বেগমপুর প্রতিনিধি: কেরুজ ফুরশেদপুর বাণিজ্যিক খামারের সুপাভাইজার আলীর বিরুদ্ধে ঠিকাদারের নিকট উৎকোচ চাওয়ার অভিযোগ উঠেছে। উৎকোচ না পেয়ে আখের শুকনো পাতা পুড়িয়ে দিয়েছেন তিনি। বিষয়টির সুরাহ না হলে আখ কাটতে অপারগতা প্রকাশ করেছেন ঠিকাদারসহ লেবাররা।
কেরুজ চিনিকলের মাড়াই মরসুম শুরু হলে চিনিকল কর্তৃপক্ষ ডেন্ডারের মাধ্যমে বাণিজ্যিক খামারগুলোর আখ কেটে তা চিনিকলে সরবরাহর জন্য ঠিকাদার নিয়োগ দিয়ে থাকে। বর্তমান বাজারমূল্যে স্বল্পমূলে আখ কাটার লেবার পেতে হিমশিম খেতে হয় ঠিকাদারদের। চিনিকলের আওতাধীন ফুরশেদপুর বাণিজ্যিক খামারের ঠিকাদার আসলাম উদ্দীন আখকাটা লেবার এবং খামারের কর্মকর্তাদের উপস্থিতিতে অভিযোগ করে বলেন, আমি এ ফার্মে আখ কাটার ঠিকাদারি পেয়েছি। কিন্তু ফার্মের সুপারভাইজার আলী আকবর ওরফে আলী আমার নিকট প্রতিক্লিনে ৩ হাজার টাকা এবং প্রতিদিন হাফলিটার বাংলা মদ দাবি করে আসছে। কারণ আলী নিয়মিত নেশা করে যা সকলের জানা। বিষয়টি আমি গত তিনদিন আগে ওই ফার্মের ভারপ্রাপ্ত ইনচার্জ জাফর ইকবালকে মৌখিকভাবে জানাই। কিন্তু ফার্ম ইনচার্জ আমার সে কথায় কর্ণপাত করেননি। টাকা আর মদ না পেয়ে শুক্রবার লেবারদের কাটা আখের শুকনো পাতা পুড়িয়ে দেয়। লেবারদের আখের পাতা পুড়িয়ে দেয়ার কারণে লেবাররা আর আখ কাটতে চাইছে না। আমি পড়েছি বিপাকে। কারণ বর্তমানে লেবার পাওয়া খুবই কষ্টসাধ্য। এতে করে আমার হয়ত আর্থিকভাবে কিছু ক্ষতি হলেও বড় ক্ষতি হবে চিনিকল কর্তৃপক্ষের। পুষ্ট আখ বেশি দিন দ-ায়মান থাকলে তার রস শুকিয়ে যায়। ফলে আখের রসে চিনির মাত্রা কমে যায়। এ সময় কাজ করা লেবাররা অভিযুক্ত আলীর শাস্তির দাবি তুলে বলে এর সমাধান না হলে আমরা আর আখ কাটবো না। ফার্মের এক লেবার নাম প্রকাশ না করার শর্তে জানান, এ ফার্মে সেচের কাজ চলে। যিনি সেচের কাজ করেন তার জমির হিসাব-নিকাশ না নিয়ে সেখান থেকে উৎকোচ হিসেবে ডিজেল নেন এবং সে ডিজেল বিক্রি করে মোটরসাইকেলের পেট্রোল কেনেন আলী। তিনি আরও জানান, দীর্ঘদিন থেকে এ ফার্মে কয়েকজন কর্মরত আছেন। তারা একত্রিত হয়ে বিভিন্ন অনিয়ম করলেও অজ্ঞাত কারণে তা ধামাচাপা পড়ে যায়। এ ব্যাপারে অভিযুক্ত সুপাভাইজার আলী তার বিরুদ্ধে উত্থাপিত সকল অভিযোগ মিথ্যা ও ভিত্তিহীন বলে দাবি করেন।
এ বিষয়ে ফার্ম ইনচার্জ জাফর ইকবাল বলেন, বিষয়টি আমি দেখছি। ডিজিএম ফার্ম ম্যানেজার আ.বারী বলেন, আলীর বিরুদ্ধে অভিযোগের প্রমাণ পায়নি, বিষয়টি বাদ দেন। চিনিকলের ব্যবস্থাপনা পরিচালক এবিএম আরশাদ হোসেন বলেন, বিষয়টি অবগত আছি তদন্তপূর্বক প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে।