বিশ্বসভায় বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের রোল মডেল

চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুরসহ সকল জেলা উপজেলায় উন্নয়ন মেলা উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী

 

মাথাভাঙ্গা ডেস্ক: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, দেশকে পিছিয়ে দেয়ার দিন শেষ হয়েছে। হত্যা, ক্যু ও ষড়যন্ত্রের রাজনীতি বিদায় নিয়েছে। বাংলাদেশ এখন উন্নয়নের মহাসড়কে রয়েছে। বিশ্বসভায় উন্নয়নের রোল মডেলে পরিণত হয়েছে। গতকাল সোমবার বিকালে গণভবনে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে চুয়াডাঙ্গা-মেহেরপুর ও ঝিনাইদহসহ দেশের ৬৪ জেলা এবং ৪৯০ উপজেলায় একযোগে উন্নয়ন মেলার উদ্বোধনকালে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। তিনি বলেন, সহস্রাব্দ উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এমডিজি) অর্জনের পর এখন টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যমাত্রা (এসডিজি) অর্জনেও কাজ করছে সরকার। দেশের সার্বিক উন্নয়ন ও দারিদ্র্য বিমোচনে সচেতন নাগরিক, জনপ্রতিনিধি, প্রশাসনিক কর্মকর্তা ও আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনীসহ সকল শ্রেণি-পেশার মানুষকে সম্পৃক্ত হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।

গতকাল ৯ জানুয়ারি শুরু হওয়া এ উন্নয়ন মেলা চলবে ১১ জুলাই পর্যন্ত। প্রধানমন্ত্রী বলেন, খুলনা থেকে ভিক্ষুক পুনর্বাসনের একটা প্রশংসনীয় উদ্যোগ নেয়া হয়েছে। প্রশাসনের কর্মকর্তারা তাদের একদিনের বেতন অনুদান হিসেবে দিয়ে একটি ফান্ড তৈরি করে খুলনাকে ভিক্ষুকমুক্ত করার উদ্যোগ নিয়েছেন এবং এটি অত্যন্ত সফল হয়েছে। আমি মনে করি সমগ্র বাংলাদেশের প্রতিটি নির্বাহী কর্মকর্তা যদি এভাবে উদ্যোগ নেন তাহলে প্রতিটি জেলা-উপজেলা ভিক্ষুকমুক্ত হতে পারে এবং প্রত্যেক মানুষ একটি মর্যাদাপূর্ণ জীবনযাপন করতে পারেন। এ সময় প্রধানমন্ত্রী খুলনায় পুনর্বাসিক ভিক্ষুক আম্বিয়া বেগমের সাথে ভিডিও কনফারেন্সে মতবিনিময় করেন।

