ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের এফ ইউনিটে প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ ॥ তদন্ত কমিটি

ইবি প্রতিনিধি: ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ে (ইবি) ২০১৬-১৭ শিক্ষাবর্ষে ¯œাতক (সম্মান) শ্রেণির প্রথমবর্ষের এফ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষায় প্রশ্ন ফাঁসের অভিযোগ উঠেছে। বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগ এ অভিযোগ তুলেছেন। ছাত্রলীগের অভিযোগ, এফ ইউনিটে প্রশ্ন ফাঁসের ঘটনা ঘটেছে। এতে করে অর্থের বিনিময়ে অযোগ্যরা চান্স পেয়েছে। অভিযোগ তদন্তে তিন সদস্যের একটি তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। কমিটিকে খুব শিগগিরই প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে। বুধবার উপাচার্য অধ্যাপক ড. হারুন উর রশিদ আসকারী এ কমিটি গঠন করেন।
বিশ্ববিদ্যালয়ের ভারপ্রাপ্ত রেজিস্ট্রার এসএম আব্দুল লতিফ বলেন, বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত এফ ইউনিটের প্রকাশিত ফলাফল নিয়ে কতিপয় মহলে প্রশ্ন উত্থাপিত হওয়ায় তদন্ত কমিটি গঠন করেছে বিশ্ববিদ্যালয় প্রশাসন। গণিত বিভাগের অধ্যাপক ড. এসএম মোস্তফা কামালকে আহ্বায়ক করে তিন সদস্যের একটি কমিটি গঠন করা হয়েছে। কমিটির অন্য সদস্যরা হলেন- কম্পিউটার সায়েন্স অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং বিভাগের অধ্যাপক ড. আহসান উল আম্বিয়া ও প্রক্টর অধ্যাপক ড. মাহবুবর রহমান। কমিটিকে যথাশিগগিরই সম্ভব প্রতিবেদন জমা দিতে বলা হয়েছে।
গত ৭ ডিসেম্বর এফ ইউনিটের ভর্তি পরীক্ষা অনুষ্ঠিত হয়। ছাত্রলীগের অভিযোগ, এফ ইউনিটের প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে। এতে করে কতিপয় অযোগ্য ও কম মেধাবী চান্স পেয়েছে। ছাত্রলীগের ভাষ্যমতে, মেধা তালিকায় স্থান পাওয়া তিথি খাতুন (ভর্তি পরীক্ষার রোল-০০২৮২, মেধাক্রম দ্বিতীয়), শিলন হোসেন (ভর্তি পরীক্ষার রোল-০০০৫৩, মেধাক্রম-৩), হিরামুন ম-ল (ভর্তি পরীক্ষার রোল-০২৭৫৭, মেধাক্রম চতুর্থ), নিরা খাতুন (ভর্তি পরীক্ষার রোল-০০১৪৪, মেধাক্রম-৮), মো. সাইদুর রহমান (ভর্তি পরীক্ষার রোল-০১১৪৩, মেধাক্রম-১৮), সুমাইয়া তাবাসসুম (ভর্তি পরীক্ষার রোল-০১৫৭১, মেধাক্রম-৩০), ইনতে খা বিনতে সাগর (ভর্তি পরীক্ষার রোল-০২২৫২, মেধাক্রম-৩২)।
অনুসন্ধান করে জানা গেছে, মেধা তালিকায় দ্বিতীয় স্থানপ্রাপ্ত তিথি খাতুন এফ ইউনিটে ৮০ নাম্বারের প্রশ্নে গণিতে ৬০ এর মধ্যে ৫১ এবং ইংরেজি ২০ নাম্বারের মধ্যে ১৪ পেয়েছেন। অথচ তিনি বিজ্ঞান অনুষদভুক্ত ই ইউনিটের পরীক্ষায় ফেল করেছেন। তিনি ই ইউনিটে গণিত প্রশ্নে উত্তর করেননি। ডি ইউনিটে অপেক্ষমান তালিকায় থাকলেও তার অবস্থান ৭শ জনের পরে। বিশ্ববিদ্যালয় শাখা ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদক অমিত কুমার দাস বলেন, এফ ইউনিটের প্রশ্ন ফাঁস হয়েছে। এতে করে কতিপয় অযোগ্য ও কম মেধাবীরা ভর্তি হওয়ার সুযোগ পেয়েছে। এরা যে অর্থের বিনিময়ে ভর্তি হয়েছে সে বিষয়ে আমাদের কাছে সুস্পষ্ট তথ্য প্রমাণ আছে। তদন্ত করলেই এর সত্যতা বেরিয়ে আসবে। এ বিষয়ে জানতে চেয়ে এফ ইউনিটের সমন্বয়কারী সহকারী অধ্যাপক নুরুল ইসলামের সাথে ফোনে যোগাযোগ করা হলে তার ফোন বন্ধ পাওয়া যায়।