সিলভারকার্পে ক্ষোভ কারাগারে : শিশু পরিবারের শিশুদেরই ধুতে হয়েছে বড় বড় ডেস্কি

মহান বিজয় দিবসে চুয়াডাঙ্গার হাসপাতাল কারাগার ও শিশু পরিবারে উন্নতমানের খাবার পরিবেশন

 

স্টাফ রিপোর্টার: জাতীয় বিশেষ দিন মানেই হাসাতাল, কারাগার ও শিশু পরিবারে উন্নতমানের খাবার। এবারের বিজয় দিবসে ৩টি প্রতিষ্ঠানে উন্নতমানের খাবারের প্রকৃত মান কেমন? তা জানতে গতকাল সরেজিমন খোঁজ নিতে গেলে নামে দামি খাবার পরিবেশনের দৃশ্য দৃষ্টিগোচর হলেও মান মাপার যন্ত্র থাকলে তা নির্ঘাত যেতো তলানিতে। চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগারে রাতের খাবার নামে উন্নত হলেও দুপুরে সিলভার কার্প দেয়ায় বন্দিদের মধ্যে দানা বাধে ক্ষোভ। আর সরকারি শিশু পরিবারের দৃশ্য? খাবার যাই হোক, মহান বিজয় দিবসের বিশেষ দিনেও শিশুদের ধুতে হয়েছে বিশাল বড় বড় ডেস্কি।

চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে প্রতিদিন রোগীদের যে খাবার দেয়া হয় তা খানেকটা দায়ে পড়েই যেন খেতে হয়। তারপরও সে খাবারেও টান পড়তে দেখা যায়। গতকাল বিজয় দিবসে উন্নত মানের খাবার পরিবেশনেও টান পড়ে। দুপুরের খাবার মেডিসিন মেল ও ফিমেল ওয়ার্ডসহ সার্জিক্যাল ওয়ার্ডের রোগীরা তা পেলেও গাইনি ওয়ার্ডে রোগীদের দিতে গিয়ে পড়ে টান। গাইনি ওয়ার্ডের পাশাপাশি শিশু ওয়ার্ডেরও সকল রোগীর দেয়া হয়নি মিষ্টি-আপেল ও ডিম। সদর হাসপাতালে গতকাল সকালে সেমাই, পাউরুটি ও কলা দেয়া হয়। দুপুরে দেয়া হয় পলাওভাত, খাসির মাংশ, ডিম-ডাইল, আপেল, মিষ্টিসহ দই। রাতে ভাতের সাথে ডিম-ডাল। চুয়াডাঙ্গা জেলা কারাগারে সকালে দেয়া হয় ভুনা খেচুড়ি। দুপুরে শাদাভাতের সাথে আলুর দোম আর সিলভারকার্প মাছ। রাতে পোলাওভাতের সাথে গরু-খাসি’র মাংশ, দই ও পান-সুপারি। দুপুরে সিলভারকার্প মাছ দেয়ায় অনেকেই নাকশিটকে ক্ষোভ প্রকাশ করে বলেন, এটাই কি বিজয় দিবসের উন্নতখাবার? চুয়াডাঙ্গা সরকারি শিশু পরিবারে (এতিমখানা) বর্তমানে ৯৪ জন শিশু রয়েছে। সকালে একটি রুটির সাথে একটি করে পাকা কলা দেয়ার পর নেয়া হয় কুচকাওয়ূাজে। সেখান থেকে ফিরে সাড়ে ১০টার দিকে শিশুরা পায় খেচুড়ি। দুপুরে পোলাও খাসির মাংশ, মুরগির রোস্ট ও আইড়শ গ্রামের কমল পানি। রাতে শাদা ভাতের সাথে ভাগ্যে জোটে শবজি।  গতকাল বিকেলে শিশু পরিবারের শিশুদের খোঁজ-খবর নিতে গেলে দেখা যায় তাদের কয়েকজনকে কলপাড়ে বড় বড় ডেস্কি পরিষ্কার করতে। তাদের কয়েকজনের নিকট উন্নতমানের খাবার সম্পর্কে জানতে চাওয়া হলে প্রথমে নির্বাক থাকলেও পরে বলেছে, ঠিক ঠাক মতোই পেয়েছি আমরা। শিশুদের দিয়ে বড় বড় ডেস্কি পরিষ্কার করানো হচ্ছে কেন? জবাবে দায়িত্বশীলদের একজন বললেন, ডেকোরেটারের লোকজন চলে গেছে বলে ওদেরই ধুতে হচ্ছে।