ফুলতলা সীমান্তে বকুল হত্যার তীব্র প্রতিবাদ ও তদন্ত দাবি

 

জীবননগর ব্যুরো: জীবননগর উপজেলা সীমান্তের চ্যাংখালীর বিপরীতে ভারতের টুঙ্গীতে বিজিবি-বিএসএফ ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়েছে। গতকাল সোমবার সকাল ১০টায় এ পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পতাকা বৈঠকে গত ৭ জানুয়ারি ফুলবাড়ি সীমান্তে বিএসএফ কর্তৃক বাংলাদেশি নাগরিক বকুল ম-ল (৩০) হত্যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়। একই সাথে এ হত্যাকা-ের তদন্তসহ দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানানো হয়।

বিজিবি সূত্রে জানানো হয়, সকাল ১০টায় ভারতের টুঙ্গী সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফ ব্যাটালিয়ন কমান্ডার পর্র্যায়ে পতাকা বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। পতাকা বৈঠকে বিজিবির পক্ষে চুয়াডাঙ্গা-৬ বিজিবির কমান্ডিং অফিসার লে. কর্নেল মোহাম্মদ আমির মজিদ বিজিবির পক্ষে ও ভারতের ১১৩ বিএসএফ ব্যাটালিয়নের কমান্ডেন্ট মাহেন্দ্র কুমার বিএসএফ’র পক্ষে নেতৃত্ব প্রদান করেন। খালিশপুর ৫৮ বিজিবি ব্যাটালিয়নের ভারপ্রাপ্ত অধিনায়ক মো. জসিমউদ্দিন এ সময় পতাকা বৈঠকে বিজিবির পক্ষে সহযোগিতা করেন। পতাকা বৈঠকে গত ৭ জানুয়ারি ফুলবাড়ি সীমান্তে বিএসএফের নির্যাতনে সদর উদ্দিন ম-লের ছেলে বকুল ম-লকে হত্যার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জানানো হয়। একই সাথে এ হত্যাকা-ের তদন্তসহ দোষীদের বিরুদ্ধে দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানানো হয়। জবাবে প্রথমে বিএসএফের পক্ষ হতে এ হত্যাকা-ের দায় অস্বীকার করা হলেও পরবর্তীতে ঘটনাটির সুষ্ঠু তদন্ত সাপেক্ষে দোষী ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে বিজিবিকে বিএসএফের পক্ষ হতে আশ্বস্থ করা হয়।  এ ছাড়াও ৪০ মিনিট স্থায়ী এ পতাকা বৈঠকে সীমান্তে বিজিবি-বিএসএফের সমন্বয়ে যৌথ টহল, ভারত হতে কোন মাদকদ্রব্য বাংলাদেশের অভ্যন্তরে না আসা, ইয়াবা পাচার প্রতিরোধে কার্যকরী পদক্ষেপ গ্রহণ করা, কাটাতারের বেড়া না কাটা, উভয় দেশের সীমান্ত রক্ষী বাহিনীর মধ্যে সুসম্পর্ক বজায় থাকা এবং উভয় দেশে অবৈধ অনুপ্রবেশ প্রতিরোধে বিজিবি-বিএসএফ দৃড় পদক্ষেপ গ্রহণ করবে এই মর্মে ফলপ্রসূ আলোচনা অনুষ্ঠিত হয়।