মহেশপুরে ১০টাকা কেজির চাল নিয়ে চলছে চালবাজি : ২০ বিঘা জমির মালিকও পাচ্ছে এই কার্ড

 

মহেশপুর প্রতিনিধি: মহেশপুরে ১০টাকা কেজির চাল নিয়ে চলছে ব্যাপক চালবাজি। ২০ বিঘা জমির মালিকও পাচ্ছে এই কার্ড। ক্ষুধা মুক্ত, দারিদ্র্য মুক্ত দেশ গড়ার কাজে বাংলাদেশ সরকারের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা হতদরিদ্র মানুষের মাঝে ১০টাকা কেজি দরে চাল খাওয়ানোর প্রতিশ্রুতি দিয়েছিলেন সেটা তিনি বাস্তবে রূপ দিয়েছেন।

এলাকাবাসীসূত্রে জানা গেছে, উপজেলার মান্দারবাড়িয়া ইউনিয়নের ৯টি ওয়ার্ডের প্রায় সব কয়টিতে গরিব অসহায় মানুষের পরিবর্তে এই ১০টাকা কেজি দরের চাল বিত্তবানরা উত্তোলন করছে। নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক এক ব্যক্তি অভিযোগ করে জানান,  অত্র ইউনিয়নের চেয়ারম্যান শফিদুল ইসলাম তার ভোটারদের মাঝে ধনী-গরিব যাচাই-বাছাই না করে এই চালের কার্ড প্রদান করেছেন। ৫ নং ওয়ার্ডের কালুহুদা গ্রামের ২ তলা বাড়ির মালিক নুর ইসলাম, শের আলীর ছেলে শাহিন ফ্লাট বাড়ির মালিক, ২০ বিঘা জমির মালিক জেহের আলীর ছেলে আশরাফুল ইসলাম, আনারুল পাকা বাড়ি ও ২০ বিঘা জমির মালিক,  রহিম বিশ্বাসের ছেলে রিজাউল ফ্লাট বাড়ি ও ১০ বিঘা জমির মালিক, আব্দুর রহমানের ছেলে বিল্লাল হোসেন নির্মাণাধীন ফ্লাট বাড়ি ও ১০ বিঘা জমির মালিক,  খাইরুল মণ্ডলে ছেলে অমেদুল ইসলাম ১২৫ সিসি মোটরসাইকেলে মালিক, বামনগাছী গ্রামের শওকত আলী ছেলে সাইফুল ইসলামের ২তলা বাড়ি, হুদাশ্রীরামপুরে মৃত সমছের আলীর ছেলে আশরাফুল ইসলাম পাকা বাড়ি ও পাচ বিঘা জমির মালিক, ইসাহক বিশ্বাসের ছেলে মনা বিশ্বাস পাকা বাড়ি ও ৫বিঘা জমির মালিকসহ অত্র ইউনিয়নের ১ ও ২ নং ওয়ার্ডে অধিকংশই বিত্তবান ব্যাক্তিরা এ চাল উত্তোলন করছে। নাম প্রকাশে অনইচ্ছুক আরো এক ব্যক্তি অভিযোগ করে বলেন, চেয়াম্যান সাহেব নিজ ভোটার ছাড়া কোনো দরিদ্র্য ব্যক্তির চাল দেয়নি। তিনি আরও বলেন অত্র ইউনিয়নের ১ ও ২ নং ওয়ার্ডে অধিকাংশ বিত্তবান মানুষেরা ১০টাকার চাল পাচ্ছে। এবিষয়ে চেয়ারম্যান শফিদুল ইসলামের সাথে মোবাইলে জানতে চাইলে তিনি বলেন স্থানীয় মেম্বার ও আ.লীগের নেতা কর্মীরা এই কার্ড দিয়েছে। স্থানীয় মেম্বার সবুজ হোসেনের সাথে যোগাযোগ করলে তিনি বলেন, আমার লিস্ট থেকে দরিদ্র্য ব্যক্তিদের নাম কেটে চেয়ারম্যান তার নিজের বিত্তবান ভোটাদের নাম এই তালিকায় জোরপূর্বক ঢুকিয়েছেন। সবুজ আরও বলেন, শুধু আমার নয় চেয়ারম্যান সবকয়টি ওয়ার্ডে ইউপি সদস্যদের তালিকা মুছে দিয়ে নিজের বিত্তবান ভোটারদের নাম ঢুকিয়েছে।