এদিকে চুয়াডাঙ্গায় সোমবার দুপুর ২টার দিকে মেলার উদ্বোধন করেন জেলা প্রশাসক সায়মা ইউনুস। এর আগে জেলা প্রশাসকের কার্যালয় চত্বর থেকে একটি বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা বের হয়। শোভাযাত্রাটি শহরের শহীদ রবিউল ইসলাম সড়ক প্রদক্ষিণ করে কবরী সড়ক হয়ে টাউন ফুটবল মাঠে গিয়ে শেষ হয়। পরে জেলা প্রশাসক সায়মা ইউনুসের সভাপতিত্বে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। এতে প্রধান অতিথি ছিলেন মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মো. সলিমুল্লাহ। বিশেষ অতিথি ছিলেন ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার মোহাম্মদ বেলায়েত হোসেন, সিভিল সার্জন ডা. মুহা. ছিদ্দিকুর রহমান ও জেলা আ.লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সাবেক পৌর মেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন। সহকারী কমিশনার সৈয়দা নাফিজ সুলতানা ও চুয়াডাঙ্গা সরকারি কলেজের বাংলা বিভাগের সহকারী অধ্যাপক মুন্সি আবু সাইফের ছন্দময়ী সঞ্চালনায় অনুষ্ঠানের অন্যান্যদের মধ্যে উপস্থিত ছিলেন অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) আনজুমান আরা, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আইসিটি) মোহাম্মদ আব্দুর রাজ্জাক, অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট দেবপ্রসাদ পাল, সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার ছুফি উল্লাহ, সহকারী পুলিশ সুপার (দামুড়হুদা সার্কেল) মো. কলিমুল্লাহ, সদর উপজেলা চেয়ারম্যান আসাদুল হক বিশ্বাসসহ বিভিন্ন সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের কর্মকর্তাবৃন্দ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন জেলা আ.লীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক সাবেক পৌর মেয়র রিয়াজুল ইসলাম জোয়ার্দ্দার টোটন। প্রধান অতিথি মুক্তিযুদ্ধ বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের যুগ্মসচিব মো. সলিমুল্লাহ তার বক্তব্যে দেশের উন্নয়নের সার্বিক বিষয়গুলো তুলে ধরে বলেন, বর্তমান সরকার দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রেখেছে। রূপকল্প ২০২১ বাস্তবায়ন সরকারের একটি বড় চ্যালেঞ্জ। মুক্তিযোদ্ধাদের পাশে থেকে তাদের সার্বিক উন্নয়নের কথা ভেবে কাজ করছে সরকার যা অন্য সরকারের সময়ে সম্ভব হয়নি। মূলত আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এলে দেশে উন্নয়নের জোয়ার ওঠে। মেলায় সরকারি বেসরকারি প্রতিষ্ঠান মিলে মোট ৮৫টি স্টল রয়েছে। স্টলে স্ব স্ব প্রতিষ্ঠানের উন্নয়নমূলক কর্মকা- প্রোজেক্টরের মাধ্যমে প্রেজেন্টেশন করা হয়। সন্ধ্যায় সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠানে জেলা শিল্পকলা একাডেমির শিল্পীরা গান পরিবেশন করেন।

দামুড়হুদা প্রতিনিধি জানিয়েছেন, দামুড়হুদায় ৩ দিনব্যাপি উন্নয়ন মেলার উদ্বোধন করা হয়েছে। গতকাল সোমবার বিকেল ৩টার দিকে চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের এমপি আলী আজগার টগর ফিতে কেটে মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। এর আগে এমপি আলী আজগার টগরের নেতৃত্বে এক বর্ণাঢ্য র‌্যালি উপজেলা শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে। পরে উপজেলা পরিষদ চত্বরের মুক্তমঞ্চে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে এবং উপজেলা পরিষদের সহযোগিতায় আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। দামুড়হুদা উপজেলা নির্বাহী অফিসার রফিকুল হাসানের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত আলোচনা সভায় প্রধান অতিথি ছিলেন চুয়াডাঙ্গা-২ আসনের সংসদ সদস্য হাজি আলী আজগার টগর। তিনি বলেন, বর্তমান সরকারের প্রধানমন্ত্রী জননেত্রী শেখ হাসিনার নেতৃত্বে দেশ আজ উন্নয়নের মহাসড়কে। কৃষি, স্বাস্থ্য, শিক্ষাসহ প্রতিটি ক্ষেত্রেই অভূতপূর্ব উন্নয়ন হয়েছে। ১০ টাকায় ব্যাংক অ্যাকাউন্ট খোলা, মুক্তিযোদ্ধাদের সম্মানজনক ভাত প্রদান থেকে শুরু করে পিছিয়ে পড়া জনগোষ্ঠীর উন্নয়নে বর্তমান সরকার নিরলসভাবে কাজ করে যাচ্ছে। সর্বোপরি প্রধানমন্ত্রী ঘোষিত উন্নত-সম্মৃদ্ধ বাংলাদেশ গড়ার রূপকল্প আজ বাস্তবায়নের পথে। বর্তমান সরকারের এ উন্নয়ন ও অগ্রযাত্রায় অংশীদার হতে পেরে আমি গর্বিত।

