আলমডাঙ্গার শেফা ক্লিনিকে অবহেলায় প্রসূতির মৃত্যু : ক্লিনিকে হট্টগোল

 

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: আলমডাঙ্গায় ক্লিনিকে এক প্রসূতির মৃত্যু হয়েছে। ডাক্তারের অবহেলার কারণে ওই প্রসূতি মারা গেছেন বলে তার স্বজনরা অভিযোগ করেছেন। রোববার সিজারিয়ানের মাধ্যমে প্রসূতি আঁখি খাতুন পুত্র সন্তানের জন্ম দেন। সোমবার সকালে আঁখির মৃত্যু হয়। এ সময় রোগীর স্বজনরা বিক্ষুব্ধ হয়ে ওঠেন। তবে ক্লিনিক কর্তৃপক্ষ কৌশলে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করে বলে প্রত্যক্ষদর্শীরা জানায়।

জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা জেলার আলমডাঙ্গা উপজেলার দুর্লভপুর গ্রামের আব্দুস সবুরের স্ত্রী আঁখি খাতুনের (২২) প্রসব বেদনা শুরু হলে গত রোববার ভোরে তাকে আলমডাঙ্গার শেফা ক্লিনিকে ভর্তি করা হয়। স্বাভাবিকভাবে বাচ্চা প্রসব সম্ভব না হলে গতকাল সকাল ৮টার দিকে সিজার করা হয়। এক পুত্র সন্তানের জন্ম হয়। প্রসবের পর থেকেই প্রসূতির শারীরিক অবস্থার অবনতি হতে থাকে। প্রসূতির মারাত্মক খিঁচুনি হতে থাকে। গতকাল ২৬ ডিসেম্বর সকাল ৮টায় ক্লিনিকে চিকিৎসাধীন অবস্থায় প্রসূতি মায়ের মৃত্যু হয়।

প্রত্যক্ষদর্শীসূত্রে জানা যায়, এ প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনায় আত্মীয়রা ডাক্তারের দায়িত্বের অবহেলার অভিযোগ তোলেন। এ সময় ক্লিনিকে অনেক লোক জড়ো হয়। তারা ক্লিনিক মালিকের নিকট মৃত্যুর কারণ জানতে চাইলে ক্লিনিকের পক্ষ থেকে কর্তব্যরত ডাক্তার তাদেরকে মৃত্যুর কারণ ব্যাখ্যা করেন। এক পর্যায়ে অভিভাবকদের পক্ষ থেকে লাশ বাড়ি নিয়ে দাফন করা হয়।

এ দিকে, এই প্রসূতির মৃত্যুর ঘটনা সম্পর্কে জানতে চাইলে ক্লিনিকের কর্তব্যরত মেডিকেল অফিসার আকাশ মজুমদার বলেন, প্রি-একলেমশিয়াসহ প্রসব বেদনা নিয়ে রোগিটি ক্লিনিকে আসেন। তার প্রেসার অত্যন্ত বেশি ছিলো। স্বাভাবিকভাবে প্রসবের চেষ্টা করা সম্ভব হয়নি। এমন পরিস্থিতিতে ডাক্তার লিফা নারছিছ চৈতালী সিজার করেন। সিজারের পরেই তার অবস্থার অবনতি হতে থাকে। শুরু হয় খিঁচুনি। এক পর্যায়ে মাইওকার্ডিয়াল ইনফেকশনজনিত কারণে হৃদযন্ত্রের ক্রিয়া বন্ধ হয়ে মারা যায়।