জনগণ সেবা নিতে এসে যাতে কোনো হয়রানির শিকার না হয়

আলমডাঙ্গা থানার উদ্যোগে আলোচনাসভায় ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার বেলায়েত হোসেন

 

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: আলমডাঙ্গা থানার উদ্যোগে ১৩টি পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জদের সাথে আইনশৃঙ্খলা বিষয়ে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার বেলা ১টার দিকে থানা চত্বরে আলোচনাসভায় অফিসার ইনচার্জ আকরাম হোসেনের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি ছিলেন ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার বেলায়েত হোসেন। বিশেষ অতিথি ছিলেন সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার (সদর সার্কেল) ছুফী উল্লাহ, পুলিশ পরিদর্শক (তদন্ত) মেহেদী রাসেল, বড়গাংনী তদন্তকেন্দ্রের আইসি ইন্সপেক্টর খলিলুর রহমান। এসআই মিজানুর রহমানের পরিচালনায় বক্তব্য রাখেন- থানার সেকেন্ড অফিসার জিয়াউর রহমান, এসআই সাজ্জাদুর রহমান, বড়গাংনী তদন্তকেন্দ্রের এসআই জামাল উদ্দিন, মুন্সিগঞ্জ ক্যাংম্পের আইসি এএসআই ওয়াহেদুজ্জামান, পাঁচকমলাপুর ক্যাম্পের আইসি এসআই মহাব্বত আলী, গোকুলখালী ক্যাম্পের আইসি এসআই বজলুর রশীদ, হাঁপানিয়া ক্যাম্পের আইসি এসএসআই মোহাম্মদ খালিদ হোসেন, হাটবোয়ালিয়া ক্যাম্পের আইসি এসআই আব্দুল গফুর, ওসমানপুর ক্যাম্পের আইসি এএসআই ফসিয়ার আলী, দুলর্ভপুর ক্যাম্পের আইসি এসএসআই শাহীন হোসেন, পাইকপাড়া ক্যাম্পের আইসি এসআই মোফাজ্জেল হোসেন, জামজামি ক্যাম্পের আইসি এসআই বাবুল আক্তার, তিয়রবিলা ক্যাম্পের আইসি এসআই বেলাল হোসেন, ঘোলদাড়ি ক্যাম্পের আইসি এএসআই রাশিদুল ইসলাম, খাসকররা ক্যাম্পের আইসি এএসআই কামরুজ্জামান। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন এসআই পিয়ার উদ্দিন, এসআই শাখাওয়াত হোসেন, এসআই মিজানুর রহমান, এসআই আব্দুল জাহেদ ভূঁইয়া, এসআই সাজ্জাদ হোসেন, এসআই কামরুজ্জামান, এএসআই হুমায়ূন রশীদ, এএসআই আল আমীন শেখ, এএসআই খালিদ হোসেন, এএসআই রোকনুজ্জামান, এএসআই আলমঙ্গীর, এএসআই ইসলাম, এএসআই শফিকুল ইসলাম ও এএসআই রতন পাল।

প্রধান অতিথি ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার বেলায়েত হোসেন বলেন, অপরাধ প্রতিরোধের জন্য ক্যাম্প, কোনো দেন দরবার, বিচার-সালিস করার জন্য নয়। কোনো অভিযোগ থাকলে থানায় পাঠাবেন। থানার দরজা ২৪ ঘণ্টা সবার জন্য খোলা। ২৪ ঘণ্টা ডিউটি অফিসার দায়িত্ব পালন করবেন। বাজারে খারাপ মানুষের আধিক্য। আপনারা বাজারে বেশির ভাগ সময় কাটান। খারাপ মানুষের সাথে পুলিশকে দেখে ভালো মানুষ আপনাদের সাথে কথা বলতে পারে না। ফলে পুলিশ প্রয়োজনীয় তথ্য থেকে বঞ্চিত হয়। থানা চত্বরে অপরাধীদের অবাধ বিচরণক্ষেত্র তৈরি হলে সমাজে অপরাধ প্রবণতা বাড়বে। সাধারণ মানুষ তাতে নির্যাতিত হবে। অপরাধী চিহ্নিতকরণের ক্ষেত্রে জনগণের সাথে সম্পৃক্ত হতে হবে। এলাকার আইনশৃঙ্খলা স্বাভাবিক রাখতে সকল পুলিশ সদস্যকে আন্তরিকভাবে কাজ করতে হবে। জনগণ সেবা নিতে এসে যেন কোনো হয়রানির শিকার না হয়, সেদিকে লক্ষ্য রেখে সুনামের সাথে দায়িত্ব পালন করতে হবে।