গাংনীতে চোরাই গরুর মাংস বিক্রির অভিযোগ ॥ দুই কসাই আত্মগোপনে

 

গাংনী প্রতিনিধি: চোরাই গরুর মাংস বিক্রির অভিযোগে আত্মগোপন করেছে দুই কসাই। গতকাল সোমবার বিকেলে মেহেরপুর গাংনী উপজেলার তেঁতুলবাড়িয়া হাটে এ ঘটনা ঘটে। অভিযুক্ত দুই কসাই হচ্ছে- পলাশীপাড়া গ্রামের মৃত নকিমুদ্দীনের ছেলে তাজুল ইসলাম ও একই গ্রামের মুন্নাত আলীর ছেলে আব্বাস উদ্দীন।

স্থানীয়সূত্রে জানা গেছে, এ উপজেলার নওপাড়া গ্রামের মৃত জয়নুদ্দীনের ছেলে বসির উদ্দীনের একটি বড় এঁড়ে গরু রোববার দিনগত রাতে নিজ বাড়ি থেকে চুরি হয়। গরুর খোঁজে গতকাল দিনভর বিভিন্ন স্থানে ঘুরছিলেন বসির উদ্দীন ও তার স্বজনরা। এক পর্যায়ে তেঁতুলবাড়িয়া হাটে গিয়ে ওই দুই কসাইসের মাংস বিক্রির বিষয়টি নজরে আসে।

ভুক্তভোগীরা জানান, চোরায় গরুর মাংস চুপিসারে বিক্রি করা হচ্ছেন এমন খবর পেয়ে তারা ওই হাটে গিয়েছিলেন। সেখানে কসাই আব্বাস ও তাজুল ইসলামকে গরুর বিষয়ে জানতে চাইলে তারা পাশর্^বর্তী গ্রামের এক ব্যক্তির কাছ থেকে কেনা বলে জানায়। কিন্তু ওই ব্যক্তির সাথে যোগাযোগ করে সত্যতা মেলেনি। কসাইদের দেয়া তথ্য যাচাই করার ফাঁকে তারা প্রায় ১০ কেজি মাংস ফেলে বাজার থেকে সটকে পড়ে। এতে হারিয়ে যাওয়া গরু মালিকের সন্দেহ বাড়তে থাকে। এক পর্যায়ে মাংস বিক্রির স্থল থেকে পাওয়া গরুর চামড়া দেখে তাদের সন্দেহ আরো ঘনিভূত হয়। বিষয়টি গড়াই পুলিশ পর্যন্ত। স্থানীয় পুলিশ ক্যাম্পের একটি দলের সহায়তায় তারা দু কসাইয়ের সন্ধান করেও বিফল হন।

বশির উদ্দীন জানান, ওই কসাইরা মাংস বিক্রির একদিন আগে মাইকিং করে ব্যাপক প্রচার-প্রচারণার মধ্যদিয়ে মাংস বিক্রি করে থাকে। কিন্তু গতকাল চুপিসারে মাংস বিক্রি করছিলো। তাছাড়া গরুর চামড়া দেখে তিনি নিজের গরু বলে মনে করছেন। তাই আত্মগোপন করা কসাইরা তার গরু চুরি করে মাংস বিক্রি করছিলেন বলে অভিযোগ করেন তিনি। তবে অভিযুক্ত দুই কসাইয়ের কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি।

গাংনী থানা ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আনোয়ার হোসেন জানান, চুরি হওয়া গরু মালিকরা থানায় এসেছিলেন। তাদেরকে লিখিত অভিযোগ দিতে বলা হলেও তারা দেননি। তাই লিখিত অভিযোগ পেলে অভিযুক্তদের বিরুদ্ধে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।