আলমডাঙ্গায় পুলিশের কাছ থেকে হ্যান্ডকাপসহ পালিয়ে যাওয়া মাদকব্যাসায়ী ৩ ঘণ্টার মাথায় আটক

 

আলমডাঙ্গা ব্যুরো: আলমডাঙ্গায় পুলিশের কাছ থেকে হ্যান্ডকাপসহ পালিয়ে যাওয়া আসামিকে ৩ ঘণ্টার মাথা আটক করা হয়েছে। গতকাল বুধবার দুপুরে চুয়াডাঙ্গা জেলা গোয়েন্দা পুলশের এক কনস্টেবল আলমডাঙ্গা স্টেশন এলাকা থেকে মাদকদ্রব্যসহ রেজাউল নামের এক ব্যক্তিকে আটক করেন। ওই কনস্টেবলকে লাঞ্চিত করে হ্যান্ডকাপসহ রেজাউল দৌঁড়াতে থাকে। স্থানীরা তাকে আটকের চেষ্টা করলে সে পকেট থেকে টাকা বের করে ছিটিয়ে দিলে সকলে টাকা কুড়ানোয় ব্যস্ত হয়ে পড়ে। সুযোগে পালিয়ে যায় রেজাউল। পরে বিকেলে ৪টার দিকে জেলা গোয়েন্দা পুলিশ অভিযান চালিয়ে ওয়াবদা কলোনি এলাকা থেকে তাকে আটক করে।

জানা গেছে, আলমডাঙ্গার রেলস্টেশনের নিকটবর্তি রেলপথের ঢালে বসবাসকারী মৃত আব্দুল আজিজের ছেলে রেজাউল হক ওরফে রেজাউল কালা (৪৫) এলাকার চিহ্নিত মাদকব্যবসায়ী। সে বেশ কিছুদিন ধরে রেলস্টেশনের আশপাশে প্রকাশ্যে মাদকব্যবসা করে আসছিলো। গতকাল জেলা গোয়েন্দা পুলিশের কনস্টেবল আলী আশরাফ সাদা পোষাকে এক সোর্সসহ সেখানে উপস্থিত হন। তাদের উপস্থিতে রেজাউল হক ইয়াবা ও হেরোইনের পুরিয়া বিক্রি করছিলো। এরই এক পর্যায়ে বেলা ১টার দিকে মাদকদ্রব্য বিক্রিকালে পুলিশ হাতে-নাতে রেজাউলকে আটক করে হাতে হ্যান্ডকাপ পরিয়ে দেন। সে সময় উপস্থিত বেশ কয়েকজন হেরোইনখোর পুলিশ কনস্টেবল ও সোর্সের ওপর ঝাপিয়ে পড়ে। তারা সোর্সের মাথায় আঘাত করে রক্তাক্ত জখম করে। পুলিশ কনস্টেবলকে ধাক্কাধাক্কি করে। সেই সুযোগে মাদকব্যবসায়ী রেজাউল পালিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে। উপস্থিত কয়েকজন সে সময় তাকে তাড়িয়ে ধরতে গেলে রেজাউল অভিনব কৌশলের আশ্রয় নেয়। সে পকেট থেকে খুচরা কয়েক হাজার টাকা বের করে রাস্তায় ছড়াতে ছড়াতে দৌঁড়তে থাকে। তাকে ধরতে চেষ্টাকারীরা তখন রীতিমতো টাকা কুড়োতে ব্যতিব্যস্ত হয়ে পড়ে। এই সুযোগে মাদকব্যবসায়ী রেজাউল হাতে হ্যান্ডকাপ নিয়ে পালিয়ে যায়। পরে দীর্ঘ ৩ ঘণ্টার অভিযান শেষে গোয়েন্দা পুলিশের একটি টিম তাকে আটক করতে সক্ষম হয়। বিকেল ৪টার দিকে শহরের ওয়াবদা কলোনি থেকে হ্যান্ডকাপসহ তাকে আটক করে পুলিশ। সে সময় তার নিকট থেকে ৮টি ইয়াবা ট্যাবলেট ও ৮ পুরিয়া হেরোইন উদ্ধার করা হয়। পরে তার বিরুদ্ধে মাদকদ্রব্য আইনের সংশ্লিষ্ট ধারায় মামলা দায়ের করা হয়েছে। আজ বৃহস্পতিবার তাকে সংশ্লিষ্ট মামলায় আদালতে সোপর্দ করা হবে।

তবে রক্তাক্ত জখম পুলিশের সোর্সের কোনো পরিচয় পাওয়া যায়নি। বিষয়টি গতকাল বুধবার আলমডাঙ্গায় টক অফ দ্য শহরে পরিণত হয়।