গাংনীর অ্যাডভোকেট শাহীনের বিরুদ্ধে হাইকোর্টের নামে জামিন প্রতারণার অভিযোগ

 

গাংনী প্রতিনিধি: হাইকোর্টের নামে প্রতারণার মাধ্যমে ভয়াবহ জামিন জালিয়াতির অভিযোগ উঠেছে মেহেরপুর গাংনীর চৌগাছা গ্রামের বাসিন্দা অ্যাড. শাহীনুর রহমানের বিরুদ্ধে। মুজিবনগর সরকার ডিগ্রি কলেজের প্রভাষক মোরাদ হোসেনের ওপর হামলা মামলার আসামি তিনি। জামিন প্রতারণার বিষয়ে বিভিন্ন মহলে বইছে সমালোচনা ও প্রতিবাদের ঝড়।

অভিযোগে জানা গেছে, মুজিবনগর সরকারি ডিগ্রি কলেজের বাংলা বিভাগের প্রভাষক মোরাদ হোসেনের ওপর হামলা করেন অ্যাড. শাহীনুর রহমান। এতে আহত হন তিনি। ওই ঘটনায় জেলার শিক্ষক সমাজসহ বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার মানুষের মাঝে প্রতিবাদের ঝড় ওঠে। একজন প্রগতিশীল শিক্ষকের গায়ে হাত দেয়ার বিষয়টি সভ্যতার চরম লঙ্ঘন বলেও আখ্যায়িত করেছেন অনেকেই। হামলার ঘটনায় মোরাদ হোসেন বাদী হয়ে শাহীনুর রহমানের নামে গত ৫ অক্টোবর একটি মামলা দায়ের করেছিলেন। আত্মগোপন করেন শাহীনুর। গ্রেফতার এড়াতে তিনি হাইকোর্টে জামিন আবেদন করেন। হাইকোর্টের বিচারপতি মো. রুহুল কুদ্দুস ও মোহাম্মদ উল্লাহর বেঞ্চ গত ১৮ অক্টোবর জামিন নামঞ্জুর করেন। কিন্তু প্রতারণার আশ্রয় নিয়ে ৮ সপ্তার জামিন পেয়েছেন বলে দাবি করেন অ্যাড. শাহীনুর। ওই বেঞ্চের বিচারপতিদ্বয়ের আদেশের উদ্বৃত্তি দিয়ে হাইকোর্টের অ্যাডভোকেট হাবিবুর রহমান হাবিবের একটি পত্র প্রদর্শন করেন তিনি। জামিন পেয়েছেন দাবি করে বহাল তবিয়তেই রয়েছেন শাহীনুর রহমান।

এদিকে বিষয়টি সন্দেহ হলে বাদী হাইকোর্টে যোগাযোগ করেন। অ্যাডভোকেট হাবিবুর রহমান হাবিব বুঝতে পারেন তার লিখিত পত্রটি জালিয়াতি করা হয়েছে। তাই তিনি গত ২৩ নভেম্বর একটি প্রত্যয়নপত্রে বিষয়টি পরিষ্কার করেন। অ্যাড. শাহীনুরের প্রদর্শন করা পত্রটি যথার্থ নয় মর্মে একটি প্রত্যয়ন প্রদান করেন তিনি। পেশাজীবী একজন মানুষকে মারধরের মতো ঘৃণ্য কাজে জড়িয়ে পড়া এবং তিনি অপরাধ থেকে বাঁচতে হাইকোর্টের মতো একটি প্রতিষ্ঠানের নামে প্রতারণার আশ্রয় নেয়াকে ভয়ঙ্কর কাজ বলে আখ্যায়িত করলেন গাংনীর সুশীল সমাজের প্রতিনিধিরা। তবে মোবাইলফোন বন্ধ থাকায় অভিযুক্ত অ্যাড. শাহীনুর রহমানের বক্তব্য নেয়া সম্ভব হয়নি।