আলমডাঙ্গা কলাকেন্দ্রের শিক্ষার্থী রজনী ও সিনথিয়া ঢাকায় যাচ্ছে

 

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: উপজেলা, জেলা ও বিভাগীয় পর্যায়ে শ্রেষ্ঠত্ব অর্জন করে আলমডাঙ্গা কলাকেন্দ্রের শিক্ষার্থী রজনী ও সিনথিয়া জাতীয় শিশু পুরস্কার প্রতিযোগিতায় অংশ নিতে এবার ঢাকায় যাচ্ছে। ইতঃপূর্বে জাতীয় প্রাথমিক শিক্ষা পুরস্কার প্রতিযোগিতা-১৬ তে অংশ নিয়ে সারাদেশে ৩য় হয়ে প্রধানমন্ত্রীর হাত থেকে পদক নিয়ে ঘরে ফেরে রজনী খাতুন। ৪র্থ শ্রেণির ছাত্রী সিনথিয়ার অবশ্য এটাই হবে প্রথম জাতীয় প্রতিযোগিতায় অংশ গ্রহণ। জানা গেছে, উপজেলার প্রত্যন্ত রায়সা গ্রামের দরিদ্র মাছ ব্যবসায়ী লিটন আলীর মেয়ে রজনী খাতুন। রজনী খাতুন ৬ষ্ঠ শ্রেণির ছাত্রী।

অন্যদিকে সিনথিয়া আলমডাঙ্গার আরেক প্রত্যন্ত গ্রাম ভোদুয়ার সাইদুর রহমানের মেয়ে। সে ৪র্থ শ্রেণির ছাত্রী। লেখাপড়ার পাশাপাশি তারা উভয়ে আলমডাঙ্গা কলাকেন্দ্রে সঙ্গীত শিখছে। এ বছর অনুষ্ঠিত জাতীয় শিশু পুরস্কার প্রতিযোগিতায় দুজনই অংশগ্রহণ করে ক বিভাগে। গত ১৮ জানুয়ারি ও ২৫ জানুয়ারি অনুষ্ঠিত যথাক্রমে উপজেলা ও জেলা পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় রজনী হামদ-নাত, ভাবসঙ্গীত ও দলীয় জারি গানে ১ম হয় স্থান অর্জন করে। সিনথিয়াও উপজেলা ও জেলা পর্যায়ের প্রতিযোগিতায় পল্লিগীতিতে ১ম স্থান অর্জন করে। গত ৩ ফেব্রুয়ারি ছিলো বিভাগীয় পর্যায়ের প্রতিযোগিতা। যশোর জেলা স্কুলে এ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। বিভাগীয় এ প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে রজনী হামদ-নাতে ১ম, ভাব সঙ্গীত, দেশাত্ববোধক ও জারিগানের সবগুলোতে ২য় স্থান অধিকার করে। আর সিনথিয়া? সিনথিয়া পল্লিগীতি গেয়ে ১ম স্থান অধিকার করে। একই ক্লাবের আরমান হোসেন লিটন উপস্থিত বক্তব্যে ২য় স্থান অর্জন করে।

আগামী এপ্রিল মাসের ১ম সপ্তায় ঢাকাতে জাতীয় পর্যায়ের চূড়ান্ত প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হবে। ওই প্রতিযোগিতায় অংশ নিয়ে আলমডাঙ্গা কলাকেন্দ্রের ২ মেধাবী প্রতিযোগি রজনী ও সিনথিয়া দেশসেরার খেতাব ছিনিয়ে নিতে অনুশীলনে ব্যস্ত। কলাকেন্দ্রের ২ কর্নধার ইকবাল হোসেন ও রেবা সাহা অপত্য স্নেহে তাদেরকে সঙ্গীতে তালিম দিচ্ছেন। গত বছর বিটিভির রজত জয়ন্তী উপলক্ষে আয়োজিত সঙ্গীত প্রতিযোগিতায় রজনী খাতুন সারাদেশে লালনগীতিতে ২য় ও নজরুলসঙ্গীতে ৩য় হওয়ার গৌরব অর্জন করে। আগের বছর আলমডাঙ্গা কলাকেন্দ্রের শিক্ষার্থি তমা বিশ্বাস জাতীয় শিশু পুরস্কার প্রতিযোগিতায় দেশসেরা হয়ে প্রেসিডেন্ট আব্দুল হামিদের হাত থেকে স্বর্ণপদক লাভ করেছেন। কলাকেন্দ্রের আরেক ছাত্রী ঝর্ণা খাতুন একই প্রতিযোগিতায় ভাবসঙ্গীতে উপজেলা ও জেলা পর্যায়ে ১ম স্থান ও খুলনা বিভাগীয় পর্যায়ে ২য় স্থান অধিকার করে। তাছাড়া কলাকেন্দ্রের শিক্ষার্থী পিংকি সম্প্রতি বিটিভির নিয়মিত তালিকাভুক্ত নৃত্যশিল্পী হিসেবে মনোনয়ন পেয়েছে। ২০০৭ সালে বৈশাখী টেলিভিশন আয়োজিত পদ্মকুঁড়ি প্রতিযোগিতায় সারাদেশে প্রথম হয়েছিলো এ কলাকেন্দ্রের সাবেক শিক্ষার্থী কৃপা। কৃপা বর্তমানে স্কলারশিপ নিয়ে জাপানে নাচের ওপর ধ্রুপদী প্রশিক্ষণ নিচ্ছে। বিভাগীয় প্রতিযোগিতায় সিনথিয়া ও রজনীর সাথে আলমডাঙ্গা কলাকেন্দ্রের সঙ্গীত ও নৃত্যের প্রশিক্ষক হিসেবে এসএম সেলিম ও তবলাসহ বাদ্যযন্ত্রের প্রশিক্ষক সুশীল কর্মকার তার গানে সঙ্গত দেন।