কোটচাঁদপুরে প্রেমের প্রস্তাবে সাড়া না দেয়ায় স্কুলছাত্রীর মুখে বিষ ঢেলে হত্যা চেষ্টার অভিযোগ

 

কোটচাঁদপুর প্রতিনিধি: স্কুলছাত্রী রিমাকে প্রেমের প্রস্তাব দিয়ে সাড়া না পেয়ে তার মুখে বিষ ঢেলে হত্যার চেষ্টা করেছে অভিযুক্ত বখাটে নাজমুল। বিষে আক্রান্ত স্কুলছাত্রীকে কোটচাঁদপুর উপজেলা স্বাস্থ্য কমপ্লেক্সে ভর্তি করা হয়। তাকে উন্নত চিকিৎসার জন্য যশোর ২৫০ বেড হাসপাতালে নেয়ার জন্য ডাক্তাররা পরামর্শ দিলেও অর্থাভাবে মেয়েকে যশোরে নিতে পারছে না রিমার হতদরিদ্র পিতা।

জানা যায়, উপজেলার ফাদিলপুর গ্রামের রিপন আলীর সপ্তম শ্রেণি পড়–য়া কন্যা রিমা খাতুনকে (১৩) প্রতিবেশী আলমগীর হোসেনের ভবঘুরে ছেলে নাজমুল (২০) গত এক বছর যাবৎ উত্ত্যক্ত করে আসছে। স্কুলে যাওয়া-আসার পথে বখাটে নাজমুলের উত্ত্যক্তের ঘটনাটি রিমা অনেক আগে তার পরিবারকে জানায়। মেয়ের মুখ থেকে নাজমুলের বখাটেপনার কথা শুনে রিমার দরিদ্র পিতা প্রতিকারের জন্য আসাননগর-কুল্যাগাছা হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক নাজমুর রহমানকে অনুরোধ করেন। কিন্তু প্রধান শিক্ষক এ ব্যাপারে স্কুল কমিটির পক্ষ থেকে কোনো কার্যকর পদক্ষেপ নেননি। গ্রাম্য মোড়ল মাতব্বরাও এ ব্যাপারে কোনো কর্ণপাত করেনি। স্কুলের মেধাবীছাত্রী রিমা খাতুন নানা বাধা বিপত্তি পেরিয়ে লেখাপড়া চালিয়ে যেতে থাকে। এ অবস্থায় গত বুধবার দুপুরে রিমাকে বাড়িতে একা পেয়ে নাজমুল তাকে তুলে নিয়ে যায় এবং বিয়ের জন্য চাপ দেয়। রিমাকে বিয়ের প্রস্তাবে রাজি করাতে না পেরে তার হাত মুখ বেঁধে তাদের বাড়িতে ফেলে রেখে যায়। পরদিন বৃহস্পতিবার দুপুরে নাজমুল তার ৫-৬ জন সঙ্গী নিয়ে রিমাদের বাড়িতে চড়াও হয়। ঘটে অপ্রীতিকর ঘটনা এরপরই রিমার মুখে পাওয়া যায় বিষের গন্ধ। অভিযোগ তোলা হয়, হত্যার উদ্দেশে রিমাকে ধরে তার মুখে বিষ ঢেলে দেয়া হয়েছে। নাজমুল ও তার সঙ্গীরা যাওার সময় নানা হুমকি দিয়ে যায়।

এলাঙ্গী ইউপি সদস্য আকবর জানান, বখাটে নাজমুল রিমাকে হত্যার উদ্দেশে তার মুখে বিষ ঢেলে দিয়েছে বলে শুনেছি। আসাননগর-কুল্যাগাছা হাইস্কুলের প্রধান শিক্ষক নাজমুর রহমান রিমাকে উত্ত্যক্তের বিষয়টি তার পিতা তাকে জানিয়েছিলো কিন্তু কোনো পদক্ষেপ নেয়া হয়নি বলে তিনি জানান। নাজমুলের প্রভাবশালী আত্মীয়-স্বজন আইনের আশ্রয় না নেয়ার জন্য রিমার পরিবারকে নানাভাবে হুমকি দিয়ে চলেছে। বর্তমানে রিমার পরিবার একদিকে মেয়ের চিকিৎসা অন্যদিকে বখাটে নাজমুলের পরিবারের হুমকি ধামকিতে নিরাপত্তাহীনতায় ভুগছেন।