২৫শ টাকা ছিনতাইয়ের কথা শুনে মহিলারা ভরালেন ভিক্ষার ঝুলি

 

স্ত্রীর কথায় রাগ করে পথে বেরিয়ে মধ্যবয়সী মিনাজের দশ দিন ধরে ভিক্ষাবৃত্তি

 

সুজন আহম্মেদ: বাড়ি থেকে রাগ করে পথে বের হয়ে ভিক্ষাবৃত্তি শুরু করেছিলেন মিনাজ উদ্দীন। মধ্যবয়সী মিনাজ দিন দশেক ধরে বাড়ি বাড়ি ঘুরে হাত পেতে জমিয়েছিলেন ২৫শ টাকা। শেষ পর্যন্ত সেই টাকা নিয়ে বাড়ি ফিরতে পারেননি তিনি। চুয়াডাঙ্গার নীলমণিগঞ্জ-ডিঙ্গেদহ সড়কে ছিনতাইকারী ছিনিয়ে নিয়েছে সেই টাকা। এ কথা শুনে হাত গুটিয়ে বসে থাকেননি কুশোডাঙ্গার গৃহিণীদের কেউই।

গতকাল বৃহস্পতিবার বাড়ির উদ্দেশে ফেরার পথে তার নিকট থেকে টাকা ছিনিয়ে নেয়া হয় বলে অভিযোগ করে মিনাজ উদ্দীন অভিযোগ করেন। তিনি বলেন, বাড়ি আলমডাঙ্গার খাসকররা ইউনিয়নের কায়েতপাড়া মাঝেরপাড়ায়। পিতা মৃত আমছের ম-ল। বয়স আনুমানিক ৫৫ বছর। গতকালই বৃহস্পতিবার দুপুরে তিনি চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের কুশোডাঙ্গা গ্রামের মহল্লায় মহিলাদের নিকট ছিনতাইয়ের বর্ণনা দেন। বলেন, বুড়ো হয়ে গেছি। কাজ করতে পারিনে বলে স্ত্রী রাত-দিন খিতিলি করে। খেতে দেয়। এ কারণে দশ দিন আগে বাড়ি থেকে রাগ করে ভিক্ষা শুরু করেছিলাম। সেই টাকা নিয়ে বাড়ি ফিরবো ভেবেছিলাম বাড়ি ফিরে তার সামনে টাকাগুলো ছুড়ে দেবো। হলো না, কেড়ে নিয়ে গেলো এক লোক। এ কথা শুনে মহিলারা সম্মিলিতভাবে কিছু চাল তুলে দেন মিনাজ উদ্দীনের হাতে। মিনাজ উদ্দীন ওই চাল নিয়ে রওনা দেন নীলমণিগঞ্জের পথে।

তিনি কি সত্যিই স্ত্রীর ওপর অভিমান করে পথে বের হয়ে ভিক্ষা করে টাকা জমিয়েছিলেন? নাকি টাকা ছিনতাইয়ের গল্প বলে কুশোডাঙ্গার মহিলাদের একটু মায়াবী করে ভরে নিয়েছেন নিজের ভিক্ষার ঝুলি?