সালেহা কুমকুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামানায় দোয়া

 

স্টাফ রিপোর্টার: সালেহা কুমকুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনায় আয়োজিত মিলাদ মাহফিলে দলমত নির্বিশেষে সর্বস্তরের নারী-পুরুষ শিশু কিশোর বৃদ্ধ-বৃদ্ধা শরিক হয়ে দু হাত তুলে দোয়া করেছেন। গতকাল সোমবার বাদ আছর তার পিতা ইদ্রিস আলী সরদারের চুয়াডাঙ্গা দৌলাতদিয়াড় সরদারপাড়াস্থ বাড়িতে এ মিলাদ মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়।

গত শনিবার সকালে ঢাকা গুলাশান-২’র নতুনবাজার খন্দকারবাড়ি মোড়স্থ ভাড়ার বাসায় মৃত্যুবরণ করেন সালেহা কুমকুম। মাত্র ৩৬ বছর বয়সে দৈনিক মাথাভাঙ্গা পরিবারসহ নিকটজনদের শোকসাগরে ভাসিয়ে চলে গেলেন তিনি। কী হয়েছিলো যে তাকে অকালে চলে যেতে হলো? জন্ডিস? ক’দিনের অসুস্থতা আর হঠাৎ মৃত্যুতে সান্ত্বনা খুঁজে পাচ্ছেন না আত্মীয় স্বজন। শনিবারই রাত ১১টায় দৌলাতদিয়াড় সরদারপাড়া ঈদগাহ ময়দানে নামাজে জানাজা শেষে নিকটস্থ মহল্লার কবরস্থানে পারিবারিক অংশে দাফন কাজ সম্পন্ন করা হয়। মৃত্যুকালে কুমকুম তার স্বামী, এক ছেলে, এক মেয়ে, মাতা-পিতা, তিন ভাইসহ বহু গুণগ্রাহী রেখে গেছেন।

গতকাল বিকেলে তার পিতার বাড়ি মিলাদ মাহফিলের আয়োজন করা হয়। চুয়াডাঙ্গা জেলা আওয়ামী লীগের সহসভপতি খুস্তার জামিল, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক সাবেক পৌর মেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন, জেলা বিএনপির যুগ্ম আহ্বায়ক খন্দকার আবদুল জব্বার সোনা, অ্যাড. ওয়াহেদুজ্জামান বুলা, মজিবুল হক মালিক মজু, কৃষকদল নেতা অ্যাড. আব্দুর রউফ, জেএসডি কেন্দ্রীয় নেতা চুয়াডাঙ্গা সহিত্য পরিষদের সভাপতি তৌহিদ হোসেন, সাধারণ সম্পাদক জহিদুল ইসলাম, দৈনিক মাথাভাঙ্গার কর্মকর্তা, প্রতিবেদক, কর্মচারী, প্রেসক্লাব নেতৃবৃন্দসহ স্থানীয় বিভিন্ন পত্র-পত্রিকার প্রতিনিধি, বিভিন্ন পেশার মানুষ, সামাজিক নেতৃবৃন্দসহ আত্মীয়স্বজন, মহল্লাবাসী মিলাদ মাহফিলে উপস্থিত ছিলেন। দৌলাতদিয়াড় জামে মসজিদের পেশ ইমাম মাওলানা এবিএম হোসাইন দোয়া পরিচালনা করেন। কোরআন-হাদিসের আলোকে আলোচনা করেন কয়েকজন।

সালেহা কুমকুমের বিদেহী আত্মার মাগফেরাত কামনায় অনুষ্ঠিত মিলাদ মাহফিলে সর্বস্তরের নারী-পুরুষ শরিক হওয়ায় সালেহা কুমকুমের বড় ভাই দৈনিক মাথাভাঙ্গা সম্পাদক সরদার আল আমিনসহ পরিবারের সকলে কৃতজ্ঞতা প্রকাশ করে পুনরায় একমাত্র বোনের রুহের মাগফেরাত কামানায় দোয়া চেয়েছেন।

প্রসঙ্গত, চুয়াডাঙ্গা সরদারপাড়ার ইদ্রিস আলী সরদার ও শিরিনা বেগমের তিন ছেলে এক মেয়ের মধ্যে সরদার আল আমিন বড়। সালেহা কুমকুম তার দু শিশু সন্তান ও স্বামীকে নিয়ে ঢাকায় বসবাস করতেন। স্বামী আরিফুল ইসলাম মিঠু প্লান ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশে চাকরি করেন। শিশু দু সন্তানের মধ্যে ছেলে ৪র্থ ও মেয়ে ৮ম শ্রেণির শিক্ষার্থী।