অস্ত্রের মুখে সার ব্যবসায়ী মামুন অপহরণ : মুক্তিপন দাবি

চুয়াডাঙ্গা দামুড়হুদার নতিপোতায় আবারও মুখোশধারী সশস্ত্র দুর্বৃত্তদের হানা 

 

দামুড়হুদা প্রতিনিধি: দামুড়হুদা নতিপোতার বিশিষ্ট সার ব্যবসায়ী মামুনকে অপহরণ করা হয়েছে। ১৪/১৫ জন মুখোশ পরিহিত সশস্ত্র দুর্বৃত্তরা অস্ত্রের মুখে তাকে অপহরণ করে। সে নতিপোতা গ্রামের মৃত আজাদ মাস্টারের ছেলে। দুর্বৃত্তরা মামুনকে বাড়ির সামনে থেকে অস্ত্রের মুখে অপহরণ করে পার্শ্ববর্তী ঢুড়ির মাঠের দিকে নিয়ে চলে যায়। অপহরণকারীরা পরে তার মোবাইলফোন থেকে ৮ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করেছে বলে জানা গেছে। মামুনকে উদ্ধারে পুলিশ মাঠে নামলেও শেষমেষ উদ্ধার করতে ব্যর্থ হয়েছে। গতকাল মঙ্গলবার রাত ৯টার দিকে উপজেলার নতিপোতা গ্রামে ওই অপহরণের ঘটনা ঘটে।

জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গার দামুড়হুদা উপজেলার নতিপোতা গ্রামের মৃত আজাদ মাস্টারের ছেলে মামুন (৪২) প্রায় ২০/২৫ বছর ধরে নতিপোতা মোড়ে তেল, সার, কীটনাশকসহ ভূষিমালের ব্যবসা করে আসছে। নতিপোতা মোড়ে তার দুটি বড় গোডাউন রয়েছে। মামুন গতকাল মঙ্গলবার সন্ধ্যার পর গ্রামের মসজিদে এশার নামাজ আদায় করেন। নামাজ শেষে তিনি নতিপোতা মোড়ে আসেন এবং দোকানে বসে টেলিভিশনে ফুটবল খেলা দেখেন। খেলা দেখা শেষ হলে রাত ৯টার দিকে তিনি মোটরসাইকেলযোগে নিজ বাড়িতে ফেরার সময় বাড়ির সন্নিকটে গলির মধ্যে পৌছানো মাত্রই ১৪/১৫ জন মুখোশ পরিহিত অজ্ঞাত সন্ত্রাসিরা তার মোটরসাইকেলের গতিরোধ করে এবং অস্ত্রের মুখে অপহরণ করে পার্শ্ববর্তী ঢুড়ির মাঠের দিকে নিয়ে চলে যায়। পরে অপহরণকারীরা মামুনের মোবাইলফোন থেকে তার ব্যবসায়ী পার্টনার ওই গ্রামের আকুল মেম্বারের ছেলে মজিদের মোবাইলেফোনে ৮ লাখ টাকা মুক্তিপণ দাবি করে। দরকষাকষির এক পর্যায়ে অপহরণকারীরা ৪ লাখ টাকায় রাজি হয়। খবর পেয়ে চুয়াডাঙ্গার সহকারী পুলিশ সুপার সুফী উল্লাহ, দামুড়হুদা মডেল থানার ওসি আবু জিহাদ সঙ্গীয় ফোর্স নিয়ে ঘটনাস্থলে ছুটে যান এবং মাঠের মধ্যে নেমে তন্নতন্ন করে খুঁজতে শুরু করেন। কিন্ত শেষমেষ পুলিশ তাকে উদ্ধার করতে পারেনি। এদিকে অপহরণকারীরা মুক্তিপণের টাকা কে নিয়ে যাবে এবং কোথায় নিয়ে যেতে হবে তা নির্দিষ্ট কোনো স্থানের নাম না বলায় এ রিপোর্ট লেখা পর্যন্ত অর্থাত রাত ২টা পর্যন্ত তাকে উদ্ধার করা সম্ভব হয়নি। দামুড়হুদা মডের থানার ওসি আবু জিহাদ জানান, চুয়াডাঙ্গা ও মেহেরপুর জেলা পুলিশের সহযোগিতায় আমরা তাকে উদ্ধারের সর্বাত্তক প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছি।