কথা কাটাকাটির জের : ইবিতে বাসচালক ও তার সহযোগীকে পিটিয়ে আহত করলেন ছাত্ররা

 

ইবি প্রতিনিধি: কুষ্টিয়ার ইসলামী বিশ্ববিদ্যালয়ের (ইবি) এক বাসচালকের সাথে কাটাকাটির জের ধরে এক ছাত্র ও তার সহযোগীরা ওই চালক ও তার সহযোগীকে মেরে আহত করেছেন বলে জানা গেছে। আহত ওই চালককে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করা হয়েছে।

প্রত্যক্ষদর্শীরা জানান, গতকাল রোববার দুপুর দেড়টার দিকে বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্রী বহনকারী বাসে কামরুজ্জামান তরঙ্গ নামে বিশ্ববিদ্যালয়ের হিসাববিজ্ঞান বিভাগের স্নাতকোত্তর বর্ষের এক ছাত্র কুষ্টিয়া থেকে ক্যাম্পাসে যাচ্ছিলেন। প্রধান ফটকে আসার পর বাসচালক মিলন ও হেলপার রনি ফটকের বাইরে কামরুজ্জামানকে নামতে বলেন। কিন্তু কামরুজ্জামান বাস থেকে না নেমে ক্যাম্পাসের ভেতর নামবে এমনটি বললে এ নিয়ে চালক ও হেলপারের সাথে তার কথা কাটাকাটি হয়। এক পর্যায়ে সে প্রধান ফটকের বাইরেই নেমে পড়ে। পরে দুপুর দুটার দিকে বিশ্ববিদ্যালয় থেকে কুষ্টিয়া-ঝিনাইদহে শিক্ষার্থী ও শিক্ষক-কর্মকর্তা বহনকারী বাসগুলো ছাড়ার পূর্বে কামরুজ্জামান তরঙ্গ, আরবি ভাষা ও সাহিত্য বিভাগের চতুর্থ বর্ষের ছাত্র যোবায়ের হোসেন, বঙ্গবন্ধু হলের এক কর্মকর্তার শ্যালক মোহাইমিনুল লামুনসহ চার পাঁচজন সেই বাসচালক মিলন ও চালকের সহকারী রনিকে মারধর করেন। মারধরের এক পর্যায়ে মিলন গুরুতর আহত হলে তাকে বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রে প্রাথমিক চিকিৎসা দেয়া হয়। বিশ্ববিদ্যালয়ের চিকিৎসাকেন্দ্রের কর্তব্যরত চিকিৎসক জাকিয়া সুলতানা বেলেন, ড্রাইভারের নাম-মুখ দিয়ে রক্তক্ষরণ হচ্ছিলো দেখে তাকে প্রাথমিক চিকিৎসা দিয়ে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে প্রেরণ করি। পরে তাকে কুষ্টিয়া জেনারেল হাসপাতালে পাঠানোর পর সেখানে কর্তব্যরত সিনিয়র স্টাফ নার্স শহিদুল ইসলামের সাথে যোগাযোগ করা হলে তিনি বলেন, অবস্থা গুরুতর নয়। তার বামহাতে আঘাত লেগেছে, প্লাস্টার করে তাকে ছেড়ে দেয়া হয়েছে।

এ ব্যাপারে জানতে চাইলে সংশ্লিষ্ট বাসের হেলপার রনি সাংবাদিকদের বলেন, ছাত্রীদের বাসে ওই মামাকে (কামরুজ্জামান তরঙ্গ) উঠতে নিষেধ করার পরও সে গাড়িতে ওঠে, পরে বিশ্ববিদ্যালয়ের মেন গেটে এসে তাকে নামতে বললে সেসহ আরও চার-পাঁচজন আমাকে ও ড্রাইভারকে মারধর করে। এ ব্যাপারে কামরুজ্জামান তরঙ্গ বলেন, তারা আমার সাথে তুই তোকারি করে দুর্ব্যবহার করে, পরে ওদেরকে মারধর করেছি। বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রক্টর অধ্যাপক মাহবুবর রহমান বলেন, দোষীদের শনাক্তের চেষ্টা চলছে, অতিসত্ত্বর যথাযথ ব্যবস্থা নেয়া হবে।