পুলিশের ভুঁড়ি কেন? প্রশ্ন আদালতের

 

মাথাভাঙ্গা মনিটর: কাজের ক্ষেত্রে শারীরিকভাবে সক্ষম থাকতে পারে না ভুঁড়িধারী মানুষ। সেখানে যদি পুলিশ হয় তাহলে তো আরো কঠিন অবস্থা। যার কাজ অপরাধীকে ধরা বা নিয়ন্ত্রণ করা সেই পুলিশকে একটু বেশি পরিশ্রমই করতে হয়। যা ভুঁড়িধারী পুলিশের পক্ষে সম্ভব নয়। তাই এক ব্যক্তির জনস্বার্থে করা আবেদনে পুলিশের ভুড়ি নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে ভারতের কোলকাতার হাইকোর্ট। গত শুক্রবার দেয়া ওই আদেশে ভুড়িধারী পুলিশের শারীরিকভাবে সক্ষম থাকা যায় কি-না, আদালত সেই প্রশ্নের উত্তর চেয়েছেন। হাইকোর্টের ভারপ্রাপ্ত প্রধান বিচারপতি নিশীথা মাত্রে হলফনামা আকারে তা আদালতে পেশ করতে রাজ্যের স্বরাষ্ট্র সচিবকে নির্দেশ দিয়েছেন। ভারতের অন‌্য রাজ‌্যগুলোর মতো পশ্চিমবঙ্গেও ভুঁড়িধারী পুলিশের সংখ‌্যা অনেক। তাদের নিয়ে হাইকোর্টে রিট আবেদন করেন কমল দে। তার দাবি, কোলকাতা পুলিশের এক শ্রেণির কর্মী ভুঁড়ি থাকার কারণে শারীরিকভাবে সক্ষম নন। ভুঁড়ির কারণে তারা চোরের পেছনে ছুটতে ছুটতে ক্লান্ত হয়ে পড়েন। আর এর ফাঁকে চোর পগারপার! প্রমাণ হিসেবে বেশ কয়েকজন ভুঁড়িধারী পুলিশের ছবিও আদালতকে দেখান কমল। কোলকাতার একটি থানার ওসির ছবি দেখিয়ে তিনি আদালতকে বলেন, ভুঁড়িধারী ওই কর্মকর্তাকে ২০১৫ সালে পদক দেয়া হয়েছে। তিনি আরো বলেন, কোথাও দেখা যাচ্ছে মোটাসোটা, ভুঁড়িধারী পুলিশ থানায় বসে মোবাইলফোনে কথা বলছেন। আবার কোথাও দেখা যাচ্ছে বসে বসে ঘুমাচ্ছেন। কেউ বা খায়েশি ভঙ্গিতে সিগারেট টানছেন।