স্টাফ রিপোর্টার: জাপানে জনপ্রতিনিধিদের দায়িত্বশীলতা দেখেছেন, সেই অভিজ্ঞতার আলোকে নিজ এলাকা তথা চুয়াডাঙ্গাকে কল্পনার চেয়ে সুন্দর করে সাজানোর স্বপ্ন দেখেন মামুন অর রশীদ আঙ্গুর। তিনি চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে লড়ছেন মূলত সেই স্বপ্ন বাস্তবায়নেরই লক্ষ্যে।
গতকাল একান্ত আলাপচারিতায় জেলা পরিষদ চেয়ারম্যান প্রার্থী মামুন অর রশীদ আঙ্গুর তার স্বপ্নের কথা কথা উল্লেখ করে উপরোক্ত আশাবাদ ব্যক্ত করার পাশাপাশি বলেছেন, জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে নির্বাচিত হলে সর্বপ্রথম যে কাজটি করতে চাই তাহলো, বরাদ্দকৃত প্রকল্পসমূহের সমবণ্টন। অসম বণ্টন, পক্ষপাতিত্বই যে আমাদের সমাজ উন্নয়নে অন্যতম অন্তরায় তা নতুন করে বলার অবকাশ রাখে না। জাপানে দীর্ঘ ৯ বছর প্রবাসী জীবনযাপনকালে ওদের মধ্যে ন্যায় ও জনপ্রতিনিধিদের নিরপেক্ষতার বিষয়টি গভীরভাবে অবলোকন করেছি। নির্বাচিত ব্যক্তি কোনো গোষ্ঠীর থাকে না। সকলের জন্যই তিনি প্রতিনিধিত্ব করেন। আমিও সেই উদাহরণ সৃষ্টির মধ্যদিয়ে চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদকে অনুকরণীয় দৃষ্টান্ত করতে চাই বলেই প্রার্থী হয়েছি।
চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের জাফরপুরের মরহুম ইউসুফ আলী জোয়ার্দ্দারের ছেলে মামুন অর রশীদ আঙ্গুর ১৯৮৮ সাল থেকে ১৯৯৭ সাল পর্যন্ত জাপান প্রবাসী ছিলেন। দেশে ফিরে ফিলিং স্টেশন, হার্ডওয়ারসহ বিভিন্ন ব্যবসা শুরু করেন। ইতোমধ্যেই তিনি সফল ব্যবসায়ী হিসেবে স্বীকৃত। প্রগতিশীল মানসিকতার মামুন অর রশীদ ২০০৯ সালে সদর উপজেলা নির্বাচনে ভাইস চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়ে বিপুল ভোটে নির্বাচিত হন। নিষ্ঠার সাথে দায়িত্ব পালন করেন। দীর্ঘদিন ধরৈ তিনি জাফরপুর মসজিদ কবরস্থান ও ঈদগা কমিটির সভাপতি হিসেবে দায়িত্ব পালনই করে আসছেন না, সামাজিক দায়িত্ব পালনে তিনি সব সময়ই সিদ্ধহস্ত। জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে ৪ জন প্রতিদ্বন্দ্বীর মধ্যে তিনি একজন। নির্বাচনী ইশতেহার নয়, তিনি নির্বাচনী অঙ্গীকার প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে বলেছেন, জেলার সকল এলাকার সকল সড়ক উন্নয়নের পাশাপাশি সম্পদ সম্পত্তির সু-ব্যবহারের মাধ্যমে জেলার উন্নয়ন ত্বরান্বিত করতে চাই। যেহেতু উন্নয়নের অন্যতম শর্ত সু-শাসন, সেহেতু সব সময়ই সেটা বাস্তবায়নে আন্তরিক চেষ্টা করি। সদর উপজেলা পরিষদে ভাইস চেয়ারম্যান পদে দায়িত্ব পালন করতে গিয়ে দেখেছি, সু-শাসন প্রতিষ্ঠার জন্য গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত হওয়া প্রয়োজন। সেই প্রয়োজনীয়তা উপলব্ধি করেই মূলত জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদে প্রার্থী হয়েছি। বাকিটা সম্মানিত ভোটারগণের সু-দক্ষ বিচার, বিবেচনা।
প্রসঙ্গত: মামুন অর রশীদ আঙ্গুর জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান পদপ্রাথী হয়ে জোর প্রচার-প্রচারণা অব্যাহত রেখেছেন।