উন্নয়নের গনতন্ত্র শেখ হাসিনার মূলমন্ত্র এই শ্লোগানকে সামনে রেখে বিশেষ অতিথির বক্তব্য রাখেন চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের নবনির্বাচিত চেয়ারম্যান কেন্দ্রীয় যুবলীগের প্রেসিডিয়াম সদস্য সেখ সামসুল আবেদীন খোকন ও দামুড়হুদা উপজেলা চেয়ারম্যান মাও. আজিজুর রহমান। আলোচনা শেষে এমপি আলী আজগার টগরের ব্যক্তিগত তহবিল থেকে ক্রয়কৃত ৫০টি সেলাই মেশিন এলাকার প্রশিক্ষিত মহিলাদের হাতে তুলে দেন এবং মেলাপ্রাঙ্গণের বিভিন্ন স্টলগুলো ঘুরে ঘুরে দেখেন। উপস্থিত ছিলেন উপজেলা মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান ছালমা জাহান পারুল, দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি আবু জিহাদ, দামুড়হুদা আব্দুল ওদুদ শাহ ডিগ্রি কলেজের প্রিন্সিপাল কামাল উদ্দীন, উপজেলা মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আছির উদ্দীন, উপজেলা আওয়ামী লীগের সহসভাপতি রবিউল হোসেন, উপজেলা স্বাস্থ্য ও প. প. কর্মকর্তা ডা. আনছারুল হক, উপজেলা প্রাণিসম্পদ কর্মকর্তা ড. মশিউর রহমান, উপজেলা প্রকৌশলী রফিকুর রহমান খান, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা রাজকুমার পাল, সমাজসেবা কর্মকর্তা ছানোয়ার হোসেন, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার বিকাশ কুমার সাহা, কৃষিসম্প্রসারণ কর্মকর্তা আফরিন বিনতে আজিজ, পারকৃষ্ণপুর-মদনা ইউপি চেয়ারম্যান এসএএম জাকরিয়া আলম, জুড়ানপুর ইউপি চেয়ারম্যান সোহরাব হোসেন, নতিপোতা ইউপি চেয়ারম্যান আজিজুল হক, হাউলী ইউপি চেয়ারম্যান মোহাম্মদ আলী শাহ মিন্টু, কার্পাসডাঙ্গা ইউপি চেয়ারম্যান খলিলুর রহমান ভূট্টু, দামুড়হুদা ইউপি চেয়ারম্যান প্রভাষক শরীফুল আলম মিল্টন, নাটুদহ ইউপি চেয়ারম্যান শফিকুল ইসলাম, চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদের নবনির্বাচিত সদস্য জাফর আলী, শফিউল কবির ইউসুফ, মুন্সী সিরাজুল ইসলাম, মহিলা সদস্য তানিয়া বেগম প্রমুখ। অনুষ্ঠানটি পরিচালনা করেন নাজির হামিদুল ইসলাম। সার্বিক সহযোগিতায় ছিলেন উপজেলা আইসিটি টেকনিশিয়ান খাইরুল কবির দিনার।

