চুয়াডাঙ্গার কোটালী গ্রামে পরস্ত্রীর ঘরে ঢুকে ফরজন আলী গ্যাড়াকলে: অভিযুক্তকে মুক্ত করতে বাড়িতে হামলা : জখম ২

 

স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গার কোটালী গ্রামের দর্শনাপাড়ার পরস্ত্রীর ঘরে ঢুকে গ্যাড়াকলে পড়েছে আমিন ফরজন আলী। বেরশিক জনতা ফরজনকে ধরে দিয়েছে উত্তম-মধ্যম। অভিযুক্ত ফরজনকে মুক্ত করতে বাড়িতে হামলা চালিয়েছে একজনকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করেছে তার লোকজন। ফরজনের অবস্থা আশঙ্কাজনক হওয়ায় তাকে উর্দ্ধার করে নেয়া হয়েছে হাসপাতালে।

চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের কোটালী দর্শনা পাড়ার খোদাবক্স মণ্ডল অভিযোগ করে বলেন, একই পাড়ার বিলাত আলীর ছেলে জমি মাপজোকের আমিন দু সন্তানের জনক ফরজন আলী ওরফে আইতুল আমার ছেলে লালনের (লালন ঢাকাতে থাকে) স্ত্রী মমতাজের সাথে পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে তোলে। মাসখানেক আগে এনিয়ে গণ্ডগোলও হয়। গতকাল শনিবার রাত সাড়ে ৮টার দিকে বাড়িতে কেউ না থাকার সুযোগে ফরজন আমার পুত্রবধূর ঘোরে ঢোকে মাটিতে বিছানা পেতে অনৈতিক কাজে লিপ্ত হয়। এ সময় প্রতিবেশীরা ফরজনকে ঘরের মধ্যে হাতেনাতে ধরে উত্তম-মধ্যম দেয়। খবর পেয়ে ফরজনের পক্ষের আত্তাব, ছেলে ছামাদ, রফিকুল ইসলামের ছেলে ছালাম ও ফেরদৌসের ছেলে মিরাজ লাঠিসোঁটা নিয়ে বাড়িতে হামলা চালিয়ে তাকে উর্দ্ধার করে নিয়ে যায়। এ ঘটনায় ফরজনের লোকজন নুর মোহাম্মদ নামের একজনকে পিটিয়ে রক্তাক্ত জখম করে। তাকেও উর্দ্ধার করে স্থানীয় ভাবে চিকিৎসা দেয়া হয়।

এদিকে গ্রামবাসী অীভযোগ করে বলেন, ফরজন বেশকিছুদিন ধরে মমতাজের সাথে পরকীয়া সম্পর্ক গড়ে তোলে। বিষয়টি গোপনে তাকে শতর্ক করা হলেও সে সংশোধন হয় না। এ নিয়ে গ্রামে কয়েকবার গোণ্ডগোলও হয়। ফরজনরা প্রভাবশালী হওয়ায় মমতাজের শশুর পক্ষের লোকজন বিচার চাইতে সাহস পায়নি। ফলে ফরজনের দৃষ্টান্তমূলোক শাস্তির দাবিতে ফুসে উঠেছে গ্রামবাসী। পাশাপাশি এ নিয়ে বইছে আলোচনা সমালোচনার ঝড়।

এ ব্যাপারে ফরজনের পক্ষ থেকে সব অভিযোগ অস্বীকার করে বলা হয়েছে বিদ্যুত সংক্রান্ত বিষেয়ে পূর্বশত্রুতা ছিলো তারি জেরে এ ঘটনা ঘটেছে। চুয়াডাঙ্গা সদর হাসপাতালে চিকিৎসাধীন ফরজন জানায়, সন্ধ্যা সাড়ে ৭টার দিকে গ্রামেরই কায়েশ মেম্বারের মুদি দোকানের সামনের থেকে নুরশেদ আমাকে ডেকে নিয়ে যায় পার্স্ববর্তী গোস্টবিহার মাঠে। পরে নুরশেদ, নুরু, রাজ্জাক, তোরাপ ও আছের মিলে আমাকে মারধর করে। আহত অবস্থায় স্থানীয়রা আমাকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নেয়। আমাকে মিথ্যা অপবাদ দিয়ে মারধর করা হয়েছে।