আন্দুলবাড়িয়া প্রতিনিধি: জীবননগরের আন্দুলবাড়িয়ার অনন্তপুর মৌজার পুইশাল মাঠে গভীর কুপের সন্ধান পাওয়া গেছে। কুপটি কুয়া না অন্য কিছু? রহস্য ঘেরা কুপটি নিয়ে রহস্য দেখা দেয়ায় উৎসুক জনতা কিছুঅংশ খুড়াখুড়ি করেছে। খননকালে দুটি ভাঁড়, তিনটি মেটে থালা, একটি মেটে মোড়া, কুয়ারপাট ও মোটা মোটা গোলাকার লম্বা লম্বা বস্তু উদ্ধার করা হয়েছে। রহস্য উতঘটনে খোড়াখুঁড়ি করাকালে বিকটশব্দের উতপত্তি ঘটায় আতঙ্ক দেখা দিয়েছে। অজানা আতঙ্ক দেখা দেয়ায় খননকারীরা প্রায় ৩ ফুট খুড়ে স্থান ত্যাগ করেছে। ফলে জনমনে রহস্যের দানা বেধেছে।
জানা গেছে, আন্দুলবাড়িয়া খাঁপাড়ার মৃত তাহের শেখের ছেলে তোফাজ্জেল হোসেন ওরফে তপে শেখ পুইশাল মাঠে ক্রয়সূত্রে জমি কিনে চাষাবাদ করে আসছেন। চলতি বছরে ওইজমিতে তিনি কলাচাষ করেন। সম্প্রতি কলাবাগানে সেচ দেয়াকালে তিনি একটি কুপের সন্ধান পান। রহস্য ঘেরা কুপটি নিয়ে জনমনে রহস্যের দানাবাধে। গত বৃহস্পতিবার বিকেলে ওই রহস্য ঘেরা কুপটির কিছু অংশ খুড়াখুঁড়ি করে পাওয়া গেছে, দুটি ভাঁড়. তিনটি মেটে থালা, একটি মেটে মোড়া, কুয়ারপাট ও মোটামোটা গোলাকার সেল আকৃতির মাটির তৈরির লাল লম্বা লম্বা বস্তু। খোড়াখুড়ি করাকালে বিকটশব্দের উতপত্তি ঘটায় খননকারী জমি মালিকের ছেলে শেখ রবিউল ইসলাম খনন কাজ বন্ধ করে দেন। ফলে কুপটির ভেতরে কী আছে তা নিয়ে জনমনে রহস্য দেখা দিয়েছে। চলছে বিভিন্ন মহলে নানা গুঞ্জন। গতকাল সরেজমিনে গেলে দেখা গেছে, কুপটির মধ্যে কুয়ারপাট ও গোলাকার লম্বা লম্বা বস্তু দিয়ে ঘেরা রয়েছে। কুপটির ওপরে কিছু ভাঙ্গা কুয়ারপাট ছড়িয়ে ছিটিয়ে পড়ে রয়েছে। এ ব্যাপারে কয়েকজন প্রবীন পথচারী ও জমির মালিক তোফাজ্জেল হোসেন ওরফে তফে শেখের নিকট জানতে চাইলে সকলেই অভিন্ন ভাষায় মাথাভাঙ্গাকে বলেন, পাকিস্তান আমলে এলাকায় মাটির কুয়ার প্রচলন ছিলো। ওই স্থানে পাটখোলা ছিলো। কোটচাঁদপুর এলাকার বামুনদে, লক্ষ্মীকুণ্ড ও শ্রীরামপুর এলাকার কুমোড় সম্প্রদায় পুইশাল এলাকায় পাটখোলা করে কুয়ারপাট তৈরি করতো। ধারণা করা হচ্ছে, পাটখোলায় পানি দেয়ার জন্য তারা ওইস্থানে কুয়া খনন করেন।