৫ সদস্যের পদত্যাগ : আজকের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ
স্টাফ রিপোর্টার: চুয়াডাঙ্গার বেগমপুর পুরাতন বাজার পাড়া মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেডের সভাপতি সাধারণ সম্পাদকের বিরুদ্ধে সংবাদ প্রকাশিত হওয়ায় দু সদস্য বিশিষ্ট তদন্ত কমিটি গঠন করেছে কর্তৃপক্ষ। আজ বৃহস্পতিবার তদন্ত কমিটি সমিতির সভাপতি সম্পাদককে সমিতির সকল কাগজপত্র নিয়ে যথাস্থানে হাজির থাকার নির্দেশ দিয়েছে। এদিকে সমিতির নামে পারিবারিক প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলায় সমিতির ৫ সদস্য পদত্যাগ করাসহ বিভিন্ন দফতরে অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে জানা গেছে। নোটিশ পাওয়ার পর থেকে সমিতির সভাপতি ইব্রাহিম মণ্ডল সম্পাদক সহদর ভাই মিরাজুল শুরু করে দিয়েছেন দৌড়ঝাপ।
সূত্রে জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলার বেগমপুর ইউনিয়নের বেগমপুর হাটখোলাপাড়ায় বেগমপুর পুরাতন বাজার পাড়া মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেড নামের একটি ভুইফোঁড় সমিতি গড়ে তোলেন ইসমাইল মন্ডলের ছেলে ইব্রাহীম মণ্ডল। যেখানে তিনি নিজে সভাপতি অপর ভাই মিরাজুল ইসলাম সাধারণ সম্পাদক, ছোট ভাই ওসমান আলী ও বড় ছেলে আ. কুদ্দুসকে নির্বাহী সদস্য এবং ভাগনে আশাবুলকে সহসভাপতি করে একটি পারিবারিক সমিতি গড়ে তোলেন। সমিতির বিভিন্ন অনিয়ম, দুর্নীতি স্বেচ্ছাচারিতা এ নিয়ে গত ৮ নভেম্বর দৈনিক মাথাভাঙ্গা পত্রিকায় একটি প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়। তারি আলোকে জেলা সমবায় অফিসার মনজুর কাদের (ভারপ্রাপ্ত) সমবায় পরিদর্শক নাজির হোসেন ও হারুন অর রশিদের সমন্বয়ে ২ সদস্যের তদন্ত কমিটি গঠন করেন এবং আজ বৃহস্পতিবারের মধ্যে প্রতিবেদন দাখিল করার নির্দেশ দেন। কমিটি নোটিশ দিয়ে হালনাগাদ সকল কাগজপত্র নিয়ে সমিতির সভাপতি ও সাধারণ সম্পাদকসহ সকল সদস্যকে বেলা ১১টায় বেগমপুর ইউনিয়ন পরিষদে হাজির থাকার নির্দেশ দিয়েছে। একটি সূত্র বলেছে, নোটিশ পাবার পর থেকে সমিতির কাগজপত্র ঠিক করতে দৌড়ঝাপ শুরু করে দিয়েছে সমিতির সভাপতি। এদিকে সমিতির সভাপতির দুর্নীতি এবং স্বেচ্ছাচারিতার কারণে সমিতির ৫ সদস্য পদত্যাগ করাসহ বিভিন্ন দফতরে অভিযোগ দায়ের করেছেন বলে জানা গেছে। অভিযোগকারীরা জানান, সমিতির সভাপতি ইব্রাহিম বেগমপুর মৎসজীবী সমবায় সমিতির নাম পরিবর্তন করে বেগমপুর পুরাতন বাজারপাড়া মৎস্যজীবী সমবায় সমিতি লিমিটেড নামের একটি ভুইফোঁড় সমিতি গড়ে তুলেছেন। কারণ এ সমিতির সাবেক সভাপতি মোতালেব মেম্বার বিলের রাজস্ব পরিষদ না করায় তার বিরুদ্ধে সার্টিফিকেট মামলা বিচারাধীন রয়েছে। যা গোপন করা হয়েছে। কারণ নীতিমালাতে সুস্পষ্ট উল্লেখ আছে সমিতির কোনো সদস্যর বিরুদ্ধে সার্টিফিকেট মামলা থাকলে সেই সমিতি জেলা প্রশাসকের কার্যালয় থেকে কোনো বিল বাওড় ট্রেন্ডার নেয়ার জন্য যোগ্য বলে বিবেচিত হবে না। সব বিষয়গুলো আচ করতে পেরে সমিতির সভাপতি অপকৌশল নিয়ে পারিবারিক সমিতি গড়ে তোলে। তদন্ত কমিটি সঠিকভাবে তদন্ত করলে এ সমিতির থলের বিড়াল বেরিয়ে আসবে বলে এলাকাবাসী মনে করছেন। তাই ভুক্তোবোগীরা সমিতির বিরুদ্ধে সঠিক তদন্তের দাবি তুলেছে। এ বিষয়ে ইব্রাহীমের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি ফোন রিসিভ করেননি।