চুয়াডাঙ্গায় পঞ্চম শ্রেণির ছাত্রীর বিয়ের অভিযোগ : তদন্ত দল মাঠে

 

প্রাথমিক ও ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় ঝরে গেলো ৫৯৭ শিশু

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গায় পঞ্চম শ্রেণি পাসের আগেই শিক্ষা জীবন থেকে ঝরে পড়লো ৫৯৭ জন শিশু শিক্ষার্থী। সদ্য সমাপ্ত প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় ৩৪৩ জন এবং ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় ২৫৪ জন পরীক্ষার্থী এর মধ্যে রয়েছে। পঞ্চম শ্রেণির ছাত্ররা কেউ কেউ শ্রমিকের কাজ করছে। আবার ছাত্রীদের বিয়ে হয়ে গেছে বলে শিক্ষা বিভাগের কর্মকর্তারাদের কাছে অভিযোগ রয়েছে। বিষয়টি জানতে তদন্ত দল গঠন করা হয়েছে।

সংশ্লিষ্ট সূত্রে জানা গেছে, গত ২০ নভেম্বর থেকে চুয়াডাঙ্গায় প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী ও ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষা শুরু হয়। গত ২৭ নভেম্বর পরীক্ষা শেষ হয়। প্রাথমিক শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় ২০ হাজার ৩৩৯ জন ডিআরভুক্ত পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করার কথা ছিলো। কিন্তু চার উপজেলায় ৩৪৩ জন পরীক্ষার্থী অংশগ্রহণ করতে পারেনি। এর মধ্যে ছাত্র ২০১ জন ও ছাত্রী ১৪২ জন রয়েছে। পরীক্ষার্থীর উপস্থিতির হার ৯৮ দশমিক ৩১ ভাগ। অনুপস্থিতির হার ১ দশমিক ৬৯ ভাগ। অপরদিকে ইবতেদায়ী শিক্ষা সমাপনী পরীক্ষায় ডিআরভুক্ত পরীক্ষার্থীর সংখ্যা ছিলো ১ হাজার ৭৬৬ জন। কিন্তু চার উপজেলায় ২৫৪ জন পরীক্ষার্থী শেষ পর্যন্ত অংশগ্রহণ করেনি। এর মধ্যে ছাত্রের সংখ্যা ১৭৭ জন এবং ছাত্রীর সংখ্যা ৭৭ জন। পরীক্ষার্থীর উপস্থিতির হার ৮৫ দশমিক ৬১ ভাগ। অনুপস্থিতির হার ১৪ দশমিক ৩৫ ভাগ। এ ব্যাপারে জানতে চাইলে, চুয়াডাঙ্গার বিশিষ্ট আইনজীবী সাঈদুজ্জামান গনি জানান, সমাজ এবং রাষ্ট্রের শীর্ষ পর্যায়ে দায়িত্ব পালন করছেন তাদের আরো দায়িত্বশীল এবং সদিচ্ছার পরিচয় দিতে হবে। পাশাপশি অভিভাবকদের সচেতন হতে হবে। অভিভাবকদের বুঝতে হবে যে, অর্থনৈতিক সংকট একমাত্র বাঁধা নয়। শিশুদের মেধাকে মূল্যায়ন করে লেখাপড়া চালিয়ে নিতে সমাজের বিশেষ করে বিত্তবানদের সাহায্যর হাত প্রসারিত করতে এগিয়ে আসতে হবে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রাথমিক শিক্ষা কর্মকর্তা রমেন্দ্র নাথ পোদ্দার জানান, অভিভাবকদের কারণে কোনো ছাত্র শ্রমিকের কাজ করছে, ছাত্রীদের বিয়ে হয়ে গেছে, আবার কেউ কেউ মাদরাসা ও প্রাইমারি স্কুলে একসাথে পড়ে। তথ্য গোপন করে উপবৃত্তি পাচ্ছে কি-না তা দেখতে তদন্ত কমিটি গঠন করা হয়েছে। আগামী ১০ ডিসেম্বর তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়ার কথা রয়েছে। এ বিষয়ে থানা শিক্ষা কর্মকর্তাদের শোকজ করা হয়েছে। জেলা প্রশাসক মহোদয় বিষয়টি গুরুত্বের সাথে নিয়েছেন। যে সকল কাজী বিয়ে পড়িয়েছে তাদের খুঁজে বের করে আইনের আওতায় নিয়ে আসার উদ্যোগ নেয়া হচ্ছে। বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে দেখা হচ্ছে।