জীবননগর বাঁকায় এবার জমি দখলে নিতে রাতের আঁধারে ভেঙে দেয়া হলো পাকা পাঁচিল

 

জীবননগর ব্যুরো: জীবননগর উপজেলার বাঁকায় জমি দখলে নিতে এবার রাতের আঁধারে বসতবাড়ির পাকা পাঁচিল ভেঙে দেয়া হয়েছে। গত বুধবার গভীর রাতে বদনের নেতৃত্বে সংঘবদ্ধভাবে শাবল ও হাতুড়ি নিয়ে উপজেলা বিএনপির একাংশের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল খালেকের বাড়িতে হামলা চালিয়ে পাঁচিল ভেঙে ইট ছুটে ফেলা হয়েছে পুকুরে। এর আগে গত ১৬ ডিসেম্বর পাঁচিল ভাঙাসহ জোরপূর্বক গাছ কাটার অভিযোগ রয়েছে। এ সময় বাড়ির লোকজনের আর্তচিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে এলে মূল হামলাকারী বদর উদ্দিন বদন তার লোকজন নিয়ে পালিয়ে যায়। এ হামলার ঘটনায় চুয়াডাঙ্গা আদালতে মামলা দায়ের করা হলে আদালত বিরোধপূর্ণ জমিতে শান্তি-শৃঙ্খলা বজায় রাখতে থানার মাধ্যমে নির্দেশ প্রদান করে। কিন্তু বদন এ নির্দেশ উপেক্ষা করে এবার হামলা চালিয়ে পাঁচিল ভেঙে মাটির সাথে মিশিয়ে দিয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে।

সংবাদে প্রকাশ, বাঁকা গ্রামের হোসেন আলী শেখের ছেলে আব্দুল খালেক উপজেলা বিএনপির একাংশের সাধারণ সম্পাদক ও বিআরডিবির সাবেক চেয়ারম্যান। তিনি ও তার স্ত্রী আনোয়ারা খাতুন ১৯৯৯ সালে নার্গিস খাতুনের নিকট হতে সাড়ে ১৬ শতক জমি খরিদ করেন। জমি ক্রয়ের পর নিয়ম মাফিকভাবে খারিজ করে ওই জমির খাজনা দিয়ে আসছেন। এ জমিতে তাদের বসতবাড়িসহ গাছ-গাছালি রয়েছে। একই গ্রামের মৃত মকবুল হোসেনের ছেলে বদর উদ্দিন ওরফে বদনও ওই জমির অংশ কেনেন। তার সাড়ে ৪ শতক জমি পড়ে থাকলেও বদন আব্দুল খালেকের ২২ বছর ধরে বসবাসকৃত বাড়ির জমি দাবি করে তা জোরপূর্বক দখলে নেয়ার অপচেষ্টা চালিয়ে আসছেন। গত ১৬ ডিসেম্বর ওই জমি দখল করে গাছ কাটার উদ্দেশ্যে আব্দুল খালেকের বাড়িতে বদন লোকজন নিয়ে হামলা করে। এ সময় তার পাঁচিল আংশিখ ভেঙে বাড়ির ভেতরে ঢুকে জোরপূর্বক গাছ কাটার চেষ্টা করে। এ সময় বাড়িতে থাকা লোকজনের চিৎকারে প্রতিবেশীরা ছুটে এলে বদন ও তার লোকজন পালিয়ে যায়। এ ব্যাপারে বদনকে আসামি করে চুয়াডাঙ্গা অতিরিক্ত জেলা ম্যাজিস্ট্রেট আদালতে মামলা দায়ের করা হলে আদালত শান্তি শৃঙ্খলা বজায় রাখতে জীবননগর থানাকে নির্দেশ প্রদান করে। কিন্তু এ নিদের্শ অমান্য করে বদন বুধবার রাত সাড়ে ১২টার দিকে লোকজন নিয়ে আবারো হামলা চালিয়ে পাঁচিল সম্পূর্ণ ভেঙে মাটির সাথে মিশিয়ে দেয়া হয়েছে। সেই সাথে ভেঙে ফেলা ইট পার্শ্ববর্তী পুকুরের মধ্যে ছুড়ে ফেলা হয়েছে। এ ঘটনায় চরম অসহায় ও নিরাপত্তারহীনতায় ভুগছেন বলে আব্দুল খালেক জানিয়েছেন।