আলমডাঙ্গা ব্যুরো জানিয়েছে, ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে প্রতিটি জেলা উপজেলায় এক সাথে উন্নয়ন মেলা উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। পরে আলোচনাসভায় উপজেলা নির্বাহী অফিসার আজাদ জাহানের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি উপজেলা চেয়ারম্যান মুক্তিযোদ্ধা হেলাল উদ্দীন। বিশেষ অতিথি ছিলেন পৌর মেয়র হাসান কাদির গনু, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান কাজী খালেদুর রহমান অরুন, মহিলা ভাইস চেয়ারম্যান শামীম আরা, থানা অফিসার ইনচার্জ আকরাম হোসেন, উপজেলা আওয়ামলীগের ভারপ্রাপ্ত সাধারণ সম্পাদক ইয়াকুব আলী মাস্টার, আওয়ামী লীগের সভাপতি নবনির্বাচিত জেলা পরিষদের সদস্য আবু মূছা, উপজেলা স্বাস্থ্য প.প. কর্মকর্তা রওশন আরা, প্রাণি সম্পদ কর্মকর্তা ডাঃ শামীমুজ্জামান, হারদী ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম, বেলগাছি ইউপি চেয়ারম্যান আমিরুল ইসলাম মন্টু, কালিদাসপুর ইউপি চেয়ারম্যান নুরুল ইসলাম, নাগদাহ ইউপি চেয়ারম্যান দারুস সালাম, ডাউকি ইউপি চেয়ারম্যান লুৎফর রহমান, আইলহাস ইউপি চেয়ারম্যান মিনাজ উদ্দিন, বাড়াদী ইউপি চেয়ারম্যান মাসুদ পারভেজ, উপজেলা আওয়ামী লীগের সিনিয়র সহসভাপতি মজিবর রহমান, পৌর সাধারণ সম্পাদক সিরাজুল ইসলাম, সাংগঠনিক সম্পাদক আতিয়ার রহমান, বিআরডিবি চেয়ারম্যান মহিদুল ইসলাম মুহিদ। স্বাগত বক্তব্য রাখেন উপজেলা কৃষি অফিসার কৃষিবিক একেএম হাসিবুল হাসান। সমাজসেবা অফিসার আবু তালেবের উপস্থাপনায় বক্তব্য রাখেন মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার দীনেশ চন্দ্র পাল, উপজেলা প্রকল্প কর্মকর্তা মিজানুর রহমান, উপজেলা প.প. কর্মকর্তা আব্দুস সাত্তার, মৎস্য অফিসার মঈনুল ইসলাম, প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার নুর ইসলাম, পল্লি সঞ্চয় ব্যাংকের ব্যবস্থাপক আনোয়ার হোসেন, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা মাকছুরা জান্নাত। সভার পূর্বে এক বর্ণাঢ্য রালি আলমডাঙ্গা শহর প্রদক্ষিণ করে। আলোচনাসভা শেষে ঐতিহ্যবাহী সংগঠন কলাকেন্দ্রের শিল্পীরা সংগীত পরিবেশন করে। সংগীত পরিচালনায় ছিলেন কলাকেন্দ্রের সভাপতি ইকবাল হোসেন, সাধারণ সম্পাদক রেবা সাহা। মেলায় ৪৫টি স্টল রয়েছে।

মেহেরপুর অফিস জানিয়েছে, গতকাল সোমবার বিকেল মেহেরপুরের শহীদ ড. সামসূজ্জোহা নগর উদ্যানে তিন দিনব্যাপী উন্নয়ন মেলার উদ্বোধন করা হয়েছে। মেহেরপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য ও জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি অধ্যাপক ফরহাদ হোসেন বলেন, এ দেশ হবে শোষণমুক্ত গরীবের বাংলাদেশ। উন্নয়নের মাধ্যমে গরীবের ভাগ্যের পরিবর্তন ঘটবে। সকল ধর্মের মানুষ মাথা উঁচু করে সমতার সাথে বসবাস করবে। কিন্তু ১৯৭৫ সালে বঙ্গবন্ধুকে হত্যা করার মাধ্য দিয়ে সব স্বপ্ন ধুলিস্যাৎ হয়ে যায়। দেশকে জঙ্গিবাদ রাষ্ট্রে পরিণত করতে একটি গোষ্ঠী কাজ করতে শুরু করে। কিন্তু বঙ্গবন্ধুর সে স্বপ্নকে বৃথা যেতে দেননি বঙ্গবন্ধুর কন্যা। ২০০৮ সালের নির্বাচনের মধ্যদিয়ে বঙ্গবন্ধুর সোনার বাংলা গড়ার লক্ষ্যে কাজ করছে বর্তমান প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তার বলিষ্ঠ নেতৃত্বে দেশের প্রতিটি সেক্টরে ঈর্ষণীয় উন্নয়ন ঘটেছে।২০২১ সাল নাগাদ বাংলাদেশ হবে তথ্য নির্ভর ও নির্ভর মধ্যম আয়ের স্বচ্ছল অর্থনীতি সমৃদ্ধ দেশ। দেশে আর কখনও খাদ্য ঘাটতি থাকবে না। এর আগে বিকেল ৩টার দিকে ঢাকা থেকে ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সারাদেশের উন্নয়ন মেলার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। মেহেরপুর জেলার উন্নয়ন মেলায় সভাপতিত্ব করেন জেলা প্রশাসক পরিমল সিংহ। বিশেষ অতিথি ছিলেন মুক্তিযোদ্ধা বিষয়ক মন্ত্রণালয়ের উপসচিব ড. মঈনুল হক আনছারী, পুলিশ সুপার আনিছুর রহমান, পৌর মেয়র মোতছিম বিল্লাহ মতু, জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ খালেক, সহসভাপতি আলহাজ আশকার আলী, মাহাবুবুর রহমান মধু, পিরোজপুর ইউপি চেয়ারম্যান আব্দুস সামাদ বাবলু বিশ্বাস, মেহেরপুর জেলা উন্নয়ন ফোরামের সভাপতি সাংবাদিক রফিক-উল আলম। মূল প্রবন্ধ পাঠ করেন মেহেরপুর সরকারি কলেজের সহযোগী অধ্যাপক আব্দুল্লাহ আল আমিন। অনুষ্ঠানটি সঞ্চালনা করেন জেলা আওয়ামী লীগের প্রচার ও প্রকাশনা সম্পাদক শাশ্বত নিপ্পন। ৩দি ব্যাপি উন্নয়ন মেলায় জেলার বিভিন্ন সরকারী ও বেসরকারী প্রতিষ্ঠানের ৫৭টি স্টল থেকে সরকারে বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকা- তুলে ধরছেন। এ সময় প্রধান অতিথিসহ অতিথিবৃন্দরা মেলার বিভিন্ন স্টল ঘুরে দেখেন। মেলা চলবে আগামী বুধবার পর্যন্ত।

