যে সাহেবকে বহুদিন ধরে খুঁজছিলো র‌্যাব-পুলিশ সেই সাহেবকে এবার খুঁজছেন তার নিকটজনেরা

 

স্টাফ রিপোর্টার: যে সাহেব আলী ওরফে সাহেদ আলীকে র‌্যাব পুলিশ দীর্ঘদিন ধরে হন্যে হয়ে খুঁজছিলো, সেই সাহেব আলীকে এবার তার নিকটজনেরাও পাচ্ছেন না। তার সন্ধান চেয়ে বোন আকলিমা খাতুন পত্রিকায় বিজ্ঞপ্তি দিয়েছেন। বলেছেন, গত ৫ ডিসেম্বর ঢাকার উদেশে বাড়ি কান্তপুর থেকে বের হয়। ঢাকা থেকে চুয়াডাঙ্গার উদ্দেশে ৭ ডিসেম্বর রওনা হচ্ছে বলে জানিয়ে নিখোঁজ হয়। সাহেব আলীর বিরুদ্ধে কখনো মালয়েশিয়ায় বসে, কখনো দেশে বসে মোবাইলফোনে চাঁদাবাজিসহ নানা অভিযোগ রয়েছে। দামুড়হুদা ও আলমডাঙ্গা থানায় মোবাইলফোন নম্বরসহ অনেকে অভিযোগও করেছেন।

চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গার খাদিমপুর ইউনিয়নের কান্তকপুর মসজিদপাড়ার মৃত বজলু মালিতার ছেলে সাহেব আলীর বোন আকলিমা খাতুন বলেছেন, ঢাকা থেকে ফেরার সময় কোচে ওঠার আগে বেলা ১১টার দিকে সাহেব আলী মোবাইলফোনে ৫ হাজার টাকা চায়। বিকাশ করে টাকা পাঠিয়ে দেয়ার পরও কথা হয়। চুয়াডাঙ্গার উদ্দেশে রওনা হয়েছি বলে জানানোর কিছুক্ষণ পর থেকে তার মোবাইলফোন বন্ধ পাওয়া যায়। এরপর থেকে তার যোগাযোগ নেই। মাঝে অজ্ঞাত পরিচয়ের এক ব্যক্তি মোবাইলফোনে নিজেকে র‌্যাব সদস্য বলে পরিচয় দিয়ে জানতে চান, আমি সাহেব আলীর কি হই। বোন হই বলে জানালে তিনি বলেন র‌্যাব-৬ আটক করেছে। এ তথ্য পেয়ে ঝিনাইদহে র‌্যাব ক্যাম্পে খোঁজখবর নিতে গেলে জানতে পেরেছি র‌্যাব তাকে ধরেনি। তাহলে সে গেলো কোথায়? তার ভাগ্যে শেষ পর্যন্ত কি ঘটেছে? এসব নিয়ে বাড়ির লোকজন উদ্বেগ উৎকণ্ঠার মধ্যে রয়েছে।

পুলিশের একসূত্র বলেছে, এই সাহেব আলী এতোটাই ধ্রুত যে, মালয়েশিয়ায় বসে এমন কৌশলে চাঁদাবাজি করে যে প্রমাণ পাওয়া মুশকিল। ভালাইপুর মোড়ের অদূরর্তী মুরগির খামারে চাঁদার দাবিতে বোমা নিক্ষেপসহ বেশ কিছু ঘটনার সাথে তার সংশ্লিষ্টতা থাকলেও কিছুতেই তার টিকি ছোঁয়া যায়নি। এবার র‌্যাব-পুলিশ যখন তাকে ধরতে নানামুখি উদ্যোগ নেয়, ঠিক তখনই পত্রিকায় তার নিখোঁজ বিজ্ঞাপন দেয়া হয়েছে। সব কিছুই খতিয়ে দেখা হচ্ছে বলে পুলিশের নির্ভরশীলসূত্র জানিয়েছে।