ঝিনাইদহে কিশোরী ধর্ষণের ১০ দিনেও গ্রেফতার হয়নি প্রধান আসামি দোলন

পুলিশের নেই কোনো তৎপরতা দিশেহারা ধর্ষিতার পরিবার

 

ঝিনাইদহ প্রতিনিধি: ঝিনাইদহের সেই কিশোরী ধর্ষণের ১০ দিন পার হওয়ার পরেও গ্রেফতার হয়নি মামলার প্রধান আসামি ধর্ষক দোলন। ধর্ষণের পরে দাম্ভিকতার সাথে এখনো ঘুরে বেড়াচ্ছে দোলন। পুলিশ এব্যাপারে কোনো তৎপরতা দেখাচ্ছে না বলে নিকট অভিযোগ করা হয়।

অভিযোগে ধর্ষিতার পরিবার জানায়, আমরা বর্তমানে অসহায় অবস্থায় সবাই যেন দিশেহারা হয়ে পড়েছি। এদিকে আসামিদের পুলিশ গ্রেফতার করছে না। অন্যদিকে আসামিদের পরিবার বিভিন্নভাবে আমাদেরকে চাপ সৃষ্টি করেই চলেছে। দোলনের পিতা শুকুর গ্রামের প্রভাব সালিদেরকে দিয়ে হুমকি-ধামকিসহ প্রাণে মেরে ফেলার ভয়ও দেখাচ্ছে। প্রায় প্রতিদিনই বাড়িতে এসে বলে মামলা তুলেনিতে না নিলে আমাদের সকলকে গ্রামছাড়া করবে বলে হুমকি দিয়ে যায়। এদিকে ধর্ষিতার পরিবার প্রশাসনের হস্থক্ষেপ কামনা করে বলেন, আমরা গরিব বলে কি সঠিক বিচার পাবো না? উল্লেখ্য, ঝিনাইদহ শহরের খাজুরা নদীপাড়ায় ১৩ বছর বয়সী এক কিশোরী ধর্ষণের ঘটনায় মামলায় এক জনকে গ্রেফতার করেছে পুলিশ। ২৪ নভেম্বর বৃহস্পতিবার সন্ধ্যা ৬টায় ঝিনাইদহ সদর থানায় মামলাটি দায়ের করা হয়। শুক্রবার (২৫ নভেম্বর) সকালে পুলিশের অভিযানে তিন জনের মধ্যে ধর্ষক রাব্বি নামের একজনকে গ্রেফতার করা হয়।

ঝিনাইদহ সদর হাসপাতালের আবাসিক মেডিকেল অফিসার ডা. স্বপন কুমার কুণ্ডু জানান, বুধবার মধ্যরাতে মেয়েটিকে তার পরিবারের সদস্যরা হাসপাতালে নিয়ে আসে। ডাক্তারি পরীক্ষা শেষে পরীক্ষার কাগজপত্র ঢাকায় পাঠানো হয়েছে। ঝিনাইদহের শোভা এনজিও মানবাধিকার কর্মী পাপিয়া সুলতানা ধর্ষিতা কিশোরীর উদ্বৃতি দিয়ে জানান, ২২ নভেম্বর মঙ্গলবার সন্ধ্যা রাতে মেয়েটি পাশের বাড়িতে এক হুজুরের কাছে পানি পাড়া আনতে যাচ্ছিলো। এ সময় খাজুরা গ্রামের বখাটে যুবক শুকুর বিশ্বাসের ছেলে দোলন, মধু মিয়ার ছেলে রাব্বি ও আমিনুল ইসলামের ছেলে মাসুম তাকে জোর করে একটি ইজিবাইকে তুলে নিয়ে তিনজন মিলে পালাক্রমে ধর্ষণ করে। ধর্ষণ করার পর তিন লম্পট হতদরিদ্র পরিবারটিকে হাসপাতালে ভর্তি, থানায় মামলা এমনটি লোক জানাজানি করলে খুন করে ফেলা হবে বলে না করতে হুমকী দেয়।