আজ চুয়াডাঙ্গায় শুরু হচ্ছে তিন দিনের ইজতেমা : দায়িত্বে অবহেলায় দুই পুলিশ কর্মকর্তা প্রত্যাহার

 

আলম আশরাফ/সাইফ জাহান: আজ বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হয়ে শনিবার পর্যন্ত চুয়াডাঙ্গায় চলবে তিন দিনের জেলা ভিত্তিক ইজতেমা। পৌর এলাকার সরকারি মহিলা কলেজ সংলগ্ন মাঠে প্রথমবারের মতো এই ইজতেমা অনুষ্ঠিত হচ্ছে। আগামী শনিবার বেলা ১১টায় আখেরি মোনাজাতের মধ্যদিয়ে ইজতেমা শেষ হবে। এদিকে ইজতেমার মাঠে দায়িত্ব পালনে অবহেলায় দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রত্যহার করা হয়েছে।

জেলা শহরের ৫০ বিঘা জমির ওপর আয়োজিত আঞ্চলিক ইজতেমায় বাংলাদেশ, ভারত, আরব-আমীরাত ও ইন্দোনেশিয়াসহ বিভিন্ন দেশের লক্ষাধিক মুসল্লি অংশগ্রহণ করবেন। গতকাল বুধবার বেলা বাড়ার সাথে সাথে বিভিন্ন এলাকা থেকে মুসল্লিরা আসতে শুরু করেন। রাতে শেষ খবর পাওয়া পর্যন্ত ৭০ ভাগ মুসল্লি মাঠে অবস্থান করছিলেন। আজ বৃহস্প্রতিবার সকাল ১০টা নাগাদ ইজতেমার মাঠ কানায় কানায় ভরে যাবে।

এতে এবার নারীরা অংশ নিতে পারছেন না। টঙ্গীর ইজতেমায় জায়গা সংকুলান না হওয়ায় চুয়াডাঙ্গাসহ সারাদেশের ৩২ জেলায় পর্যায়ক্রমে এ ধরনের ইজতেমার আয়োজন করা হচ্ছে। এই ইজতেমায় বয়ান ও আখেরি মোনাজাত পরিচালনা করবেন কাকরাইল মসজিদের বড় হুজুর মাও. জোবায়ের আহমেদ ও মাও. ওমর ফারুক। গতকাল বুধবার দুপুরে ইজতেমার মাঠ পরিদর্শন করেন চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক সায়মা ইউনুস, ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার বেলায়েত হোসেন, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (শিক্ষা ও আসিটি) আব্দুর রাজ্জাক, সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসার কেএম মামুন উজ্জামান, পৌর মেয়র ওবায়দুর রহমান চৌধুরী জিপু প্রমুখ।

চুয়াডাঙ্গার মেয়র ওবাইদুর রহমান চৌধুরী জিপু বলেন, পৌরসভার পক্ষ থেকে সার্বক্ষণিক বিশুদ্ধ খাবার পানি ও বিদ্যুত সরবরাহসহ মাঠ প্রস্তুত ও প্রয়োজনীয় সকল প্রকারের সুব্যবস্থা নেয়া হয়েছে।

চুয়াডাঙ্গার ভারপ্রাপ্ত পুলিশ সুপার বেলায়েত হোসেন জানান, ইজতেমাকে ঘিরে ৪ স্তরের নিরাপত্তা ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। পুরো মাঠকে সিসি টিভি ক্যামেরার আওতায় আনা হয়েছে। আইন-শৃঙ্খলা রক্ষার জন্য ৬ শতাধিক পুলিশ সদস্য থাকবে। বুধবার দুপুর থেকেই সব কটি প্রবেশমুখে তল্লাশিচৌকি বসানো হয়েছে।

তিনি আরও জানান, ইজতেমার মাঠে দায়িত্বে অবহেলার দায়ে দুই পুলিশ কর্মকর্তাকে প্রত্যাহার করে নেয়া হয়েছে। গতকাল বুধবার রাত ১০টার দিকে তাদেরকে পুলিশ লাইনে ক্লোজ করে নেয়া হয়। প্রত্যাহারকৃত পুলিশ কর্মকর্তাদ্বয় হলেন এসআই মোফাজ্জেল হোসেন ও এএসআই নজরুল ইসলাম। বৃহস্পতিবার থেকে শুরু হতে যাওয়া ইজতেমায় দায়িত্বে ছিলেন তারা। রাতে গিয়ে তাদের দায়িত্ব স্থলে পাওয়া যায় না। পরে দায়িত্বে অবহেলার কারণে রাতেই তাদেরকে পুলিশ লাইনে প্রত্যাহার করে নেয়া হয়।