পিকআপসহ চোরাই ৩ গরু উদ্ধার : আটক ৪ 

চুয়াডাঙ্গার সরোজগঞ্জ ফাঁড়ি পুলিশের অভিযান

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গাসহ পার্শ্ববর্তী এলাকায় গরু চোরের উপদ্রব আশঙ্কাজনক হারে বৃদ্ধি পেয়েছে। প্রায় প্রতিরাতেই কোথাও না কোথাও চুরি হচ্ছে। এরই মাঝে গতপরশু সোমবার রাতে সরোজগঞ্জ ফাঁড়ি পুলিশ পিকআপভর্তি ৩টি গরুসহ ৪ জনকে আটকের পর অর্থের বিনিময়ে ছেড়ে দেয়ার পাঁয়তারা শুরু হয়। অবশ্য সেলেফোন বিভ্রাটে বিষয়টি জেলা সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপার ছুফি উল্লাহর কানে পৌছুতেই তিনি আইনের প্রয়োগে বাধ্যকরেন।

জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সরোজগঞ্জ ফাঁড়ি পুলিশ গোপন সংবাদের ভিত্তিতে গত অভিযান চালিয়ে চোরাই ৩টি গরুসহ ৪ জন আটক করে। এ সময় তাদের ব্যবহৃত পিকআপ (চুয়াডাঙ্গা ন ১১-০০৩১)জব্দ করে ক্যাম্পে নেয়। গত পরশু সোমবার দিনগত রাত ৪টার দিকে চুয়াডাঙ্গা ঝিনাইদহ সড়কের আবির হোটেলের সামনে অভিযান চালিয়ে গরুসহ ৪ জনকে আটক করা হলেও দীর্ঘ সময় ক্যাম্পেই রাখা হয়। অপরদিকে আটককৃতদের ছাড়িয়ে নিতে দেনদরবার শুরু হয়। গতকাল বিকেলে একটি ফোন সিনিয়র সহকারী পুলিশ সুপারের নিকট পৌঁছায়। সাথে সাথে তিনি সরোজগঞ্জ ফাঁড়ি ইনচার্জসহ সংশ্লিষ্টদের গরু থানায় নিয়ে আইনানুগ ব্যবস্থা গ্রহণের নির্দেশ দেন।

আমাদের সরোজগঞ্জ প্রতিনিধি জানিয়েছেন, এলাকায় গরু চুরি বেড়ে যাওয়াই রাতে নিমমিত সরোজগঞ্জ এলাকায় বিভিন্ন রাস্তায় রাতের আঁধারে গরু বোঝাই ট্রাক তল্লাশি চালানো হয়। এ সময় সরোজগঞ্জ আবির হোটেলের সামনে ৩টি গরু বোঝাই একটি পিকাপ আটক করে চালানপত্র দেখতে চাইলে তারা দেখাতে না পারায় চালকসহ ৪ জনকে আটক করা হয়। আটককৃতরা হলো দামুড়হুদার দর্শনা শ্যামপুরের জাহাঙ্গীরের ছেলে মামুন হোসেন (২৬), মৃত আবুল হোসেনের ছেলে আরিফুল ইসলাম (৫০), দামুড়হুদা আরামডাঙ্গার আনোয়ার হোসেনের ছেলে কবির হোসেন (৩০), একই গ্রামের পিকাপ চালক রফিকুল ইসলামের ছেলে মামুন হোসেন (৩০)। ৩টি গরু উদ্ধার করা হয়।

এ ব্যাপারের সরোজগঞ্জ ক্যাম্প ইনচার্জ এসআই গাজী কাইয়ূম জানান একটি গরুর মালিক চুয়াডাঙ্গা জেলা সদরের বেগমপুর ইউনিয়নের শৈলমারী গ্রামের মুনছুর আলীর ছেলে রিপনের নিকট বুঝিয়ে দেয়া হয়েছে। ও দুটি গরু কুতুবপুর ইউপি চেয়ারম্যান আলী আহম্মদ হাসানুজ্জামানের প্রতিনিধি মসলেম উদ্দিনের বাড়িতে রাখা হয়েছে। চুয়াডাঙ্গা সদর থানায় মামলাসহ আটককৃদের সোপর্দ করা হয়েছে।