কেড়ে নেয়া মোটরসাইকেলে আগুন : মামলা এবং

 

স্টাফ রিপোর্টার: পরশু সন্ধ্যার পর পাথর মেরে ট্যাঙ্ক ফুটো করার পর আগুন দিয়ে মোটরসাইকেল পোড়ানোর বিষয়ে মামলা হয়েছে। সাতগাড়ির ফজুর ছেলে উজ্জ্বল বাদী হয়ে ঘটনার রাতেই দায়ের করা মামলায় মোটরসাইকেলের রেজিস্ট্রেশন নম্বর দেয়া হয়নি। প্রত্যক্ষদর্শীদের বরাত দিয়ে পত্রিকায় যে নম্বর প্রকাশিত হয়েছে তা ওই মোটরসাইকেলের নয়? তাহলে ওই নম্বরটি কোন মোটরসাইকেলের?

চুয়াডাঙ্গা-হ ১১-১৮৩৬ নম্বরটি গুলশানপাড়ার আব্দুল হাইর ছেলে গোলাম হোসেনের নামে সিডি-৮০ মোটরসাইকেলের রেজিস্ট্রেশন বলে জানা গেছে। তাছাড়া ঘটনার দিন সকাল ১১টার দিকে হাসপাতাল এলাকা থেকে মোটরসাইকেলটি কেড়ে নেয়ার পর রাত সোয়া ৮টার দিকে রেলবাজার শাহাবুদ্দিন মার্কেটের সামনে আগুন ধরিয়ে পুড়িয়ে দেয়া হয় বলে জানা গেলেও মামলার এজাহারে অবশ্য বলা হয়েছে, সন্ধ্যায় কেড়ে নিয়ে হুন্ডা শাহিন হান্ডেড টয়েন্টি ফাইভ মোটরসাইকেলে আগুন ধরিয়ে পুড়িয়ে দেয়া হয়। মামলায় যাদেরকে আসামি করা হয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছে- সাতগাড়ির বিশের ছেলে খালিদ, হকপাড়ার নাজিমের ছেলে জীম, আলীহীম পিতা অজ্ঞাত, সাতগাড়ির সাঈদ মিস্ত্রির ছেলে আসাদ, একই গ্রামের আনিছের ছেলে রোকন, আলতাফের ছেলে শিকদার, ঝিনাইদহ বাসস্ট্যান্ডপাড়ার রাফি, জিনতলাপাড়ার আবু তালেব মাস্টারের ছেলে হিমেল, আরামপাড়ার মোবারক ওরফে মোবার ছেলে কালাম ও নূরনগর-কলোনিরপাড়ার নজরুলের ছেলে মন্টাসহ আরও ৪-৫ জন।

এদিকে মোটরসাইকেলে অগ্নিসংযোগ মামলায় রোকন, রাফি, মন্টাকে পুলিশ ধরেছে গ্রেফতার করে আদালতে সোপর্দ করা হয়েছে। অপরদিকে পোড়ানো মোটরসাইকেলের সাথে অন্য মোটরসাইকেলের রেজিস্ট্রেশন নম্বর এবং বর্ণনা ভিন্ন হওয়ার বিষয়টি যেমন বিরূপ সমালোচনার কারণ হয়ে দাঁড়িযেছে, তেমনই প্রকৃত ঘটনা উন্মোচনে পুলিশের সুষ্ঠু তদন্ত কামনা করেছেন অনেকে।