জীবননগর মিনাজপুর স্কুলে নববর্ষের সভায় এক শিক্ষককে পেটালেন অন্য ২ শিক্ষক

 

জীবননগর ব্যুরো: জীবননগর উপজেলার মিনাজপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে নববর্ষের সভায় অনাকাক্সিক্ষত ঘটনা ঘটেছে। সভা চলাকালে বক্তব্য দেয়া শুরু করলে সহকারী শিক্ষক হাবিবুর রহমানের নেতৃত্বে হামলা চালানো হয় অন্য সহকারী শিক্ষক মঈনুল ইসলামের ওপর। দফাফ-দফায় তাকে মারপিট করে স্কুলটিতে ত্রাসের রাজত্ব কায়েম কারেন শিক্ষক হাবিবুর রহমান ও তার পক্ষে যোগ দেয়া অপর একজন মহিলা শিক্ষক। আতঙ্কিত শিক্ষকদের ডাক-চিৎকারে এলাকাবাসী এ সময় এগিয়ে এসে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। এমন ঘটনায় এলাকাবাসী শিক্ষক হাবিবুর রহমানকে দায়ি করে তাকে ধিক্কার জানিয়েছে। গতকাল রোববার সকালে শিক্ষক পেটানোর এ ঘটনা ঘটে।

জানা যায়, নতুন বছরে কিভাবে বিদ্যালয় পরিচালনা করা যায় তার করণীয় নির্ধারণের জন্য মিনাজপুর মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের প্রধান শিক্ষক আবুল বাশার শিক্ষকদের নিয়ে সভা করছিলেন। সভায় বিদ্যালয়ের শিক্ষার মান বৃদ্ধি করতে বিভিন্ন পরামর্শের কথা তুলে ধরে তিনি বক্তব্য রাখেন। উন্মুক্ত আলোচনা করাকালে শিক্ষক লাল মোহাম্মদের ওপর চড়াও হন বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষক রেহেনা পারভীন। এ নিয়ে সভার মধ্যে উত্তেজনা দেখা দেয়। এ অবস্থার মধ্যে সহকারী শিক্ষক মঈনুল ইসলাম বক্তব্য দিতে উঠলে শিক্ষক হাবিবুর রহমান ক্ষিপ্ত হয়ে ওঠেন এবং গালিগালাজ দিয়ে তার ওপর আক্রমণ করে পেটানো শুরু করেন। উপস্থিত শিক্ষকদের বাধার মুখেও হাবিবুর রহমান দফায়-দফায় হামলা চালিয়ে তাকে আহত করেন। একপর্যায়ে ঘণ্টা পেটানোর হাতুড়ি নিয়ে তাকে পেটাতে গেলে এলাকাবাসী ছুটে এসে তাকে নিবৃত করে। এ ঘটনার ফলে নববর্ষের আলোচনাসভা ভু-ুল হয়ে যায়। এলাকাবাসী এমন ঘটনার জন্য শিক্ষক হাবিবুর রহমানের অশিক্ষক সুলভ আচরণকেই দায়ী করেছেন।