স্টাফ রিপোর্টার: পুলিশের পরিয়ে দেয়া হ্যান্ডকাপ নিয়ে পালিয়ে যাওয়া নেশাখোর দুজন প্রদীপ ম-ল ও রোকনকে পুনরায় গ্রেফতার করা হয়েছে। গ্রেফতারের পরপরই এ দুজন সুযোগ পেয়ে পলিয়ে যায়। হ্যান্ডকাপ নিয়ে পালানোর ৬ ঘণ্টার মাথায় দুজনকে আদিবাসীপাড়া থেকে স্থানীয়দের সহযোগিতায় পুলিশ পুনরায় ধরতে সক্ষম হয়। এদের বিরুদ্ধে মাদক মামলার পাশাপাশি হ্যান্ডকাপ নিয়ে পালানোর বিষয়েও মামলা রুজুর প্রক্রিয়া করছে পুলিশ। পুলিশের হ্যান্ডকাপ নিয়ে পালানো দুজনকে ধরতে এলাকার সাধারণ মানুষও মাঠে তল্লাশি শুরু করে। তারা ঝড় জঙ্গল কেটে দুজনকে ধরে পুলিশে দেয়ার জন্য যেনো ব্যস্ত হয়ে পড়ে।
জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদার কার্পাসডাঙ্গা আদিবাসিপাড়ার নদে ম-লের ছেলে প্রদীপ ম-ল (৪০), একইপাড়ার আজাদ আলঢীর ছেলে রোকন (৩৫) ও ইমান আলীর ছেলে বারিক আলীসহ (৪৫) বেশ কয়েকজন নেশার আখড়ায় বসে নেশা করছিলো। পুলিশ বলেছে, কার্পাসডাঙ্গা পুলিশ ফাঁড়ির এএসআই আলমগীর হোসেন সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে গতকাল বিকেলে ওই মাঠে অভিযান চালান। মাদক সেবনের আভিযোগ তুলে প্রদীপ ম-ল ও রোকনকে গ্রেফতার করেন। হাতে হ্যান্ডকাপ পরিয়ে দেয়া হয়। এছাড়াও গ্রেফতার করা হয় বারিককে। প্রদীপ ম-ল ও রোকন সুযোগ বুঝে হ্যান্ডকাপ পরেই সটকে পড়ে। মাঠের ক্ষেতের মধ্যে অবস্থান নেয়। শুরু হয় তল্লাশি। বহু খোঁজাখুজির পরও দুজনকে ধরতে না পারলে হ্যান্ডকাপ নিয়ে আসামি পালানোর খবর চাওয়ার হয়ে পড়ে। পদস্থ কর্মকর্তাদের কর্ণপাত হয়। কার্পাসডাঙ্গায় হাজির হন সহকারী পুরিশ সুপার (দামুড়হুদা-জীবননগর) সার্কেল কলিমুল্লাহ, দামুড়হুদা থানার অফিসার ইনচার্জ ইন্সপেক্টর আবু জিহাদসহ অনেকে। সহকারী পুলিশ সুপার দ্রুত আসামিদের পুনঃগ্রেফতারের যাবতীয় পদক্ষেপ নেয়ার নির্দেশ দেন। একই সাথে হ্যান্ডকাপ পরে আসামি পালানোর আড়ালে অভিযান পরিচালনাকারী অফিসারের কোনো গাফিলতি ছিলো কি-না তাও খতিয়ে দেখার জন্য তদন্তের পদক্ষেপ নেয়া হচ্ছে।
অবশেষে খবর পাওয়া যায়, পালিয়ে যাওয়া দুজনকে আদিবাসীপাড়া থেকে গতরাত পৌনে ১২টার দিকে পুলিশ ধরতে সক্ষম হয়। স্থানীয় জনতার সহযোগতায় দুজনকে পুনরায় গ্রেফতার করতে সক্ষম হওয়ায় সহকারী পুলিশ সুপার কলিমুল্লাহ এলাকাবাসীকে ধন্যবাদ জানিয়ে বলেছেন, হ্যান্ডকাপ পরে পালানো দুজনকে দ্রুত ধরিয়ে দিতে এলাকাবাসীর সহযোগিতার জন্য আমরা কৃতজ্ঞ।