চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদ নির্বাচনে সাধারণ সদস্য পদে তিন প্রার্থীর মনোনয়নপত্র পত্যাহার

 

জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে ৮২ প্রার্থীর মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ আজ

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদ নির্বাচনে সাধারণ সদস্য পদে তিন প্রার্থী মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করেছেন। গতকাল রোববার প্রত্যাহারের শেষদিনে এ মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার করা হয়। আজ সোমবার সকাল ১০টায় জেলা প্রশাসক কার্যালয়ে ৮২ জন প্রার্থীদের মধ্যে প্রতীক বরাদ্দ করা হবে। নির্বাচনে মনোনয়নপত্র প্রত্যাহার  করেন, সাধারণ সদস্য পদে ১ নং ওয়ার্ডে মহসিন রেজা, ৫ নং ওয়ার্ডে শাহীন রেজা ও ৭ নং ওয়ার্ডে আব্দুল হান্নান।এদিকে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা সহকারী কমিশনার (ভূমি) ও নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট পুলক কুমার মন্ডলকে চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদ নির্বাচনে নির্বাচনী আচরণবিধি লংঘনের অভিযোগ বিষয়ে ১২ ডিসেম্বর থেকে ২৯ ডিসেম্বর পর্যন্ত পর্যবেক্ষণ এবং প্রয়োজনীয় আইনগত ব্যবস্থা গ্রহণের জন্য নির্বাচন কমিশন থেকে দায়িত্ব প্রদান করা হয়েছে।

গত ১ ডিসেম্বর প্রার্থীরা মনোনয়নপত্র জমা দেন এবং ৩ ডিসেম্বর মনোনয়নপত্র যাচাই-বাছাই সম্পন্ন হয়। ১৫ ওয়ার্ডের মধ্যে ৩ নং ওয়ার্ড ও ১৫ নং ওয়ার্ডে নির্বাচন স্থগিত করেছে নির্বাচন কমিশন। আগামী ২৮ ডিসেম্বর ভোটগ্রহন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনে উপজেলা পরিষদ, পৌরসভা ও ইউনিয়ন পরিষদের নির্বাচিত জনপ্রতিনিধিরা ভোট দিতে পারবেন। মোট ভোটার সংখ্যা ৫২৮ জন।

চুয়াডাঙ্গা জেলা পরিষদ নির্বাচনে চেয়ারম্যান ১টি পদে চারজন হলেন, আওয়ামী লীগ সমর্থিত প্রার্থী ও সাবেক জেলা পরিষদ প্রশাসক মাহফুজুর রহমান মনজু (মোটরসাইকেল), জেলা জাতীয় পার্টির সভাপতি সোহরাব হোসেন (আনারস),  কেন্দ্রীয় যুবলীগের সভাপতি মন্ডলীর সদস্য শেখ শামসুল আবেদীন খোকন (মোবাইলফোন) এবং সদর উপজেলা পরিষদর সাবেক ভাইস চেয়ারম্যান মামুন অর রশিদ আঙ্গুর (ঘোড়া) প্রতীক পছন্দ করেছেন। কোনো প্রতীকে একাধিক প্রার্থী না থাকায় সকলের চাহিদা মতো প্রতীক পাবে বলে মনে করছেন সংশ্লিষ্টরা।

সংরক্ষিত সদস্য ৫টি পদে ২৩ জন হলেন, ১ নং ওয়ার্ডে নুরুন্নাহার কাকলি (ফুটবল) ও ফরিদা ইয়াসমিন (হরিণ), ২ নং ওয়ার্ডে রাবেয়া খাতুন (দোয়াত কলম), আফরোজা আক্তার (হরিণ), শ্রিপ্রা বিশ্বাস (ফুটবল), রাশেদা খাতুন (হরিণ), হাসিনা খাতুন (হরিণ) ও শাহনাজ পারভিন (হরিণ), ৩ নং ওয়ার্ডে ছাহেরা খাতুন (দোয়াত কলম), কাজল রেখা (হরিণ), রশিদা বেগম (হরিণ), পিনজিরা খাতুন (দোয়াত কলম), মনিরা খাতুন (ফুটবল) ও জান্নাতুল ফেরদৌস (হরিণ), ৪ নং ওয়ার্ডে চম্পা খাতুন (ফুটবল), তানিয়া বেগম ( ফুটবল), রাবেয়া খাতুন (টিউবয়েল) ও রাশিদা মমতাজ  (দোয়াত কলম) এবং ৫ নং ওয়ার্ডে নিলুফার ইয়াসমিন (ফুটবল), ফারহানা আক্তার রিনি (ফুটবল), মিতা খাতুন (ফুটবল), রাবেয়া খাতুন (দোয়াত কলম) ও আনোয়ারা খাতুন (ফুটবল) প্রতীক দাবি করেছেন।