এদিকে ‘উন্নয়নের গণতন্ত্র শেখ হাসিনার মুলমন্ত্র’, ‘শেখ হাসিনার দর্শন বাংলাদেশের উন্নয়ন’, ‘শেখ হাসিনার দর্শন সব মানুষের উন্নয়ন’ এ স্লোগানে মেহেরপুরে উন্নয়ন মেলা উপলক্ষে বর্ণাঢ্য শোভাযাত্রা করেছে জেলা প্রশাসন। সকল ১০টার দিকে জেলা প্রশাসকের কার্যালয়ের সামনে থেকে মেহেরপুর-১ আসনের সংসদ সদস্য অধ্যাপক ফরহাদ হোসেনের নেতৃত্বে একটি শোভাযাত্রা বের করা হয়। শোভাযাত্রাটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ শেষে শহীদ ড. সামসুজ্জোহা পার্কে গিয়ে শেষ হয়।

গাংনী প্রতিনিধি জানিয়েছেন, মেহেরপুর গাংনীতে তিন দিন ব্যাপী উন্নয়ন মেলা উপলক্ষে শোভাযাত্রা অনুষ্ঠিত হয়েছে।  গতকাল সোমবার সকালে এ শোভাযাত্রার নেতৃত্ব দেন মেহেরপুর-২ আসনের সংসদ সদস্য বীর মুক্তিযোদ্ধা মকবুল হোসেন। গাংনী উপজেলা প্রশাসন আয়োজিত অনুষ্ঠানে সভাপতিত্ব করেন গাংনী উপজেলা নির্বাহী অফিসার আরিফ উজ জামান। বিশেষ অতিথি ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমএ খালেক, পৌর মেয়র আশরাফুল ইসলাম, গাংনী থানার ওসি আনোয়ার হোসেন। উপস্থিত ছিলেন বিশিষ্ট সংগঠক সিরাজুল ইসলাম, নারীনেত্রী নুরজাহান বেগম, আওয়ামী লীগ নেতা শহিদুল ইসলাম শাহ, গাংনী প্রেস ক্লাব সভাপতি রমজান আলী ও সাংস্কৃতিক ব্যক্তিত্ব আজিজুল হক রানুসহ বিভিন্ন সরকারী বেসরকারী শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিবৃন্দ। ‘উন্নয়নের গণতন্ত্র শেখ হাসিনার মুল মন্ত্র’, ‘শেখ হাসিনার দর্শন বাংলাদেশের উন্নয়ন’, ‘শেখ হাসিনার দর্শন সব মানুষের উন্নয়ন’ এ স্লোগানে আয়োজিত মেলায় ২৮টি স্টল ঠাঁই পেয়েছে। বিকেল ৩টার দিকে এ মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করা হবে। চলবে আগামী ১১ জানুয়ারি পর্যন্ত। স্টলগুলোতে সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের উন্নয়ন কর্মকা-ের সচিত্র উপস্থাপন করা হচ্ছে।

