অস্ত্রের মুখে জিম্মি করে সোনার গয়না লুট : গৃহকর্তাকে পিটিয়ে জখম

দামুড়হুদার কার্পাসডাঙ্গায় মুখোশধারী ডাকাতদলের দীর্ঘসময় ধরে তাণ্ডব

 

ভ্রাম্যমাণ সংবাদদাতা/কার্পাসডাঙ্গা প্রতিনিধি: চুয়াডাঙ্গার দামুড়াহুদা উপজেলার কার্পাসডাঙ্গা ও বাঘাডাঙ্গা গ্রামে সোমবার রাতে দুটি বাড়িতে ডাকাতদল হানা দেয়। অস্ত্রের মুখে একটি বাড়ি থেকে সোনার গয়না লুটে নিলেও আরেকটিতে ব্যর্থ হয়েছে। এ ঘটনায় এলাকায় ডাকাত আতঙ্ক বিরাজ করছে। তবে পুলিশ বলছে, ডাকাতি প্রতিরোধে তৎপর রয়েছে পুলিশ।

ভুক্তভোগী সূত্রে জানা গেছে, বাঘাডাঙ্গা উঠতিপাড়ার ফয়েজ আহম্মেদের ছেলে সাইদুর রহমানের বাড়িতে ১০-১২ জন ডাকাত পাঁচিল টপকিয়ে ভেতরে প্রবেশ করে। বাড়ির লোকজনের ঘুমের সুযোগে গ্রিল কেটে ঘরের মধ্যে প্রবেশ করে ডাকাত দলের কয়েকজন সদস্য। এ সময় বাড়ির লোকজন টের পেলে তাদেরকে অস্ত্রের মুখে জিম্মি করা হয়। বাড়িতে গচ্ছিত টাকা বের করে না দেয়ায় গৃহকর্তা সাইদুর রহমানকে বেধড়ক মারপিট করে ডাকাতরা। ঘরের জিনিসপত্র তছনছ করে টাকা খুঁজতে থাকে। এক পর্যায়ে ৫ ভরি ওজনের সোনার গয়না লুটে নিয়ে ডাকাতরা সটকে পড়ে। খবর পেয়ে কার্পাসডাঙ্গা পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ এসআই জিয়াউল হক ও এএসআই মুহিত সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান। কিন্তু পুলিশ পৌঁছানোর আগেই পালিয়ে যায় ওই ডাকাতদল।

এদিকে একই রাতে কার্পাসডাঙ্গা পুলিশ ক্যাম্পের অদূরবর্তী স্থানে অবস্থিত গাউছিয়া ফুড ফ্যাক্টরিতে একদল ডাকাত হানা দেয়। ফ্যাক্টরি মালিকের তিনতলা বাড়ির নিচতলার গেটের তালা ভেঙে ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা চালায়। বিষয়টি টের পেয়ে বাড়ি মালিক পুলিশ ক্যাম্পে জানান। দ্রুত সেখানে পৌঁছায় পুলিশের ওই দলটি। তবে তার কিছুক্ষণ আগেই অবস্থা বেগতিক বুঝে পালিয়ে যায় ডাকাতদলের সদস্যরা। পুলিশের তৎপরতায় ডাকাতরা ব্যর্থ হয়েছে বলে জানান বাড়িমালিক। এছাড়াও একই রাতে ওই ফ্যাক্টরির পার্শ্ববর্তী পাড়ার পশু চিকিৎসক নজরুল ইসলাম ও আব্দুস সালাম মাস্টারের বাড়ির প্রধান গেটের তালা ভেঙে ডাকাতরা ভেতরে প্রবেশের চেষ্টা করে। বাড়ির লোকজন টের পেলে ডাকাতরা পালিয়ে যায় বলে দাবি করেছেন ভুক্তভোগীরা।

একই রাতে ডাকাত দলের এ অপতৎপরতায় এলাকার মানুষের মাঝে ডাকাতি আতঙ্ক বিরাজ করছে। পুলিশ ক্যাম্প থাকা সত্ত্বেও ডাকাতদের এই দুঃসাহসিক আক্রমণে ভীত হয়ে পড়েছেন স্থানীয়রা। তবে ডাকাতি প্রতিরোধে পুলিশ তৎপর রয়েছে বলে জানান কার্পাসডাঙ্গা পুলিশ ক্যাম্প ইনচার্জ এসআই জিয়াউল হক। তিনি বলেন, গৃহকর্তার কাছ থেকে খবর পেয়ে আমরা দ্রুত সেখানে পৌঁছে যায়। যার কারণে বড় ধরনের ক্ষয়ক্ষতি এড়ানো সম্ভব হয়েছে। ডাকাতির সাথে কারা জড়িত তা দ্রুত চিহ্নিত করে তাদেরকে গ্রেফতার করতে পুলিশ সক্ষম হবে বলে জানান তিনি।