হাতে পায়ে মুজা না পরা ছাত্রীকে মারপিট করা মাদরাসা শিক্ষকের বিরুদ্ধে মামলা

 

স্টাফ রিপোর্টার: ছাত্রীকে জালানীকাঠ দিয়ে প্রহরকরা সেই মাদরসা শিক্ষক মুফতি খালিদ সাইফুল্লাহর বিরুদ্ধে মামলা দায়ের করা হয়েছে। নির্যাতনের শিকার স্কুলছাত্রীর দাদি বেদানা খাতুন বাদী হয়ে গতকাল সোমবার বিকেলে আলমডাঙ্গা থানায় এ মামলা দায়ের করেন। অপরদিকে গতপরশু দৈনিক মাথাভাঙ্গা পত্রিকায় প্রকাশিত প্রতিবেদনের প্রতিবাদ জানিয়ে অভিযুক্ত শিক্ষক বলেছেন, অভিযোগ সঠিক নয়।

জানা গেছে, চুয়াডাঙ্গা আলমডাঙ্গার মুন্সিগঞ্জ জান্নাতুল মাওলা আদর্শ মহিলরা মাদরাসার ৫ম শ্রেণির ছাত্র মানুন খাতুন সোনাতনপুরের হতদরিদ্র বখতিয়ারের মেয়ে। গত অক্টোবর মাসে সে বোরখা পরে মারাসায় গেলেও হাতে ও পায়ে মুজা না পরার কারণে মাদরাসা প্রাঙ্গণে প্রকাশ্যেই চ্যলা (জ্বালানি কাঠ) দিয়ে বেদম প্রহর করেন শিক্ষক। মাদরাসা থেকে বাড়ি ফিরে অসুস্থ হয়ে পড়লেও বিষয়টি অভিভাবকদের না জানিয়ে নীরব থাকে। পরদিন মাদরাসা শিক্ষক অষুধ পাঠালে বিষয়টি জানাজানি হয়। প্রত্যক্ষদর্শী শিক্ষার্থীদের অনেকেই মুখ খোলে। স্থানীয় জনপ্রতিনিধিসহ সচেতন অভিভাবকমহল অভিযুক্ত শিক্ষকের দৃষ্টান্তমূলক শাস্তির দাবি জানায়। এ বিষয়ে গত ১৬ অক্টোবর দৈনিক মাথাভাঙ্গা পত্রিকায় প্রকাশিত হয় প্রতিবেদন। এ প্রতিবেনের প্রতিবাদ জানিয়ে গতকাল শিক্ষক মুফতি খালিদ সাইফুল্লাহ রুহী প্রতিবাদ লিপিতে বলেছেন, মাদরাসার সুনাম ক্ষুন্ন করার জন্য চক্রান্তকারীরা সাংবাদিকদের নিকট মিথ্যা বানোয়াট তথ্য দিয়েছে। প্রকাশিত প্রতিবেদনে যা বলা হয়েছে তা সঠিক নয়। প্রকৃত ঘটনা হলো, ঘটনার দিন ৫ম শ্রেণীর ছাত্রী মানুন খাতুনকে ধর্মীয় অনুশীলনের প্রতি অভ্যাস গড়ে তোলার নিমিত্তে শাসন করা হয়। অমানবিক নির্যাতন যে করা হয়নি তা ওইদিন ওই ছাত্রীর প্রথম থেকে ক্লাস করাই প্রমাণ।

এদিকে গতকাল সোমবার নির্যাতনের শিকার ছাত্রীর দাদী বাদী হয়ে আলমডাঙ্গা থানায় মামলা দায়ের করেন।তিনি বলেন, বোরখা পরলেও হাতে-পায়ে মোজা না পরে মঙ্গলবার মাদ্রাসায় যায় মানুন খাতুন। এ কারণে চ্যালাকাঠ দিয়ে বেদম মারপিট করেন মাদ্রাসার পরিচালক শিক্ষক মুফতি খালিদ সাইফুল্লাহ। তার সমস্ত শরীর জখম হয়। ফুলে ওঠে। থানার ওসি আকরাম হোসেন বলেন, ‘মুফতি খালিদ সাইফুল্লাহর বিরুদ্ধে থানায় মামলা হয়েছে। শিগগিরই আইনগত ব্যবস্থা নেয়া হবে।’