জেলা পরিষদ নির্বাচন – প্রতীক বরাদ্দ আজ : হাতি নিয়ে মাতামাতি

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদ নির্বাচনে প্রার্থীদের মধ্যে আজ সোমবার প্রতীক বরাদ্দ দেয়া হবে। তবে এর আগেই ‘হাতি’ প্রতীক নিয়ে মাতামাতি শুরু করেছেন সদস্য প্রার্থীদের একটি বড় অংশ। কোনো ওয়ার্ডে একাধিক, এমনকি কোনো ওয়ার্ডে সব প্রার্থীই ‘হাতি’ প্রতীক দাবি করেছেন।

জেলা পরিষদ নির্বাচনে দায়িত্বপ্রাপ্ত সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আনিছুর রহমান বলেন, কোনো ওয়ার্ডে একাধিক ব্যক্তি একই প্রতীক দাবি করলে লটারির মাধ্যমে নিষ্পত্তি করা হবে।

জেলা নির্বাচন কার্যালয় সূত্র জানায়, ২৮ ডিসেম্বর অনুষ্ঠিতব্য জেলা পরিষদ নির্বাচনে ১৫ ওয়ার্ডের মধ্যে ১৩টিতে ভোট নেয়া হবে। মেয়াদোত্তীর্ণ পরিষদ ও ইউনিয়নের সীমানা নিয়ে জটিলতার কারণে ৩ ও ১৫ নম্বর ওয়ার্ডে সদস্য পদে ভোট হচ্ছে না। এ নির্বাচনে মোট ভোটার ৫২৮। জেলার সব উপজেলা পরিষদের চেয়ারম্যান ও ভাইস চেয়ারম্যান, পৌরসভার মেয়র, সংরক্ষিত ও সাধারণ ওয়ার্ডের কাউন্সিলর, ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, সংরক্ষিত ও সাধারণ সদস্যরা এ নির্বাচনের ভোটার।

সূত্র আরও জানায়, ১৩টি ওয়ার্ডে সদস্য পদে ৫৮ জন মনোনয়নপত্র দাখিল করেছেন। তাদের মধ্যে ২৪ জনই মনোনয়নপত্রে ‘হাতি’ প্রতীক চেয়েছেন। ১ নম্বর ওয়ার্ডের চারজন ও ২ নম্বর ওয়ার্ডের  তিনজন প্রার্থীর সবাই ‘হাতি’ প্রতীক চেয়েছেন। এছাড়া ৪ নং ওয়ার্ডের  তিনজনের মধ্যে দুজন, ৫ নং ওয়ার্ডের ছয়জনের মধ্যে তিনজন, ৯ নং ওয়ার্ডের পাঁচজনের মধ্যে তিনজনই হাতি প্রতীক চেয়েছেন। অন্য ওয়ার্ডগুলোতে এক থেকে দুজন করে হাতি চেয়েছেন।

১ নং ওয়ার্ডের সদস্য পদপ্রার্থী আশরাফুল হক বলেন, ‘আমি ছাড়াও প্রতিদ্বন্দ্বী অন্য তিনজনও হাতি প্রতীক চেয়েছেন। সদস্য পদে অনেকগুলো প্রতীক আছে। প্রচারের জন্য হাতি প্রতীক ভালো। তবে প্রতীক যা-ই হোক, ভোটাররা যোগ্য ব্যক্তিকেই নির্বাচিত করবেন।’

নির্বাচন কার্যালয় থেকে প্রাপ্ত তথ্যানুযায়ী, সদস্য পদপ্রার্থীদের পছন্দের প্রতীক হিসেবে দ্বিতীয় ও তৃতীয় অবস্থানে রয়েছে যথাক্রমে টিউবওয়েল ও তালা। ৫৮ প্রার্থীর মধ্যে ১৮ জন টিউবওয়েল এবং ১০ জন তালা প্রতীক চেয়েছেন। অটোরিকশা, বৈদ্যুতিক পাখা ও উটপাখি প্রতীক চেয়েছেন একজন করে। এছাড়া একজন প্রার্থী সংরক্ষিত আসনের প্রতীক ফুটবলকে প্রতীক হিসেবে চেয়েছেন এবং আরেকজন কোনো প্রতীকই চাননি।

প্রতীক নিয়ে সুবিধাজনক অবস্থানে রয়েছেন চেয়ারম্যান পদপ্রার্থীরা। প্রতীক বাছাইয়ের ঝামেলায় পড়তে হয়নি তাদের। প্রতিদ্বন্দ্বী চার প্রার্থীর মধ্যে আওয়ামী লীগের মনোনীত মাহফুজুর রহমান মোটরসাইকেল, বিদ্রোহী প্রার্থী শেখ শামসুল আবেদীন মোবাইলফোন ও মামুন অর রশিদ ঘোড়া এবং জাতীয় পার্টির জেলা সভাপতি সোহরাব হোসেন চেয়েছেন আনারস প্রতীক। তাদের চাহিদা অনুযায়ী নির্বাচন কমিশনও প্রতীক নিশ্চিত করেছেন।

সংরক্ষিত পাঁচটি ওয়ার্ডে প্রতিদ্বন্দ্বী ২৩ প্রার্থীকেও প্রতীক নিয়ে বাছাইপর্বে মুখোমুখি হতে হচ্ছে। ফুটবল প্রতীক চেয়েছেন নয়জন। এছাড়া আটজন হরিণ ও পাঁচজন চেয়েছেন দোয়াত-কলম। এ পদে প্রতিদ্বন্দ্বী একজন প্রার্থী মনোনয়নপত্রে পছন্দের প্রতীক হিসেবে টিউবওয়েল চেয়েছেন। অথচ টিউবওয়েল সাধারণ সদস্য প্রার্থীদের প্রতীক।

সহকারী রিটার্নিং কর্মকর্তা ও জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা আনিছুর রহমান বলেন, চেয়ারম্যান পদে প্রতীক নিয়ে সমস্যা নেই। সাধারণ সদস্য পদে ছয়জন এবং সংরক্ষিত সদস্য পদে ৭জন লটারি ছাড়াই পছন্দের প্রতীক পাচ্ছেন। তবে একই প্রতীকের একাধিক দাবিদার হওয়ায় সাধারণ ওয়ার্ডে ৫২ এবং সংরক্ষিত ওয়ার্ডে ১৬ জন প্রার্থীকে আগামীকাল সোমবার (আজ) বাছাই পর্বে অংশ নিতে হবে।

 

 

Leave a comment