বাংলাদেশের উন্নয়ন দেখে বিশ্ব নেতারা অভিভূত : প্রধানমন্ত্রী

 

স্টাফ রিপোর্টার: প্রধানমন্ত্রী ও আওয়ামী লীগ সভানেত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, বাংলাদেশের আর্থ-সামাজিক উন্নয়ন দেখে এখন বিশ্ব নেতারা অভিভূত। তাই বাংলাদেশের ব্যাপারেও তারা আগের দৃষ্টিভঙ্গি পরিবর্তন করেছেন। সুইজারল্যান্ডে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) সম্মেলনে যোগদান শেষে গতকাল শনিবার সকালে প্রধানমন্ত্রী দেশে ফেরেন। বিকেলে গণভবনে আওয়ামী লীগের নেতাদের সাথে কুশল বিনিময়কালে প্রধানমন্ত্রী আরো বলেন, আগে তো এসব সম্মেলনে (ডব্লিউইএফ) বাংলাদেশ দাওয়াত পেতো না। সুন্দরবনের অদূরে রামপাল বিদ্যুত কেন্দ্র নির্মাণ নিয়ে সুইজারল্যান্ডে ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরামের (ডব্লিউইএফ) সম্মেলনে বিশ্ব পরিবেশবাদীদের প্রশ্নের মুখে পড়েছিলেন সফররত প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। গণভবনে কুশল বিনিময় অনুষ্ঠানে উপস্থিত আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় একজন নেতা জানান, এই বিষয়টিকে পরিকল্পিত বলে মনে করছেন প্রধানমন্ত্রী। তিনি বলেন, নোবেল বিজয়ী ড. মুহাম্মদ ইউনূস সাহেবদের তো অনেক টাকা। তারা টাকা খরচ করিয়ে সেখানে এ ইস্যুটি উত্থাপন করতে পারেন। প্রসঙ্গত, ডব্লিউইএফের সম্মেলনে যুক্তরাষ্ট্রের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট পরিবেশবাদী আল গোর রামপাল প্রসঙ্গ তুলে আনেন। অনুষ্ঠানে আল গোর বলেন, ‘গত বছর পর্যন্ত বাংলাদেশ বিশ্বের সবচেয়ে দ্রুত সৌরশক্তির প্যানেল স্থাপনকারী দেশ ছিলো। কিন্তু এখন সেখানে বিশ্বের সবচেয়ে বড় ম্যানগ্রোভ ফরেস্ট, রয়েল বেঙ্গল টাইগারের সর্বশেষ আশ্রয়স্থল সুন্দরবনে পরিবেশ দূষণকারী একটি নতুন কয়লাভিত্তিক বিদ্যুতকেন্দ্র নির্মাণের কাজ চলছে। হাজার হাজার মানুষ এর বিরুদ্ধে বিক্ষোভ করছে। গণভবনে সাক্ষাত করতে যাওয়া একাধিক কেন্দ্রীয় নেতা জানান, যুব মহিলা লীগের সাধারণ সম্পাদক অপু উকিল গতকাল রামপাল নিয়ে আল গোরের বক্তব্যের প্রসঙ্গ তোলেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমিও বিশ্ব নেতাদের, পরিবেশবাদীদের চ্যালেঞ্জ দিয়ে বলে এসেছি আপনারা পরিবেশবাদীরা বাংলাদেশে আসেন। আমরা সব দেখাবো। পৃথিবীর যেকোনো পরিবেশবাদী রামপাল প্রকল্প দেখতে আসতে পারেন।

গণভবনে প্রধানমন্ত্রী প্রায় ১০ মিনিট দলের নেতাদের সঙ্গে কুশল বিনিময় করেন। এসময় গণভবনে সাক্ষাত্ করতে যাওয়া কেন্দ্রীয় নেতারা প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ও তার বোন শেখ রেহানার সুইজারল্যান্ডে বরফ খেলায় অংশ নেয়া ও ছবি তোলার বিষয়টি নিয়ে প্রশংসা করেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, বরফের দেশে গেলাম তাই ছবি তুললাম। অনেক ঠাণ্ডা। মাইনাস থেকে প্লাসে আসলাম। প্রধানমন্ত্রীকে আগামী ২৪ জানুয়ারি ছাত্রলীগের পুনর্মিলনী অনুষ্ঠানে আমন্ত্রণ জানান দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের। আমন্ত্রণপত্র গ্রহণ করে শেখ হাসিনা বলেন, অনুষ্ঠানে সবাইকে একটু একটু বক্তব্য রাখতে দিও, আর অনুষ্ঠানের খরচ সাবেক ছাত্র নেতাদের কাছ থেকে নিও।