সাধারণ সদস্য ১৩টি পদে ৫৫ জন হলেন, ১ নং ওয়ার্ডে শহিদুল ইসলাম সাহান (হাতি), আশরাফুল হক (হাতি), ও আসাদুজ্জামান কবির (হাতি), ২ নং ওয়ার্ডে আতিয়ার রহমান (হাতি), বাবুল আক্তার (হাতি) ও মাফলুকাতুর রহমান (হাতি), ৪ নং ওয়ার্ডে আশরাফুল আলম (টিউবওয়েল), মাহবুবুর রহমান মোল্লা (হাতি) ও আব্দুল লতিফ সরদার (হাতি), ৫ নং ওয়ার্ডে আবু মুছা (তালা), সমীর কুমার দে (হাতি), জালাল উদ্দিন (তালা), শরিফুল ইসলাম (হাতি) ও খন্দকার রেজউয়ান উজ জামান (তালা), ৬ নং ওয়ার্ডে তপন কুমার বিশ্বাস (টিউবওয়েল ), ওয়াজেদ আলী (হাতি) , এএইচএম মোয়াজ্জেম (তালা), জয়নাল আবেদীন চৌধুরী (পছন্দ নেই) ও মনোয়ার হোসেন (টিউবওয়েল), ৭ নং ওয়ার্ডে খলিলুর রহমান (হাতি), আলমগীর হোসেন, (হাতি) আলতাফ হোসেন (অটোরিকশা), শায়েকুর রহমান লিটন (টিউবওয়েল) ও হাশেম মাহমুদ (পছন্দ নেই), ৮ নং ওয়ার্ডে মহাবুল ইসলাম (তালা), সাজ্জাদুল ইসলাম (হাতি), ফারুক হোসেন (টিউবওয়েল), আসাবুল হক (টিউবওয়েল) ও আব্দুর রাজ্জাক ফারাজী (তালা), ৯ নং ওয়ার্ডে কামাল হোসেন (তালা), আব্দুল মান্নান (টিউবওয়েল), ইমান আলী (হাতি), ফারুক হোসেন (হাতি) ও রাকিবুল হাসান (হাতি), ১০ নং ওয়ার্ডে সিরাজুল ইসলাম (বৈদ্যুতিক পাখা), শহিদুল ইসলাম (পছন্দ নেই) ও সিরাজুল ইসলাম (হাতি), ১১ নং ওয়ার্ডে শফিউল কবীর (টিউবওয়েল), রাশেদুল ইসলাম (তালা), বাবুল হোসেন তরফদার নিশান (টিউবওয়েল), রতন আলী (উটপাখি), শহিদুল ইসলাম (হাতি), আব্দুর রশিদ (টিউবওয়েল), রবিউল হোসেন (টিউবওয়েল) ও রফিকুল আলম রান্টু (হাতি), ১২ নং ওয়ার্ডে হযরত আলী (টিউবওয়েল), জাফর আলী (টিউবওয়েল), জাহাঙ্গীর আলম (টিউবওয়েল) ও নজির আহমেদ (টিউবওয়েল), ১৩ নং ওয়ার্ডে মামুন মোল্লা (তালা), রুস্তম আলী (টিউবওয়েল), আব্দুল হক (টিউবওয়েল) ও মোসাবুল ইসলাম (হাতি), ১৪ নং ওয়ার্ডে শফিকুল আলম (হাতি) ও আশরাফুজ্জামান টিপু (তালা) প্রতীক দাবি করেছেন।

জেলা নির্বাচন কর্মকর্তা ও সহকারী রিটানিং কর্মকর্তা মো. আনিছুর রহমান জানান, এই নির্বাচনে কোনো ভোটার নির্বাচন কেন্দ্রে মোবাইলফোন সাথে নিয়ে প্রবেশ করতে পারবে না। ৩ ও ১৫ নং ওয়ার্ডে নির্বাচন স্থগিত করা হয়েছে। পরবর্তিতে নির্বাচনের জন্য বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করা হবে।