মুজিবনগর প্রতিনিধি জানিয়েছেন, ‘শেখ হাসিনার দর্শন, বাংলাদেশের উন্নয়ন’ এই প্রতিপাদ্যে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের স্বদেশ প্রত্যাবর্তন দিবস উপলক্ষে মুজিবনগরে তিন দিনব্যাপী উন্নয়ন মেলার উদ্বোধন করা হয়েছে। গতকাল সোমবার বিকালে সাড়ে ৩টায় মুজিবনগর উপজেলা নির্বাহী অফিসার প্রধান অতিথি হিসাবে উপস্থিত থেকে বেলুন ও পায়রা উড়িয়ে তিন দিন ব্যাপী উন্নয়ন মেলার উদ্বোধন করেন। পরে উপজেলা চত্বরে নির্বাহী অফিসারের সভাপতিত্বে আলোচনাসভা অনুষ্ঠিত হয়। এ সময় উপস্থিত থেকে বক্তব্য রাখেন মুজিবনগর থানা ইনচার্জ (ওসি) কাজী কামাল হোসেন, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার আব্দুল জলিল, মহাজনপুর ইউপি চেয়ারম্যান আমাম হোসেন মিলু, কৃষি অফিসার মুহাঃ মোফাক্খারুল ইসলাম, শিক্ষা অফিসার গোলাম ফারুক, মৎস্য অফিসার শহিদুল ইসলাম। সঞ্চলনায় ছিলেন সমাজসেবা অফিসার তৈফিকুর রহমান। বিভিন্ন সরকারি ও বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের ৩৫টি স্টল দেয়া হয়েছে। উদ্বোধন শেষে সন্ধ্যার পর সেখানে সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান করা হয়। সকালে তিনদিন ব্যাপী উন্নয়ন মেলা উপলক্ষে শোভা যাত্রা অনুষ্ঠিত হয়। ওই শোভা যাত্রার নেতৃত্ব দেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মেঃ হেমায়েত উদ্দিন।

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি জানিয়েছেন, ঝিনাইদহে শুরু হয়েছে ৩ দিন ব্যাপী উন্নয়ন মেলা। এ উপলক্ষে সোমবার সকালে ঝিনাইদহ শহরের পুরাতন ডিসি চত্বর থেকে এক বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের করা হয়। র‌্যালিটি শহরের প্রধান প্রধান সড়ক প্রদক্ষিণ করে একই স্থানে এসে শেষ হয়। পরে পুরাতন ডিসি কোর্ট মুক্তমঞ্চে আলোচনা সভা অনুষ্ঠিত হয়। জেলা প্রশাসক মাহবুব আলম তালুকদারের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন ঝিনাইদহ-১ আসনের সংসদ সদস্য জেলা আওয়ামী লীগের সভাপতি আব্দুল হাই। বিশেষ অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক পৌর মেয়র সাইদুল করিম মিন্টু, অতিরিক্ত পুলিশ সুপার আজবাহার আলী শেখ, এলজিইডি’র নির্বাহী প্রকৌশলী আব্দুল মালেক, ভারপ্রাপ্ত সিভিল সার্জন ডা. রাশেদা সুলতানা, কৃষি সম্প্রসারণ অধিদপ্তরের উপপরিচালক শাহ্ মোহাম্মদ আকরামুল হক, পরিবার-পরিকল্পনার উপ-পরিচালক ডা. জাহিদুল ইসলাম। সোমবার থেকে শুরুু হওয়া এ মেলা চলবে বুধবার পর্যন্ত। এবারের মেলায় সরকারি ও বেসরকারি সংস্থা মিলিয়ে ৬৬টি স্টল স্থান পেয়েছে। ৩ দিন ব্যাপী এ মেলায় ২য় দিন ও ৩য় দিনে মেলায় উপস্থিত থাকবেন ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের সচিব মো. শাহ্ কামাল। সার্বিক কার্যক্রম মনিটরিং করবেন ত্রাণ মন্ত্রণালয়ের যুগ্ম-সচিব ইসমাইল হোসেন ও উপসচিব মনিরুল ইসলাম।

