স্টাফ রিপোর্টার: এবার বাল্যবিয়ে পড়ানোর অভিযোগ উঠেছে চুয়াডাঙ্গা জেলা কাজি সমিতির সাধারণ সম্পাদক কাজি শামসুল হকে বিরুদ্ধে। তার বিরুদ্ধে এ অভিযোগ তুলে বিচারের দাবি তুলেছেন চুয়াডাঙ্গা জিনতলা মল্লিকপাড়ার আবু সাঈদের স্ত্রী বিউটি খাতুন। গতকাল রোববার বেলা ১টার দিকে বাল্য বিবাহের শিকার চৈতীর মা ও আবু সাঈদের স্ত্রী বিউটি খাতুন চুয়াডাঙ্গা সদর উপজেলা নির্বাহী অফিসারের নিকট লিখিত আকারে এ অভিযোগ দায়ের করেন। এর অনুলিপি চুয়াডাঙ্গা জেলা প্রশাসক, পুলিশ সুপার, সদর থানার অফিসার ইনচার্জ ও সম্পাদক দৈনিক মাথাভাঙ্গার বরাবর প্রেরণ করেন তারা। অভিযোগে বলা হয়, ১০-১২দিন আগে তার নাবালিকা মেয়ে চৈতী হঠাত নিখোঁজ হয়। খোঁজাখুঁজির পর জানা যায় তাকে ফুসলিয়ে প্রতিবেশী বর্তমান শেখপাড়ার বাসিন্দা নওশাদ আলী তার ছেলে লিখনের সাথে বিয়ে দেন। আর এ বাল্যবিয়ে পড়ান কাজি শামসুল হক। এ ব্যাপারে কাজি শামসুল হকের কাছে জানতে চাইলে তিনি এ বিয়ে পড়ানোর বিষয়টি অস্বীকার করেন।
অন্যদিকে একটি সূত্র জানায়, গত এক সপ্তাহের চুয়াডাঙ্গার মোমিনপুর ইউনিয়নের সরিষাডাঙ্গা গ্রামের রহেদ আলীর মেয়ে ৫ম শ্রেণির ছাত্রী শ্যামলী খাতুন, চুয়াডাঙ্গা পৌরসভার ভেমরুল্লা গ্রামের আলাউদ্দিনের মেয়ে ৮ম শ্রেণির ছাত্রী আসমা খাতুন, একই গ্রামের নাজিম উদ্দিনের মেয়ে ৫ম শ্রেণির ছাত্রী সুমি খাতুন বাল্যবিয়ের শিকার হয়েছে। সচেতন মহল জানায়, শুধু জরিমানা করে বাল্যবিয়ে বন্ধ হবে না। অভিযুক্ত কাজি, মেয়ের পিতা-মাতা, বিয়ের সাথে জড়িত ব্যক্তিদের বিরুদ্ধে শাস্তিমূলক ব্যবস্থা গ্রহণের দাবি জানান তারা।