আলমডাঙ্গার এরশাদপুর গ্রামে কলেজ ছাত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু : লাশ উদ্ধার

 

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: আলমডাঙ্গার এরশাদপুর গ্রামে কলেজ ছাত্রীর রহস্যজনক মৃত্যু হয়েছে। ঘরের আড়ার সাথে গলায় ওড়না দিয়ে ফাঁস লাগানো অবথায় তার মৃতদেহ উদ্ধার করা হয়। অনেকে বিষয়টি প্রেমে ব্যর্থ হয়ে আত্মহত্যা করেছে এমন গুঞ্জন ছড়ালেও সে প্রেমের বাস্তবতা সম্পর্কে কোন সত্যতা পাওয়া যায়নি। পুলিশ এ ঘটনাকে নিছক আত্মহত্যা হিসেবে বিবেচনা না করে লাশ উদ্ধারপূর্বক ময়নাতদন্তের জন্য মর্গে পাঠিয়েছে।

জানা গেছে, ঝিনাইদহের হরিণাকু-ু উপজেলার ভবানীপুর গ্রামের একবুল হোসেনের মেয়ে তাসলিমা খাতুন ছোট বেলা থেকেই এরশাদপুর গ্রামে নানা-নানীর নিকট থাকতো। তাসলিমা এ বছর আলমডাঙ্গা ডিগ্রি কলেজের এইচএস সি ১ম বর্ষের ছাত্রী। গতকাল রোববার ভোরে তাসলিমা খাতুন অন্যান্য দিনের মতো উঠে প্রাইভেট পড়তে না যাওয়ায় তার নানা আলী হোসেন তাকে বিছানা থেকে ডেকে তুলতে যান। দরজা খোলায় ছিলো।  তিনি ঘরে ঢুকে দেখতে পান বিছানায় বালিশ সাজিয়ে ওপরে লেপ দিয়ে রাখা, অথচ তাসলিমা নেই। ঘরের বাল্ব জ্বেলে দেখেন বেডের পাশেই ঘরের আড়াই গলায় ওড়না জড়িয়ে ফাঁস লাগনো তাসলিমার লাশ ঝুলছে। বিষয়টি জানতে পেরে আলমডাঙ্গা থানার এসআই আবুল কালাম আজাদ ঘটনাস্থলে যান।

কলেজছাত্রী তাসলিমা খাতুনের আত্মহত্যার বিষয়ে অনেকে নেপথ্যে প্রেমে ব্যর্থতা রয়েছে বলে গুঞ্জন ছড়ালেও বাস্তবে তার সত্যতা পাওয়া যায়নি। একই সাথে স্কুল-কলেজে পড়ুয়া সহপাঠিরা কেউই তাসলিমার সাথে কারও প্রেমের সম্পর্ক ছিলো, এমন তথ্য দিতে পারেনি।

এদিকে, পুলিশ জানিয়েছে, গলায় ফাঁস লাগিয়ে আত্মহত্যা করা আর দশটা লাশের সাথে তাসলিমার লাশ মেলেনি। তার গলার চারিদিকে এমন কি ঘাড়েও দাগ রয়েছে। সে কারণে পুলিশ এ ঘটনাকে নিছক আত্মহত্যা হিসেবে বিবেচনা না করে লাশ উদ্ধারপূর্বক ময়নাতদন্তের জন্য হাসপাতহালমর্গে পাঠিয়েছে। এ ব্যাপারে আলমডাঙ্গা থানায় তাসলিমা খাতুনের পিতা বাদী হয়ে অপমৃত্যুর অভিযোগ দায়ের করেছেন।