মহেশপুর প্রতিনিধি জানিয়েছেন, ২০২১ সালের মধ্যে ডিজিটাল বাংলাদেশ আর ২০৪১-এ উন্নত দেশের স্বপ্নকে সামনে রেখে মহেশপুর উপজেলা চত্বরে সোমবার থেকে ৩ দিন ব্যাপী উন্নয়ন মেলা শুরু হয়েছে। এ উপলক্ষে সকালে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতায় এক বর্ণাঢ্য র‌্যালি বের করা হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসার আশাফুর রহমানের নেতৃত্বে র‌্যালিতে অংশগ্রহণ করেন উপজেলা ইঞ্জিনিয়ার, মাধ্যমিক শিক্ষা অফিসার, মহিলা বিষয়ক কর্মকর্তা, প্রাথমিক শিক্ষা অফিসার, বিআরডিবি অফিসার, মৎস্য অফিসার, মানবাধিকা সংগঠন আরডিসির নির্বাহী প্রধান সহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের প্রতিনিধিগণ। বিকেলে প্রধানমন্ত্রী একযোগে সারা বাংলাদেশে উন্নয়ন মেলা উদ্বোধনের পর মহেশপুর উপজেলা নির্বাহী অফিসার বর্তমান সরকারের বিভিন্ন সাফল্য তুলে ধরেন। মেলায় প্রতিদিন বিষয় ভিত্তিক আলোচনা ছাড়াও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হবে। মেলায় সরকারি-বেসরকারি প্রতিষ্ঠান স্টল দিয়ে তাদের কার্যক্রম জনসাধারণের কাছে উপস্থাপন করছেন।

কোটচাঁদপুর প্রতিনিধি জানিয়েছেন, কোটচাঁদপুর উপজেলা পরিষদের আয়োজনে গতকাল তিন দিন ব্যাপী উন্নয়ন মেলার উদ্বোধন করা হয়েছে। উপজেলা নির্বাহী অফিসার শাম্মী ইসলাম সোমবার সকালে এ মেলার আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন করেন। এর আগে উপজেলা পরিষদ প্রাঙ্গণ থেকে বর্ণাঢ্য এক র‌্যালি বের করা হয়। উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নেতৃত্বে র‌্যালিতে ভারপ্রাপ্ত উপজেলা চেয়ারম্যান নাজমা খাতুন, পৌর মেয়র জাহিদুল ইসলাম, উপজেলা আওয়ামী লীগ সভাপতি শরিফুনন্নেছা মিকি, মুক্তিযোদ্ধা কমান্ডার মো. তাজুল ইসলাম, আওয়ামী লীগ নেতা অধ্যাপক ফালজেল হোসেন মন্ডল ও গোলাম সরোয়ারসহ উপজেলার বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের প্রধান এবং প্রতিনিধিরা অংশ নেন।

কালীগঞ্জ প্রতিনিধি জানিয়েছেন, ঝিনাইদহের কালীগঞ্জে  ৩ দিন ব্যাপী উন্নয়ন মেলা শুরু হয়েছে।  সোমবার সকালে এ উপলক্ষে কালীগঞ্জ উপজেলা চত্বর থেকে একটি র‌্যালি বেরা হয়। র‌্যালিটি শহরের বিভিন্ন সড়ক প্রদক্ষিণ কওে মেলা চত্বরে আলোচনা সভা ও সাংস্কৃতিক অনুষ্ঠান অনুষ্ঠিত হয়। আলোচনা সভায় সভাপতিত্ব করেন উপজেলা নির্বাহী অফিসার মো. ছাদেকুর রহমান। উপস্থিত ছিলেন উপজেলা চেয়ারম্যান জাহাঙ্গীর সিদ্দিক ঠান্ডু, পেীরসভার মেয়র আলহাজ মকছেদ আলী, মোবারকগঞ্জ চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক দেলোয়ার হোসেন, উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) জাদব সরকার, উপজেলা ভাইস চেয়ারম্যান মতিয়ার রহমান মতি, শাহনাজ পারভীন,  পৌরসভার প্যানেল মেয়র আশরাফুল আলম আশরাফ সমাজ সেবা কর্মকর্তা আইনাল হক, ইউপি চেয়ারম্যান আয়ুব হোসেন, নাছির উদ্দিন, আলী হোসেন অপু, আবুল কালাম, নজরুল ইসলাম প্রমুখ। উন্নয়ন মেলায় সরকারের বিভিন্ন দফতরের ৩৮টিসহ প্রায় ৪০টি স্টল অংশ নিয়েছে।

কুষ্টিয়া প্রতিনিধি জানিয়েছেন, ‘উন্নয়নের গণতন্ত্র, শেখ হাসিনার মূলমন্ত্র’ এই সেøাগানে কুষ্টিয়ায় জেলা প্রশাসনের আয়োজনে কালেক্টরেট চত্বরে তিন দিনব্যাপী উন্নয়ন মেলা শুরু হয়েছে। সোমবার দুপুর ৩টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সারা দেশে তিন দিনব্যাপী এই উন্নয়মেলার উদ্বোধন করেন। এদিকে মেলা উপলক্ষে সোমবার বেলা ১১টায় কালেক্টরেট চত্বর থেকে একটি শোভাযাত্রা বের হয়। এতে জেলা প্রশাসক মো. জহির রায়হান, পুলিশ সুপার প্রলয় চিসিমসহ জেলা ও সদর উপজেলা প্রশাসনের কর্মকর্তা, বিভিন্ন স্কুল ও কলেজের শিক্ষক শিক্ষার্থী ছাড়াও বিভিন্ন শ্রেণি-পেশার প্রতিনিধিরা অংশ নেন। তিনদিন ব্যাপী এই মেলায় সরকারের বিভিন্ন উন্নয়ন কর্মকা- তুলে ধরা হচ্ছে। মেলায় সরকারি-বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানে ৮৬টি স্টল বসেছে।

দৌলতপুর সংবাদদাতা জানিয়েছেন, কুষ্টিয়ার দৌলতপুরে উপজেলা প্রশাসনের আয়োজনে ৩ দিনব্যাপী উন্নয়ন মেলা উদ্বোধন করা হয়েছে। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ভিডিও কনফারেন্সের মাধ্যমে সোমবার বেলা ৩টায় দেশব্যাপী একসঙ্গে এ মেলার উদ্বোধন করেন। উপজেলা পরিষদ মাঠে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা তৌফিকুর রহমানের সভাপতিত্বে এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন সংসদ সদস্য রেজাউল হক চৌধুরী, উপজেলা চেয়ারম্যান ফিরোজ আল মামুন, কৃষি কর্মকর্তা মোশাররফ হোসেন, দৌলতপুর থানার ওসি মোল্লা খবির আহমেদ, প্রকল্প কর্মকর্তা সাইদুর রহমানসহ বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠান প্রধান ও ইউপি চেয়ারম্যানগণ উপস্থিত ছিলেন। মেলায় সরকারি বিভিন্ন দফতর, বিদ্যুৎ, শিক্ষা ও উন্নয়ন প্রতিষ্ঠান এবং আর্থিক প্রতিষ্ঠান সমুহের মোট ৪৫টি স্টল প্রদর্শনী ও সেবা এবং পরামর্শ প্রদানের জন্য অংশ নিয়েছে।