মুজিবনগরে হাত-পা বেঁধে বাকপ্রতিবন্ধী যুবতীকে ধর্ষণ : আত্মগোপনে অভিযুক্ত ধর্ষক খোকন

 

মুজিবনগর প্রতিনিধি: নানাবাড়ি বেড়াতে গিয়ে ধর্ষণের শিকার হয়েছে এক বাকপ্রতিবন্ধী যুবতী (১৫)। রাস্তা থেকে জোরপূর্বক তুলে নিয়ে গিয়ে মধ্যযুগীয় কায়দায় ধর্ষণ করেছে খোকন নামের এক অভিযুক্ত লম্পট। অসহায় প্রতিবন্ধী যুবতী ধর্ষণের ঘটনায় ফুঁসে উঠেছে এলাকাবাসী। অভিযুক্ত ধর্ষক খোকন আত্মগোপন করলেও তার ঘর থেকে ধর্ষণের আলামত হিসেবে রক্তমাখা কাপড় উদ্ধার করেছে পুলিশ। তার দৃষ্টান্তমূলক সাজা দাবি ও ধর্ষিতার পাশে দাঁড়ানোর আকুতি এখন গোটা এলাকার মানুষের মুখে মুখে। ঘটনাটি ঘটেছে গতকাল শনিবার সন্ধ্যায় মেহেরপুর মুজিবনগর উপজেলার শিবপুর গ্রামে।

ধর্ষিতার পরিবার ও পুলিশ সূত্রে জানা গেছে, গতকাল দুপুরে শিবপুর গ্রামে মায়ের সাথে নানাবাড়িতে বেড়াতে যাই বাকপ্রতিবন্ধী যুবতী। নানির কাছে রেখে একই গ্রামে ফুফার বাড়িতে যায় তার মা। এর কিছুক্ষণ পরে সে তার মাকে খুঁজতে নানির বাড়ি থেকে বেরিয়ে রাস্তায় ওঠে। তাকে একলা পেয়ে মাথায় কুবুদ্ধি আঁটে প্রতিবেশী মুকুলের ছেলে খোকন। তাকে জোরপূর্বক ধরে নিয়ে গিয়ে নিজের শয়নকক্ষে হাত-পা ও মুখ বেঁধে উপর্যুপরি ধর্ষণ করে খোকন। পরে বাকপ্রতিবন্ধীকে মুক্ত করে দিয়ে বাড়ি থেকে সটকে পড়ে। ওই প্রতিবন্ধী নানিবাড়ি ফিরে ইশারায় বিষয়টি বোঝায়। তার কথায় সাড়া দিলে সে খোকনের বাড়িতে নিয়ে যায় তার মা ও নানা বাড়ির লোকজনকে। সেখানে বিছানায় রক্ত দেখতে পেয়ে বিষয়টি নিশ্চিত হয় পরিবারের লোকজন।

এদিকে ধর্ষণের বিষয়টি জানাজানি হলে গ্রামের মানুষের মাঝে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। এ সুযোগে আত্মগোপন করে অভিযুক্ত লম্পট ধর্ষক খোকন। খবর পেয়ে মুজিবনগর থানা পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। সেকেন্ড অফিসার এসআই মতিউর রহমান সেখান থেকে আলামত সংগ্রহ করেন। রাতেই খোকনকে আসামি করে মুজিবনগর থানায় মামলা দায়েরের প্রস্তুতি চলছিলো। বাকপ্রতিন্ধীর ডাক্তারি পরীক্ষা করানোর জন্য পুলিশ হেফাজতে রাখা হয়েছে। এদিকে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে ধর্ষিতা ও তার পরিবারের লোকজনের সাথে কথা বলেছেন অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আব্দুল আল মাহমুদ। দ্রুত আসামি গ্রেফতারে মুজিবনগর থানা পুলিশকে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা দিয়েছেন তিনি।

বাকপ্রতিবন্ধীর পরিবার ও এলাকার কয়েকটি সূত্রে জানা গেছে, অভিযুক্ত ধর্ষক খোকনের পিতা এলাকার একজন চিহ্নিত ব্যক্তি। অভিযোগ ও মামলার কারণে তিনি আত্মগোপনে থাকেন। প্রকাশে তিনি চলাফেরা করতে পারেন না। তার বিরুদ্ধে এলাকায় সন্ত্রাসী কার্যকলাপের অভিযোগ রয়েছে। খোকনের বিরুদ্ধেও বেশ কিছু অভিযোগ রয়েছে। তাই দ্রুত তাকে গ্রেফতার করে দৃষ্টান্তমূলক সাজা নিশ্চিত করা না গেলে ধর্ষিতার পরিবার হুমকির মধ্যে পড়তে পারে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করলেন অনেকেই। মুজিবনগর থানার সেকেন্ড অফিসার মতিউর রহমান বলেন, খবর পাওয়ার সাথে সাথে খোকনকে গ্রেফতার করতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। বিভিন্ন মাধ্যম দিয়ে তার অবস্থান নিশ্চিত হওয়ার চেষ্টা চলছে।