আসন্ন নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার লক্ষ্যে কাজ করুন

 

স্টাফ রিপোর্টার: প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ২০১৯ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচনে বিজয়ী হওয়ার লক্ষ্যে কাজ করার জন্য কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগ নেতৃবৃন্দের প্রতি আহ্বান জানিয়ে বলেছেন, দেশের উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আপনাদের কাজ করে যেতে হবে। সবাই মিলে দেশের উন্নয়ন করতে হবে। ২০০৮ সাল ও ২০১৪ সালের নির্বাচনে বাংলাদেশর মানুষ আমাদের ভোট দিয়ে নির্বাচিত করেছে। ২০১৯ সালের নির্বাচনেও বাংলাদেশের মানুষ উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আওয়ামী লীগকে ভোট দিয়ে নির্বাচিত করবে বলে আমি প্রত্যাশা করি। গতকাল মঙ্গলবার বিকেলে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় পৈতৃক জমিতে নবনির্মিত পারিবারিক ভবনে কার্যনির্বাহী সংসদের যৌথসভায় সভাপতির বক্তব্যে আওয়ামী লীগ সভানেত্রী এসব কথা বলেন।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ২০২১ সালের মধ্যে আমরা বাংলাদেশকে মধ্যম আয়ের দেশে পরিণত করবো। ২০৪১ সালে বাংলাদেশ উন্নত সমৃদ্ধ দেশ হবে। আওয়ামী লীগ ২০২০ সালে জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশত বার্ষিকী এবং ২০২১ সালে স্বাধীনতার সুবর্ণ জয়ন্তী উত্সব উত্যাপন করবে। বিএনপি, জামায়াত বা সহিংসতার পাঁয়তারাকারী যে কোনো সংগঠনকে রাজনৈতিকভাবে মোকাবিলায় সাংগঠনিক তত্পরতা জোরদার করার কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ঐতিহ্যবাহী এই দলটির ইতিহাসে এই প্রথম আওয়ামী লীগের কার্যনির্বাহী সংসদ ও উপদেষ্টামণ্ডলীর যৌথসভা অনুষ্ঠিত হলো টুঙ্গিপাড়ায়। ঐতিহাসিক এ সভায় দলের ঐতিহ্য, গৌরব ও অর্জনের ইতিহাস টেনে আগামীর পথচলার দিকনির্দেশনা দেন প্রধানমন্ত্রী।

আওয়ামী লীগের ২০তম কাউন্সিলে নির্বাচিত হয়ে টানা আটবারের সভাপতি হিসেবে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বঙ্গবন্ধুর প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে গোপালগঞ্জের টুঙ্গিপাড়ায় জাতির জনকের সমাধিতে আসেন গতকাল দুপুরে। সঙ্গে যোগ দেন কার্যনির্বাহী সংসদ ও উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্যরা। ছিলেন শেখ রেহানাসহ আত্মীয়-স্বজনরাও। দুপুর ১২টায় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা দলীয় সভানেত্রী হিসেবে টুঙ্গিপাড়ায় জাতির পিতা বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের সমাধিসৌধের বেদীতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করেন। শ্রদ্ধা নিবেদনের পর প্রধানমন্ত্রী বেদীর পাশে কিছুক্ষণ নীরবে দাঁড়িয়ে থাকেন। পরে তিনি পবিত্র ফাতেহা পাঠ ও বঙ্গবন্ধুর রুহের মাগফিরাত কামনায় মোনাজাত করেন। পরে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কেন্দ্রীয় আওয়ামী লীগের নব-নির্বাচিত উপদেষ্টামণ্ডলী ও কার্যনির্বাহী পরিষদের সদস্যদের সাথে নিয়ে সমাধিসৌধের বেদীতে ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা জানান।

এ সময় দলের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, প্রেসিডিয়াম সদস্য মতিয়া চৌধুরী, শেখ ফজলুল করিম সেলিম, মোহাম্মদ নাসিম, কাজী জাফরউল্লাহ, লে. কর্নেল (অব.) ফারুক খান, উপদেষ্টামণ্ডলীর সদস্য তোফায়েল আহম্মেদ, সুরঞ্জিত সেনগুপ্ত, আমির হোসেন আমু, কাজী আকরাম উদ্দিন আহমেদ, যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক মাহাবুবুল আলম হানিফ, জাহাঙ্গীর কবির নানক, দীপু মনি, আব্দুর রহমান, মন্ত্রী পরিষদের সদস্য, সংসদ সদস্য, পদস্থ সামরিক ও বেসামরিক কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। বাদ জোহর সমাধিসৌধ কমপ্লেক্স মসজিদে মিলাদ ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত হয়। প্রধানমন্ত্রী বিকেল সাড়ে ৪টায় টুঙ্গিপাড়া থেকে হেলিকপ্টারে ঢাকার উদ্দেশে রওনা দেন।