মেহেরপুর সরকারি মহিলা কলেজে পিঠা উৎসব অনুষ্ঠিত

 

মেহেরপুর অফিস: শীত এলেই এক সময় পিঠাপুলি তৈরির ধুম লেগে যেত গ্রামের বাড়িতে। অথিতি আপ্যায়নের জন্য ব্যবহার করা হত নানা রকমের পিঠা-পুলি। কিন্তু সেই গ্রামীণ ঐতিহ্য হারিয়ে যেতে বসেছে। তরুন প্রজন্মের কাছে হারিয়ে যেতে বসা পিঠার পরিচিত করতে মেহেরপুরের সরকারি মহিলা কলেজে অনুষ্ঠিত হলো পিঠা উৎসবের। চন্দ্রপুলি, ভাপা, নকশি, গকুল, চিতই, পাঠিসাপটা, আন্দোসা, বিস্কুট, তালের পিঠাসহ নানা ধরনের পিঠার পসরা সাজিয়ে বসেছিলো কলেজের শিক্ষার্থীরা। অনেকেই ভিড় জমাচ্ছেন উৎসবে। কেউ কিনছিলেন; কেউ খাচ্ছিলেন। আবার কেউবা নিয়ে যাচ্ছিলেন প্রিয়জনের জন্য। পিঠা পুলির এ আয়োজনকে সাধুবাদ জানিয়েছেন অনেকেই।

সূর্যমুখি স্টলের ইলমি, মুন্নি, তামান্না ও মৌটুসি জানান- পড়ালেখার পাশাপাশি বন্ধুদের উৎসবে মেতে ওঠার সময় খুব কমই হয়। কিন্তু পিঠা উৎসব আয়োজনের ফলে আনন্দে মেতে উঠার সুযোগ করে দিয়েছে। পাশপাশি বিভিন্ন ধরনের পিঠা তৈরি করে স্টলে বিক্রি করার মাঝেই আনন্দ তাদের। এতে তরুণরা বিভিন্ন পিঠার সাথে পরিচয় হতে পারছে। অপরদিকে বন্ধুরা এক সাথে পিটা খেয়ে একে অপরের সাথে আনন্দ উপভোগ করতে পারছে।

মেহেরপুর সরকারি কলেজের সহযোগী অধ্যাপক আব্দুল্লাহ-আল আমিন জানান, গ্রামবাংলার মানুষের চিত্ত বিনোদন ও নির্মল আনন্দ উপভোগের জন্য বছরের অধিকাংশ সময় আয়োজন করা হতো বিভিন্ন আচার অনুষ্ঠানের। এখন আর এসব অনুষ্ঠানের আয়োজন করা হয় না। ফলে তরুণ প্রজন্ম বিভিন্ন অপরাধের সাথে জড়িয়ে পড়ছে। পিঠা উৎসবের মাধ্যমে গ্রামবাংলার সেই হারানো ঐতিহ্য আবারও শহরে ফিরে আসবে এমনটিই মনে করনে তিনি।

মেহেরপুর সরকারি মহিলা কলেজের বাংলা বিভাগের প্রধান কাজী আশরাফুল আলম জানান, বাংলার হারনো ঐতিহ্যগুলো আবারও বাংলা বিভাগের ছাত্র-ছাত্রীরা ফিরিয়ে আনতে পারে। হারানো এসব গৌরব ফিরে আনার লক্ষ্যে ও শহরের মানুষের কাছে বিভিন্ন প্রকারের পিঠার সাথে পরিচয় করিয়ে দিতে এ ধরনের আয়োজন বলে জানান তিনি।

সোমবার বেলা ১টার দিকে মেহেরপুর সরকারি মহিলা কলেজে বাংলা বিভাগের উদ্যোগে এ পিঠাপুলি উৎসবের আয়োজন করা হয়। উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মেহেরপুর সরকারি মহিলা কলেজের অধ্যক্ষ প্রফেসর একেএম সোলাইমান আলী, মেহেরপুর সরকারি কলেজের সহযোগী অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল আমিন, অবসরপ্রাপ্ত সহাকারী অধ্যাপক ড. গাজি রহমান।