়ি বানানোর আগে বাড়িতে কোন পথ দিয়ে ফায়ার স্টেশনের গাড়ি আসবে তা যেমন আগাম ভেবে রাস্তাটা সম্মিলিতভাবে প্রশস্ত করা দরকার তেমনই মহল্লাভিত্তিক আপতকালীন পানির জোগান পাওয়ার ব্যবস্থা রাখাও উচিত। এই উচিত কাজগুলো সচেতন সমাজ করে। আমরা তেমনটি কি করি? গ্রামে দূরের কথা, শহরে পৌর বিধি থাকলেও তার তেমন প্রয়োগ পরিলক্ষিত হয় না। ফলে ঘিঞ্জি পরিবেশে শুধু সম্পদ নয়, পুড়ে অঙ্গার হওয়ার ঝুঁকিও পদে পদে।
বৈদ্যুতিক সট সার্কিট যাতে না হয়, সেদিকে নজর রাখতে হয়। চুলার আগুন নেভানো হয়েছে কি-না তা নিশ্চিত না হয়ে অন্যের ওপর ভরসা রাখা যেমন দায়িত্বশীলের কাজ নয়, তেমনই সিগারেট বিড়ি না নিভিয়ে ছুড়ে ফেলা বোকামি। তাছাড়া সবসময় নিকটস্থ ফায়ার স্টেশন ও সিভিল ডিফেন্স স্টেশনের অর্থাৎ দমকলের ফোন ও সেলফোন নম্বর হাতের কাছে রাখা জরুরি। অন্যথায় বড়ধরনের ক্ষতির ঝুঁকি।