মিয়ানমারে রোহিঙ্গাদের ওপর নির্যাতনের প্রতিবাদে গাংনীতে মানবন্ধন

 

বিশ্বের মুসলমানদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান

গাংনী প্রতিনিধি: মিয়ানামারের সংখ্যালঘু মুসলমানদের ওপর হামলা-নির্যাতন ও বাড়িঘরে অগ্নিসংযোগের ঘটনায় বিশ^ বিবেক আজ প্রশ্নবিদ্ধ বলে মন্তব্য করেছেন মেহেরপুর গাংনীর আলেম-ওলামাসহ বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ। গতকাল শুক্রবার জুম্মার নামাজের পর গাংনী বাস স্ট্রান্ডে নির্যাতনের প্রতিবাদী মানববন্ধনে এসব কথা বলেন তারা।

গাংনী বাজার কমিটির সভাপতি হাফিজুর রহমান মানিকের সভাপতিত্বে অনুষ্ঠিত মানববন্ধনে শহরের কয়েকটি মসজিদের মুসল্লি ও বিভিন্ন শ্রেণি পেশার মানুষ অংশগ্রহণ করেন।

বক্তারা বলেন, শান্তিতে নোবেল পুরস্কার পেয়েছেন মিয়ানমারের প্রধানমন্ত্রী অন সাং সু চি। অথচ তার দেশেই জেলেছেন অশান্তির আগুন। সরকারি বাহিনী লেলিয়ে দিয়ে ভিটেছাড়া করছে সংখ্যালঘু রোহিঙ্গা মুসলমানদের। সেখানে যে নারকীয় হত্যাযজ্ঞ, ধর্ষণ ও বাড়িঘরে হামলার ঘটনা ঘটছে তাতে বিশ^ বিবেক কথা বলছে না। এ ঘটনার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জ্ঞাপন করেন বক্তারা।

ওআইসি, জাতিসংঘসহ বিশ^ মোড়লদের সমালোচনা করেন বক্তারা আরও বলেন, বিশ্বের কোথায় হিন্দু, বৌদ্ধ, খ্রিষ্ট্রানসহ অন্য ধর্মের মানুষের ওপর হামলা হলে বিশ^ মোড়লরা হৈ-চৈ করেন। কিন্তু দিনের পর দিন মিয়ানমারে নারকীয় হত্যাযজ্ঞ চললেও তার তেমন কোনো প্রতিবাদ কেউ করছে না। মিয়ানমারের ইস্যূতে বাংলাদেশ সরকারের উদ্যোগ সাধুবাদ জানিয়ে আরও কঠোর ভূমিকা পালনের অনুরোধ করেন বক্তারা।

অনুষ্ঠানে বক্তব্য রাখেন, বিশিষ্ট ব্যবসায়ী হাজি আলফাজ উদ্দীন, হাজি মহাসিন আলী, গাংনী কেন্দ্রীয় ঈদগাহ ঈমাম মাও. সাইফুল্লাহ, উপজেলা যুবলীগ সভাপতি মোশাররফ হোসেন ও সাংবাদিক মাজেদুল হক মানিক।

গাংনী দারুস সালাম জামে মসজিদের ঈমাম হাফেজ রুহুল আমিন মোনাজাতে মিয়ানমারের নির্যাতিতদের ওপর আল্লাহর রহমত ও নির্যাতনকারীদের ওপর গজব বর্ষণের ফরিয়াদ করে দোয়া মোনাজাত করেন। মজলুমদের রক্ষায় সারাবিশ্বের মুসলমানদের ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।