আমেরিকান পিস্তলসহ লাল পতাকার সেকেন্ড ইন কমান্ড বকুল গ্রেফতার

চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গা হাটবোয়ালিয়া ফাঁড়ি পুলিশের সন্ত্রাস বিরোধী সফল অভিযান

 

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: আমেরিকান পিস্তলসহ লাল পতাকার সেকেন্ড ইন কমান্ড আলমডাঙ্গার বাঁচামারীর বকুল ইসলামকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। গ্রেফতারকৃত বকুল ইসলামের বিরুদ্ধে আলমডাঙ্গা ও পার্শ্ববর্তী গাংনী থানায় বেশ কয়েকটি ডাকাতি ও চাঁদাবাজির মামলা রয়েছে।

জানা গেছে, গতকাল শুক্রবার বিকেলে গোপন সংবাদের ভিত্তিতে হাটবোয়ালিয়া পুলিশ ফাঁড়ির ইনচার্জ এসআই গফুরের নেতৃত্বে এএসআই জসিম সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে বাঁচামারী গ্রামের দরগাতলায় অভিযান চালান। এ সময় বকুল ইসলাম (২৬) নামের এক যুবককে গ্রেফতার করা হয়। গ্রেফতারের পর তার দেহ তল্লাশী করে একটি আমেরিকান পিস্তল উদ্ধার করে পুলিশ। বকুল ইসলাম বাঁচামারী গ্রামের নজরুল ইসলামের ছেলে।

পুলিশ জানিয়েছে, বকুল ইসলামের বিরুদ্ধে আলমডাঙ্গা থানা ও পার্শ্ববর্তী গাংনী থানায় ৪টি ডাকাতি ও চাঁদাবাজির মামলা রয়েছে। সে এলাকার ত্রাস হিসেবে বিবেচিত।

এলাকাসূত্রে জানা গেছে, এক যুগ আগে পূর্ব বাংলা কমিউনিস্ট পার্র্টির (লাল পতাকা গ্রুপের) শীর্ষ নেতা ছিলো মেহেরপুর জেলার গাংনী উপজেলার সীমান্তবর্তী হেমায়েতপুর গ্রামের হাউস। সে সময় হাউস খুন করে তাফসির আহমেদ লিপু নামে পত্রিকায় বিবৃতি দিতো বলে জানা যায়। প্রায় ৮-৯ বছর আগে হাউস ক্রসফায়ারে নিহত হলে ওই গ্যাং গ্রুপের হাল ধরে বাঁচামারি গ্রামের মৃত ওয়াজ উদ্দীনের ছেলে শাবান আলী। প্রায় ৫ বছর আগে শাবান ক্রসফায়ারে নিহত হয়। শাবান আলী নিহত হওয়ার পর বর্তমানে গ্যাং গ্রুপটির হাল ধরেছে তার ভাই শাহীন। লাল পতাকা নামের এ গ্যাং গ্রুপের শীর্ষ নেতা শাহীনের সেকেন্ড ইন কমান্ড ছিলো গ্রেফতারকৃত বকুল। সম্প্রতি শাহীনের সাথে বকুলের সম্পর্কের অবণতি হয়েছে। তাদের মধ্যে বিরোধ এখন তুঙ্গে। বর্তমানে বকুল পৃথকভাবে গ্যাং গ্রুপ সৃষ্টির চেষ্টা করছিলো বলে এলাকায় গুঞ্জন রয়েছে।