বিতর্কহীন ভোটের জন্য সব দলকে চেষ্টা করতে হবে

 

স্টাফ রিপোর্টার: রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ বলেছেন, বিতর্কহীন, অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের জন্য সব রাজনৈতিক দলের চেষ্টা থাকা বাঞ্ছনীয়। গতকাল সোমবার বিকেলে বঙ্গভবনে নির্বাচন কমিশন (ইসি) গঠনে তিনটি রাজনৈতিক দলের সাথে ধারাবাহিক আলোচনায় রাষ্ট্রপতি এ কথা বলেন।  রাষ্ট্রপতি আজ পর্যায়ক্রমে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিস, বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি-ন্যাপ এবং গণফ্রন্টের সাথে আলোচনা করেন। প্রতিটি দলের ১০ সদস্যের প্রতিনিধি এতে অংশ নেন। পরে বঙ্গভবন থেকে পাঠানো এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এসব তথ্য জানানো হয়।

প্রথমে রাষ্ট্রপতির সাথে আলোচনায় বাংলাদেশ ন্যাশনাল আওয়ামী পার্টি (ন্যাপ) অংশ নেয়। দলের চেয়ারম্যান জেবেল রহমান গানির নেতৃত্বে ১১ সদস্যের প্রতিনিধি দল রাষ্ট্রপতির সাথে বৈঠক করেন। বৈঠক শেষে জেবেল রহমান গানি সাংবাদিকদের বলেন, আমরা ৫ থেকে ৭ সদস্য বিশিষ্ট একটি সার্চ কমিটি গঠনের প্রস্তাব দিয়েছি। এই কমিটির প্রধান হবেন বিতর্কমুক্ত সাবেক প্রধান বিচারপতি। প্রতিনিধি দলের সদস্যদের মধ্যে রয়েছেন- পার্টির মহাসচিব এম গোলাম মোস্তফা ভূঁইয়া, গোলাম সারওয়ার খান, সাদ্দাম হোসেন, ব্যারিস্টার মশিউর রহমান গানি, মনির এনায়েত মল্লিক, মো. ফারহানুল হক, সৈয়দ শাহজাহান সাজু প্রমুখ। ন্যাপের আগে একই দিন নির্বাচন কমিশন পুনর্গঠনে রাষ্ট্রপতি আবদুল হামিদের সাথে বঙ্গভবনে বৈঠক করে পৃথক সচিবালয় গঠনসহ পাঁচদফা প্রস্তাব দিয়েছে বাংলাদেশ খেলাফত মজলিশ।  সবশেষ রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদের সাথে আলোচনায় অংশ নেয় গণফ্রন্ট। পার্টির চেয়ারম্যান মো. জাকির হোসেনের নেতৃত্বে সংগঠনের নেতারা বঙ্গভবনে আসেন। রাষ্ট্রপতি তাদের স্বাগত জানান। গণফ্রন্টের চেয়ারম্যান এ সময় নিরপেক্ষ ও অর্থবহ নির্বাচনের জন্য একটি শক্তিশালী নির্বাচন কমিশন গঠন ও যুগোপযোগী আইন প্রণয়নের প্রস্তাব করেন। তারা নির্বাচন কমিশনের পূর্ণ স্বাধীনতা নিশ্চিত করার প্রস্তাব দেন। সৎ, দুর্নীতিমুক্ত এবং মুক্তিযুদ্ধ ও স্বাধীনতায় বিশ্বাসীদের সমন্বয়ে নয় সদস্যের নির্বাচন কমিশন গঠনের প্রস্তাব দেন, যাতে তিনজন নারী সদস্য থাকবেন। এর পাশাপাশি গণফ্রন্ট ইলেকট্রনিক ভোটিং সিস্টেম চালুরও প্রস্তাব করেন। তারা আশা প্রকাশ করেন, নির্বাচন কমিশন গঠনে রাষ্ট্রপতির উদ্যোগ কার্যকর ও ফলপ্রসূ হবে। দলের চেয়ারম্যান নির্বাচন কমিশন গঠনে ১৪ দফা প্রস্তাব তুলে ধরেন।