অবশেষে ঝিনাইদহের নাটোপাড়া ঘাটে সেতু হচ্ছে

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: অবশেষে ঝিনাইদহ-মাগুরা সীমান্তে ফটকী নদীর নাটোপাড়া ঘাটে সেতুর নির্মাণকাজ শুরু হয়েছে। দীর্ঘ ঠেলাঠেলির পর মাগুরার এলজিইডি ২ কোটির অধিক টাকা ব্যয়ে এই সেতুর নির্মাণকাজ শুরু করেছে। ইতোমধ্যে ৪৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে বলে জানিয়েছে এলজিইডি কর্তৃপক্ষ। আগামী জুন মাসে  সেতুটি জনসাধারণের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত হতে পারে বলে আশা সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের।
ওই ঘাটে একটি সেতু না থাকায় ঝিনাইদহের কালীগঞ্জ ও মাগুরার শালিখা উপজেলার মানুষের ভোগান্তির শেষ ছিলো না। বাঁশের সাঁকো বানিয়ে স্থানীয় লোকজন কোনো রকমে যোগাযোগব্যবস্থা চালু রেখেছিলেন। কিন্তু দুই জেলার সীমান্তে এই ঘাট হওয়ায় সেতুটি নির্মাণে কেউ এগিয়ে আসছিলো না। ঝিনাইদহের এলজিইডির বক্তব্য ছিলো, নদীর বেশি অংশ মাগুরার মধ্যে হওয়ায় সেতুটি করা তাদের দায়িত্ব। মাগুরার এলজিইডির দাবি ছিলো, ঝিনাইদহের একটি বৃহৎ অংশ এই সেতু দিয়ে পারাপার হবে, ফলে এটা তাদের দায়িত্ব। এতে স্থানীয় লোকজন ভোগান্তির শিকার হচ্ছিলো। এ নিয়ে গণমাধ্যমে সংবাদ প্রকাশিত হয়। এরপর নড়েচড়ে বসে মাগুরার এলজিইডি কর্তৃপক্ষ। তারা ওই স্থানে সেতু নির্মাণের উদ্যোগ নেয়।
ওই এলাকায় গিয়ে কথা হয় স্থানীয়দের সাথে। এ সময় নাটোপাড়া গ্রামের বাসিন্দা শহিদুল ইসলাম বলেন, নাটোপাড়া কালীগঞ্জ উপজেলার পূর্বাঞ্চলের শেষ গ্রাম। এই গ্রামের অপর প্রান্তে রয়েছে শালিখার মশাখালী। নাটোপাড়ার পাশ দিয়ে ফটকী নদী বয়ে মাগুরার ভেতরে প্রবেশ করেছে। এই নদীতে নাটোপাড়া গ্রামের নিচে রয়েছে একটি ঘাট। যে ঘাটের দুই প্রান্তে রয়েছে পিচঢালা পথ। এই পিচঢালা পথই ঝিনাইদহ থেকে শালিখায় যোগাযোগের একমাত্র অবলম্বন। এই সেতু নির্মাণ শুরু হওয়ায় দুই উপজেলার মানুষের যোগাযোগের দীর্ঘদিনের কষ্ট দুর হতে চলেছে।
মাগুরার এলজিইডির নির্বাহী প্রকৌশলী মির্জা মো. ইফতেখার আলী বলেন, ফটকী নদীর নাটোপাড়া ঘাটে তারা সেতু নির্মাণের জন্য বৃহত্তর যশোর জেলা উন্নয়ন প্রকল্পের আওতায় একটি বাজেট দেন। সেটি অনুমোদিত হলে দরপত্র আহ্বান করেন। শেষে ২ কোটি ১৩ লাখ ৬৬ হাজার টাকায় সেতুটি নির্মাণের জন্য ২০১৬ সালের সেপ্টেম্বরে ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠানের সাথে চুক্তি সম্পন্ন হয়। এরপর শুরু হয় কাজ।
ঝিনাইদহের ইউনিক কনস্ট্রাকশন (প্রা.) লিমিটেড নামের একটি প্রতিষ্ঠান এই সেতু নির্মাণের কাজ করছে। ইতোমধ্যে ৪৫ শতাংশ কাজ শেষ হয়েছে। কাজের মানও ভালো। আশা করছেন, আগামী জুনে সেতুর নির্মাণকাজ শেষ হলে তা জনগণের চলাচলের জন্য উন্মুক্ত করে দেয়া হবে।